আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
19 views
in পবিত্রতা (Purity) by (4 points)
২। কাপড়ে বীর্য লেগে পরে শুকায় যায়,মানে লন্ড্রিতে দেওয়ার আগে। বীর্য দেখা না গেলেও ওই জায়গাটা শক্ত হয়ে থাকে। এখন এটা দৃশ্যমান নাজাসাত না অদৃশ্যমান?


৩।অদৃশ্যমান নাজাসাতের ক্ষেত্রে তো নাপাক কাপড় ধৌত করার জন্য ৩ বার পানি দিয়ে ধুতে হবে এবং প্রতিবার ভালো মতো নিংড়াতে হবে। মানে বালতির পানি ৩ বার পরিবর্তন করা লাগবে। এখন আমি মেডিকেল স্টুডেন্ট। কাপড় নিজে কাচা হয় না,লন্ড্রিতে দেই,ওরা তো সম্ভবত ৩ বার ধৌত করে না বা নিংড়ায় না এবং একই বালতিতে বেশ কয়েকটা করে কাপড় ধৌত করে যেখানে নাপাক কাপড়ের পানি মেশার সম্ভাবনা আছে। এখন এই কাপড় কি পাক হবে এভাবে ধুলে? ওটা পড়ে নামাজ পড়া যাবে? না আমাকে নিজেই কাচা লাগবে যেভাবেই হোক যেহেতু আমি নিশ্চিন না?


৩। আর প্যান্টে বীর্য লাগার পর শুকিয়ে গেলে ট্যাপের পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে বীর্য যেখানে লেগেছিল ওই অংশ অনুমান করে সাবান দিয়ে ধুয়ে পরে বালতিতে একবার ধুয়ে নিলে কি ওই প্যান্ট পবিত্র হবে? আর বালতিতে ওই একই পানিতে একাধিক কাপড় ধুলে বাকি গুলা কি পাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (680,280 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নাজাসত দু-প্রকার (১)দৃশ্যমান নাজাসত (২)অদৃশ্যমান নাজাসত
★অদৃশ্যমান নাজাসত যদি কাপড় বা শরীরে লাগে তাহলে তাকে অবশ্যই দূর করতে হবে।মূল নাজাসত দূর হওয়ার পর তার আছর অবশিষ্ট থাকলে কোনো সমস্যা নেই।এভাবেই রাসূলুল্লাহ থেকে বর্ণিত হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ সাঃ হায়েযের রক্ত সম্পর্কে বলেনঃ
"কিছু দ্বারা রক্তকে তুলে দাও,অতঃপর আঙ্গুল দ্বারা ঘষাঘষি করো  তারপর তাকে দৌত করো।তারপরও যদি তাতে আছর থাকে তাহলে কোনোপ্রকার সমস্যা হবে না।
কেননা যখন কোনো মহিলা অপবিত্র হান্না দ্বারা নিজ হাতকে রঙ্গাবে এবং তৎপরবর্তী হাতকে দুয়ে নিবে,তাহলে এমতাবস্থায় তার নামায বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।হাতে খেযাবের রঙ্গের আছর তাতে কোনোপ্রকার ক্ষতি করবে না।
এবং ফকিহ আবু জাফর রাহ বলেনঃ
মূল নাজাসত দূর হওয়ার পর দু'বার দুয়ে নিবে কেননা এমতাবস্থায় তা অদৃশ্য নাজাসতের সামঞ্জস্য হয়ে যাচ্ছে।এজন্য আরও একবার দুয়ে নেয়া হবে।

আর অদৃশ্যমান নাজাসত কে তিনবার দৌত করতে হবে।কেননা নবীজী সাঃ বলেনঃ
যখন কেউ ঘুম থেকে জাগ্রত হবে সে যেন পাত্রে হাত না দেয়, যতক্ষণ না সে হাতকে তিনবার দৌত করবে।কেননা সে জানে না তার হাত কোথায় রাত্রিযাপন করেছে।সুতরাং যখন ধারণাকৃত নাজাসকে তিনবার দৌত করার কথা বলা হয়েছে তাই বাস্তবিক নাজাসকে অবশ্যই তিনবার দৌত করবে।এটাই আমাদের মাযহাব।(মাবসুত-সারখাসী১/৯৩)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/889

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) লন্ড্রিতে অদৃশ্যমান নাজাসাত সম্বলিত কাপড় দিলে  সেটা পাক হবে না যদি সেখানে  ৩ বার ধৌত করা বা নিংড়ানো না হয়।

(২) কাপড়ে বীর্য লেগে পরে শুকিয়ে যাওয়ার জায়গাটা শক্ত হয়ে গেলে সেটাকে দৃশ্যমান নাজাসাত বিবেচনা করা হবে। 

(৩) প্রশ্নের বিবরণমতে আপনি নিজেই কাপড় ধৌত করবেন। নতুবা কাপড় পবিত্র না ও হতে পারে । 

(৪)  প্যান্টে বীর্য লাগার পর শুকিয়ে গেলে ট্যাপের পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে বীর্য যেখানে লেগেছিল ঐ অংশ অনুমান করে সাবান দিয়ে ধোত করে পরে বালতিতে একবার ধৌত করে নিলে কি ঐ প্যান্ট পবিত্র হয়ে যাবে।  বালতিতে ঐ একই পানিতে একাধিক কাপড় ধুলে বাকি গুলাও পাক হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...