ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নাজাসত দু-প্রকার (১)দৃশ্যমান নাজাসত (২)অদৃশ্যমান নাজাসত
★অদৃশ্যমান নাজাসত যদি কাপড় বা শরীরে লাগে তাহলে তাকে অবশ্যই দূর করতে হবে।মূল নাজাসত দূর হওয়ার পর তার আছর অবশিষ্ট থাকলে কোনো সমস্যা নেই।এভাবেই রাসূলুল্লাহ থেকে বর্ণিত হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ সাঃ হায়েযের রক্ত সম্পর্কে বলেনঃ
"কিছু দ্বারা রক্তকে তুলে দাও,অতঃপর আঙ্গুল দ্বারা ঘষাঘষি করো তারপর তাকে দৌত করো।তারপরও যদি তাতে আছর থাকে তাহলে কোনোপ্রকার সমস্যা হবে না।
কেননা যখন কোনো মহিলা অপবিত্র হান্না দ্বারা নিজ হাতকে রঙ্গাবে এবং তৎপরবর্তী হাতকে দুয়ে নিবে,তাহলে এমতাবস্থায় তার নামায বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।হাতে খেযাবের রঙ্গের আছর তাতে কোনোপ্রকার ক্ষতি করবে না।
এবং ফকিহ আবু জাফর রাহ বলেনঃ
মূল নাজাসত দূর হওয়ার পর দু'বার দুয়ে নিবে কেননা এমতাবস্থায় তা অদৃশ্য নাজাসতের সামঞ্জস্য হয়ে যাচ্ছে।এজন্য আরও একবার দুয়ে নেয়া হবে।
আর অদৃশ্যমান নাজাসত কে তিনবার দৌত করতে হবে।কেননা নবীজী সাঃ বলেনঃ
যখন কেউ ঘুম থেকে জাগ্রত হবে সে যেন পাত্রে হাত না দেয়, যতক্ষণ না সে হাতকে তিনবার দৌত করবে।কেননা সে জানে না তার হাত কোথায় রাত্রিযাপন করেছে।সুতরাং যখন ধারণাকৃত নাজাসকে তিনবার দৌত করার কথা বলা হয়েছে তাই বাস্তবিক নাজাসকে অবশ্যই তিনবার দৌত করবে।এটাই আমাদের মাযহাব।(মাবসুত-সারখাসী১/৯৩)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/889
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) লন্ড্রিতে অদৃশ্যমান নাজাসাত সম্বলিত কাপড় দিলে সেটা পাক হবে না যদি সেখানে ৩ বার ধৌত করা বা নিংড়ানো না হয়।
(২) কাপড়ে বীর্য লেগে পরে শুকিয়ে যাওয়ার জায়গাটা শক্ত হয়ে গেলে সেটাকে দৃশ্যমান নাজাসাত বিবেচনা করা হবে।
(৩) প্রশ্নের বিবরণমতে আপনি নিজেই কাপড় ধৌত করবেন। নতুবা কাপড় পবিত্র না ও হতে পারে ।
(৪) প্যান্টে বীর্য লাগার পর শুকিয়ে গেলে ট্যাপের পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে বীর্য যেখানে লেগেছিল ঐ অংশ অনুমান করে সাবান দিয়ে ধোত করে পরে বালতিতে একবার ধৌত করে নিলে কি ঐ প্যান্ট পবিত্র হয়ে যাবে। বালতিতে ঐ একই পানিতে একাধিক কাপড় ধুলে বাকি গুলাও পাক হবে।