ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
জান্নাত লাভ ও শারীরিক হেফাযত; আয়াতুল কুরসী:
اَللَّهُ لَآ
إِلٰهَ إِلَّا هُوَ
ۚاَلْحَيُّ الْقَيُّوْمُ ۚ
لَا تَأْخُذُهٗ سِنَةٌ
وَّ لَا نَوْمٌ ۚلَهٗ مَا
فِي السَّمَاوَاتِ وَ مَا
فِي الْأَرْضِ ۚمَن ذَا الَّذِيْ يَشْفَعُ
عِنْدَهٗٓ إِلَّا بِإِذْنِهٖ
ۚيَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيْهِمْ وَ مَا خَلْفَهُمْ ۚوَلَا يُحِيْطُوْنَ
بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهٖ إِلَّا بِمَا
شَآءَ ۚوَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ ۚ وَ
لَا يَئُوْدُهٗ حِفْظُهُمَا
ۚ وَ هُوَ الْعَلِيُّ
الْعَظِيْمُ.
অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও
স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছে এমন, যে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি
ছাড়া সুপারিশ করবে? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে তা সবই তিনি জানেন।
তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা
করেন। তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর তা ধারণ করা তাঁর
পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।
,
পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের পর পাঠের ফযীলত:
প্রতি ফরয সালাতের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করলে জান্নাতে
যাওয়ার পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বাধা থাকবে না। সুনানে কুবরা
লিল ইমাম নাসায়ী, হাদীস নং ৯৮৪৮
,
শোয়ার সময় পাঠের ফযীলত:
শোয়ার সময় আয়াতুল কুরসী পাঠ করলে আল্লাহর পক্ষ হতে সকাল পর্যন্ত
তার জন্য একজন রক্ষাকর্তা নিযুক্ত থাকবেন। ফলে (সকাল পর্যন্ত) তার কাছে কোনো শয়তান
ভিড়তে পারবে না। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৩১১
সকাল-সন্ধ্যায় পাঠের ফযীলত:
সন্ধ্যায় আয়াতুল কুরসী পাঠ করলে সকাল পর্যন্ত শয়তানদের (অনিষ্ট)
থেকে নিরাপদে থাকবে। আর সকালে পাঠ করলে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিরাপদে থাকবে। মুসতাদরাকে
হাকেম, হাদীস নং ২০৬৪
,
নিম্নোক্ত হাদিস থেকে ঘুমানোর পূর্বে কিভাবে তিন কুল পড়ে শরীরে
মাসেহ করতে হয় তার পদ্ধতি পাওয়া যায়:
أنه كان
إذا أوى إلى فراشه كل ليلة جمع كفيه ثم نفث فيهما فقرأ فيهما: قل هو الله أحد، وقل
أعوذ برب الفلق، وقل أعوذ برب الناس، ثم يمسح بهما ما استطاع من جسده يبدأ بهما
على رأسه ووجه، وما أقبل من جسده. يفعل ذلك ثلاث مرات. رواه البخاري
আয়েশা রা. বলেন, “প্রতি রাতে বিছানায় শয়ন
করার সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু হাতের তালুদ্বয় একত্রিত করে তাতে
ফুঁ দিতেন (থুথু দেয়ার মত করে ফুঁ দেয়া অর্থাৎ থুথুর মত আওয়াজ হবে কিন্তু থুথু বের
হবে না) তারপর দু হাতে সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়তেন। তাপরপর
হস্তদ্বয় যতটুক সম্ভব শরীরে মাসেহ করতেন। শুরু করতেন মুখমণ্ডল হতে তারপর চেহারা তারপর
শরীরের সম্মুখভাগ। এভাবে তিনি তিন বার করতেন।” (সহিহ বুখারি)
,
সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার করে সূরা ইখলাছ, নাস ও ফালাক এই সূরাগুলো
পাঠ করলে সকল অনিষ্ট থেকে এগুলো তার হেফাযতের জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে। তিরমিযী, হাদীস নং ৩৫৭৫; আবু দাউদ,
হাদীস নং ৫০৮২
,
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
,
আয়াতুল কুরসী: পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর একবার করে, সকাল-সন্ধ্যায় একবার করে ও শোয়ার সময় একবার পড়বেন। ফজর ও মাগরীবের
সালাতের পর পড়লে একসাথে দুইটাই আদায় হয়ে যাচ্ছে। সেই হিসাবে দিনে ৬ বার হচ্ছে।
,
আর সূরা ইখলাছ, নাস ও ফালাক: সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার করে
ও শোয়ার সময় তিনবার পড়বেন।