আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
19 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
১৷ জুব্বা/পাঞ্জাবি পরিধান করা কি সুন্নত? এক জায়গায় দেখলাম "রাসুল সা: জুব্বা পড়তেন কারণ তখনকার আরবদের পোশাক ওটা ছিলো৷ জুব্বা সরাসরি সুন্নত না,বরং ইসলামে পোশাকের যে শর্ত সে মোতাবেক লম্বা ঢিলা যেকোনো পোশাক পড়লেই হবে যাতে শরীরের অবয়ব বোঝা না যায়৷ জুব্বা পড়লে সওয়াব হবে এমন না।" এটা কি ঠিক? আসলেই জুব্বা পড়লে সওয়াব নেই? এটা শুধুই একটা ট্রেডিশন ছিলো?

২। একই বালতি পানিতে একটা নাপাকি কাপড় (শুকনা বীর্য লেগে থাকা) আর একটা পাক কাপড় ধুলে পাক কাপড় কি পাক থাকবে? এক্ষেত্রে পাক কাপড়টাও কি নাপাকের মতো ৩ বার ধুয়া লাগবে নাকি একবার ধুলেই হবে?

৩। আর আমার উপর কাকে কাকে দাওয়াত দেওয়া জিম্মাদারি? দাওয়াত না দিলে কি পাপ হবে? কাউকে সামনে কোনো পাপ করতে দেখলে নিষেধ না করলে কি পাপ হবে আমার?

1 Answer

0 votes
ago by (650,040 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://www.ifatwa.info/89917/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে লুঙ্গী, জোব্বা, টুপি,পাগড়ী এবং কোনো কোনো বর্ণনা অনুযায়ী পায়জামা পড়াও প্রমাণিত রয়েছে।লুঙ্গি  জোব্বা এ সবই নিসফে সাক পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ সাঃ পরিধান করেছেন।সুতরাং এই সমস্ত পোষাক পরিধান করা রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সুন্নাত।তবে এই সুন্নত, সুন্নতে যায়েদা, অর্থাৎ যা অত্যাবশ্যকীয় নয়।তবে অবশ্যই রাসূলুল্লাহ সাঃ অনুসরণ হিসেবে কল্যাণকর ।এছাড়া আরো পোষাক যেগুলো নেককারগণ পরিধান করেছেন,সেগুলোও পরিধান করা যাবে।শার্ট-প্যান্ট ইত্যাদিও পরিধান করা যাবে যদি সেগুলো পোষাক পরিধানের মূলনীতির বিরোধী না হয়ে থাকে।কিন্তু অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় পোষাক পরা যাবে না।এটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। 
(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-১৯/২৬০)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1036

শরয়ী পোশাক হওয়ার জন্য কয়েকটি বিষয় লক্ষণীয়। ১. পরিপূর্ণ ভাবে সতর ঢাকা, ২. সৌন্দর্যের জন্য হওয়া, ৩. শরীয়তে নিষিদ্ধ না হওয়া, ৪. রিয়া বা লৌকিকতা না থাকা, ৫. বিধর্মীদের সাথে সাদৃশ্য না হওয়া। আর ফাড়া পাঞ্জাবী দ্বারা যেহেতু এই উদ্দেশ্যগুলো অর্জন হয় তাই এর দ্বারাও সুন্নত আদায় হবে। [ আবু দাউদ শরীফ: ২/৫৫৯, ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া: ২৭/৩৯৪]

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অধিকাংশ সময় দীর্ঘ জামা তথা প্রচলিত জুব্বার মত পোষাক পরিধান করতেন।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
وَعَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَبِسَ جُبَّةً رُومِيَّةً ضَيِّقَةَ الْكُمَّيْنِ

মুগীরাহ্ ইবনু শু’বাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোম দেশীয় আঁটসাট আস্তিনবিশিষ্ট জুব্বা পরিধান করেছেন।
(বুখারী ৫৭৯৮ নং হাদীসের অধ্যায়, মুসলিম (২৭৪)-৭৭, নাসায়ী ১২৫, তিরমিযী ১৭৬৮, আবূ দাঊদ ১৫১, মা‘রিফাতুস্ সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাক্বী ১৩৬০, মুসান্নাফ ইবনু আবূ শায়বাহ্ ১৮৭৭, মুসনাদে আহমাদ ১৮২৩৯, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৪৩৫৭, মিশকাত হা/৪৩০৫)। 

