বিসমিহি তা'আলা
সমাধানঃ-
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ}
ভাবার্থঃ
তৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।
[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]
মুসলিম শরীফের সনদে বর্ণিত হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত হাদীস তার উজ্জল দৃষ্টান্ত। হাদীসটি এই,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কারো তার পায়ুপথে কিছু বের হওয়ার সন্দেহ হয়।এবং উক্ত বের হওয়া না হওয়া নিয়ে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।তাহলে সে যেন মসজিদ থেকে (অজু করার নিমিত্তে) বের না হয়,যতক্ষণ না সে বায়ুর আওয়াজ শুনছে বা এর দুর্গন্ধ তার নাকে আসছে।
(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর;1/47-48)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দ্বীন-ইসলাম সম্পর্কে জানা ও মানার আগ্রহ দেখে এবং i.o.m এর প্রতি আশ্বস্ত দেখে আমি যারপরনাই আনন্দিত।আল্লাহ পাক আপনাদেরকে দ্বীনের উপর সর্বদা অঠল-অবিচল রাখুন।সেই কামনা ও প্রত্যাশা।
আপনার পূর্ব থেকেই অজু থাকলে সন্দেহের ধরুণ আপনার অজু চলে যাবে না।যতক্ষণ না অজু চলে যাবার পূর্ণ ঈয়াক্বিন বা দৃঢ়বিশ্বাস হচ্ছে।
তাই এমতাবস্থায় নিঃসন্দেহে আপনি নামায-ইবাদত চালিয়ে যান।এটা খানাছা নামক এক প্রকার শয়তানের কুমন্ত্রণা। এ কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচতে বেশীবেশী করে "আউযু বিল্লাহি মিনাশ-শাইত্বানির রাযিম "পড়বেন।
নামাযে বায়ু বের হওয়ার যে সন্দেহ বারবার আপনার মনে উদ্রেক হয় তা দূর করতে হবে।
এবং দূর করার জন্য আপাতত চেয়ারে বসে বেশ নড়াচড়া না করে নামায আদায় করুন।ফুকাহায়ে কিরাম এমনই পরামর্শ দিয়ে থাকেন।