তবে ক্বামীছ ও পায়জামাও রাসূল (ছাঃ) মাঝে-মধ্যে পরিধান করেছেন। বরং ক্বামীছ রাসূল (ছাঃ)-এর অন্যতম প্রিয় পোষাক ছিল।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو تُمَيْلَةَ، وَالْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، وَزَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، عَنْ عَبْدِ الْمُؤْمِنِ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ كَانَ أَحَبَّ الثِّيَابِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الْقَمِيصُ

উম্মু সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট সবচাইতে পছন্দের পোশাক ছিল জামা।

সহীহ, ইবনু মা-জাহ ৩৫৭৫,তিরমিযী হা/১৭৬২; ছহীহুত তারগীব হা/২০২৮)। 

সুতরাং প্রচলিত জুববা বা পাঞ্জাবী সুন্নাতী পোষাকের অন্তর্ভুক্ত এবং এগুলো তাক্বওয়ার পোষাক হিসাবে গণ্য। কেননা এতে অধিকতর পর্দা রয়েছে। আর আল্লাহ তাক্বওয়ার পোষাক পরিধানের নির্দেশ দিয়েছেন।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

یٰبَنِیۡۤ اٰدَمَ قَدۡ اَنۡزَلۡنَا عَلَیۡکُمۡ لِبَاسًا یُّوَارِیۡ سَوۡاٰتِکُمۡ وَ رِیۡشًا ؕ وَ لِبَاسُ التَّقۡوٰی ۙ ذٰلِکَ خَیۡرٌ ؕ ذٰلِکَ مِنۡ اٰیٰتِ اللّٰہِ لَعَلَّہُمۡ یَذَّکَّرُوۡنَ ﴿۲۶﴾ 

হে বনী আদম! অবশ্যই আমরা তোমাদের জন্য পোষাক নাযিল করেছি, তোমাদের লজ্জাস্থান ঢাকা ও বেশ-ভূষার জন্য। আর তাকওয়ার পোষাক, এটাই সর্বোত্তম। এটা আল্লাহ্র নিদর্শনসমূহের অন্যতম, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।
(সুরা আ‘রাফ ৭/২৬)। 

তবে সর্বাবস্থায় সতর ও লেবাস সম্পর্কে নিম্নোক্ত মূলনীতিগুলি মনে রাখতে হবে- 

(১) পোষাক পরিধানের উদ্দেশ্য থাকবে দেহকে আবৃত করা। যেন পোষাক পরা সত্ত্বেও আবরনীয় অঙ্গ সমূহ অন্যের সামনে প্রকাশ না পায়। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: صِنْفَانِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ لَمْ أَرَهُمَا: قَوْمٌ مَعَهُمْ سِيَاطٌ كَأَذْنَابِ الْبَقَرِ يَضْرِبُونَ بِهَا النَّاسَ وَنِسَاءٌ كَاسِيَاتٌ عَارِيَاتٌ مُمِيلَاتٌ مَائِلَاتٌ رؤوسهم كَأَسْنِمَةِ الْبُخْتِ الْمَائِلَةِ لَا يَدْخُلْنَ الْجَنَّةَ وَلَا يَجِدْنَ رِيحَهَا وَإِنَّ رِيحَهَا لَتُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ كَذَا وَكَذَا . رَوَاهُ مُسلم

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জাহান্নামীদের মধ্যে দু’টি এমন দল হবে যাদেরকে আমি দেখতে পাব না, কিন্তু তাদের একদল লোকের হাতে গরুর লেজের ন্যায় চাবুক থাকবে। যা দিয়ে তারা লোকেদেরকে অনৈতিকভাবে মারধর করবে। আর দ্বিতীয় দলটি হবে ঐ সমস্ত মহিলারা, যারা কাপড় পরবে অথচ উলঙ্গের ন্যায় দেখা যাবে এবং তারা সদিচ্ছায় পুরুষদের দিকে আকৃষ্ট হবে। তাদের মাথার চুলের খোঁপা বুখতী উটের হেলে পড়া কুঁজের ন্যায় হবে। তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না এবং জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না। যদিও তার সুঘ্রাণ দূর-দূরান্ত হতে পাওয়া যাবে। 
(মুসলিম ২১২৮, সহীহাহ্ ১৩২৬, সহীহ আল জামি‘ ৩৭৯৯, সহীহ আত্ তারগীব ২০৪৪,মিশকাত হা/৩৫২৪ ‘ক্বিছাছ’ অধ্যায়)।

(২) ভিতরে-বাইরে তাক্বওয়াশীল হ’তে হবে। এজন্য ঢিলাঢালা, ভদ্র ও পরিচ্ছন্ন পোষাক পরিধান করতে হবে। 

(৩) পোষাক যেন অমুসলিমদের সাদৃশ্যপূর্ণ না হয়।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

 قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ " 

আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করবে, সে তাদেরই অন্তরভুক্ত (হয়ে যাবে)।

(হাদিস টির হুকুম হাসান : আবূ দাঊদ ৪০৩১, মুসনাদে আহমাদে এরূপ শব্দে হাদীসটি নেই; আল জামি‘উস্ সগীর ১১০৯৪, সহীহুল জামি‘ ৬১৪৯, ইরওয়া ২৬৯১, মিশকাত হা/৪৩৪৭)। 

وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّه رَضِىَ اللهُ عَنْهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَيْرِنَا لَا تَشَبَّهُوا بِالْيَهُودِ وَلَا بِالنَّصَارٰى فَإِنَّ تَسْلِيمَ الْيَهُودِ الْإِشَارَةُ بِالْأَصَابِعِ وَتَسْلِيمَ النَّصَارَى الْإِشَارَةُ بِالْأَكُفِّ. رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ

আমর ইবনু শু‘আয়ব তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর পিতামহ হতে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের ছাড়া অন্য জাতির সাথে সাদৃশ্য করে সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। তোমরা ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের সাথে সাদৃশ্য করো না। কেননা ইয়াহূদীরা অঙ্গুলির ইশারায় সালাম দেয়, আর খ্রিষ্টানরা হাতের তালু দ্বারা সালাম করে।

(হাদীসটির হুকুম হাসান : তিরমিযী ২৬৯৫, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ২১৯৪, আল জামি‘উস্ সগীর ৯৫৬৫, সহীহুল জামি‘ ৫৪৩৪, আল মু‘জামুল আওসাত্ব ৭৩৮০, ইরওয়া ১২৭০, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ২৭২৩।)

(৪) পোষাক যেন অহংকার প্রকাশ না পায়। এজন্য পুরুষ যেন সোনা ও রেশম পরিধান না করে এবং টাখনুর নিচে কাপড় না রাখে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ لَبِسَ ثَوْبَ شهرةٍ منَ الدُّنْيَا أَلْبَسَهُ اللَّهُ ثَوْبَ مَذَلَّةٍ يَوْمَ الْقِيَامَةِ»

’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দুনিয়াতে সুনামের পোশাক পরিধান করবে, আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের দিন তাকে অপমানের পোশাক পরাবেন।

(মুসনাদে আহমাদ ৫৬৬৪, ইবনু মাজাহ ৩৬০৭, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ২০৮৯, শু‘আবুল ঈমান ৬২২৮, আবূ দাঊদ ৪০২৯, সহীহুল জামি‘ ৬৫২৬, আল জামি‘উস্ সগীর ১১৪৭২।)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রচলিত জুব্বা বা পাঞ্জাবী সুন্নাতী পোষাকের অন্তর্ভুক্ত এবং এগুলো তাক্বওয়ার পোষাক হিসাবে গণ্য। কেননা এতে অধিকতর পর্দা রয়েছে। আর আল্লাহ তাক্বওয়ার পোষাক পরিধানের নির্দেশ দিয়েছেন।

জুব্বা/পাঞ্জাবী পরিধান করা সুন্নাত,সুতরাং কেহ যদি জুব্বা/পাঞ্জাবী পরিধান করে,সেক্ষেত্রে সে সুন্নাত আদায়ের ছওয়াব পাবে।

জুব্বা/পাঞ্জাবী পরিধান করলে ছওয়াব হবেনা,এমনটি বলা যাবেনা।

ইসলামে পোশাকের যে শর্ত রয়েছে, সে মোতাবেক লম্বা ঢিলা যেকোনো পোশাক পড়লেই শরয়ী পোশাক হবে, যাতে শরীরের অবয়ব বুঝা না যায়৷ 
এধরণের কাপড় পরিধান করা জায়েজ।
এতে কোনো গুনাহ হবেনা।

(০২)
এক্ষেত্রে পাক কাপড়টি নাপাক হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে সে পাক কাপড়টাও নাপাক কাপড়ের মতো ৩ বার ধোয়া লাগবে।

(০৩)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী দ্বীনের দাওয়াত দেওয়া আপনার দায়িত্ব।

আল্লাহ তাআলা বলেন:

 "তুমি মানুষদেরকে তোমার রবের পথে ডাকো হিকমত ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে..."
[সূরা নাহল, ১৬:১২৫]

রাসূল ﷺ বলেন:

«بلغوا عني ولو آية»
“আমার পক্ষ থেকে একটি আয়াত হলেও পৌঁছে দাও।”
(বুখারী: ৩৪৬১)

সুতরাং যে যতটুকু জানে, তার উপর ততটুকু পৌঁছানোর দায়িত্বে আছে।

★কাকে কাকে দাওয়াত দেওয়া আপনার দায়িত্বে পড়ে?

এটি নির্ভর করে আপনার সম্পর্ক, সামর্থ্য ও পরিবেশ অনুযায়ী। 

★নিজ পরিবার (সবার আগে) ও নিজ অধিনস্ত যারা আছে। তাদেরকে দ্বীনের দাওয়াত দেয়া।

আল্লাহ বলেন:
"হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদেরকে ও তোমাদের পরিবার-পরিজনকে আগুন থেকে রক্ষা করো..."
[সূরা তাহরীম, ৬৬:৬]

★নিজ আত্মীয়, বন্ধু, সহকর্মী, প্রতিবেশী।

রাসূল ﷺ মক্কায় দাওয়াতের শুরু করেছিলেন তাঁর আত্মীয়দের দিয়েই।

★অমুসলিমদের মাঝে ইসলামের দাওয়াত (তাওহীদ ও ইসলামের মূল শিক্ষা)

যদি সুযোগ থাকে, এবং আপনি কিছুটা জ্ঞান রাখেন—তবে অমুসলিমদেরও ইসলামের প্রতি দাওয়াত দিতে পারেন।
অবশ্যই হিকমত ও উত্তম আচরণে।

★দাওয়াত না দিলে কি আপনি গুনাহগার হবেন?
দুইটা অবস্থা বিবেচনায় নিতে হবে:

(ক) আপনি জানেন, সামনে মানুষ ভুল করছে এবং আপনার কথায় হয়ত সে সংশোধন হতো—তবুও আপনি চুপ থাকলেন,সেক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 
"তোমাদের মধ্যে একটি দল থাকা উচিত যারা দাওয়াত দেবে ভালোর দিকে, নিষেধ করবে মন্দ থেকে।"
[আলে ইমরান: ১০৪]

(খ) আপনি জানেন, বললে পরিস্থিতি খারাপ হবে, বা আপনার জ্ঞান কম—তখন আপনি চুপ থাকা বা অন্যভাবে দাওয়াত দিলে গুনাহ হবে না।
(কিছু তথ্য সংগৃহীত।)

★কাউকে সামনে কোনো পাপ করতে দেখলে নিষেধ না করলে সেক্ষেত্রেও দুইটা অবস্থাঃ-

(এক) আপনি জানেন, সামনে মানুষ পাপ করছে এবং আপনার কথায় হয়ত সে সংশোধন হতো—তবুও আপনি চুপ থাকলেন,সেক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবে।

(দুই) আপনি জানেন, বললে সে আপনার কথায় সংশোধন তো হবেইনা,বরং উল্টো পরিস্থিতি খারাপ হবে,তখন পাপকে ঘৃণা করে চুপ থাকা বা অন্যভাবে দাওয়াত দিলে আপনার গুনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...