জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
ইহ-পরকালীন সকল বিষয়ে ধৈর্য ও ছালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাওয়ার হুকুম প্রদান করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا اسْتَعِينُوْا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ إِنَّ اللهَ مَعَ الصَّابِرِيْنَ،
‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ধৈর্য ও ছালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে থাকেন’ (বাক্বারাহ ২/১৫৩)।
অনুরূপ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ)-কে আদেশ করেন, ‘জেনে রেখো অবশ্যই সাহায্য ধৈর্যের সাথে রয়েছে’।
ইসতিক্বামাত তথা দ্বীনের উপর অটল থাকার ব্যাপারে ধৈর্য বিশেষ গুরুত্ব রাখে। ছাহাবায়ে কেরাম যে ঈমান ও আমলের ক্ষেত্রে দ্বীনের উপর অটল থাকতে সক্ষম হয়েছিলেন, তার বড় কারণ ছিল ধৈর্য।
মহান আল্লাহ বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا اصْبِرُوْا وَصَابِرُوْا وَرَابِطُوْا وَاتَّقُوا اللهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ،
‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ধৈর্যধারণ কর। পরস্পরে দৃঢ় থাক এবং সদা প্রস্ত্তত থাক। আর আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা সফলকাম হ’তে পার’ (আলে ইমরান ৩/২০০)।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি ধৈর্যধারণ করবেন,যাহা চাওয়ার তাহা নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে চাইবেন,ভালো ফলাফলের চেষ্টার পাশাপাশি আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা করবেন,নিয়মিত নামাজ শরীয়তের বিধান মেনে চলবেন,
হতাশ হবেননা।
ধৈর্যধারণ করবেন,ইনশাআল্লাহ সফলতা আপনার পদচুম্বন করবে।
নিম্নোক্ত দোয়া করতে পারেনঃ-
ক্বাতাদাহ (রহঃ) বলেন, হাসান বাছরী (রহঃ) দো‘আ করতেন,
اللهم أنت ربنا، فارزقنا الاستقامة
‘হে আল্লাহ! তুমি আমাদের রব। তুমি আমাদেরকে তোমার অটল থাকার তাওফীক দাও’।
(ইবনু কাছীর, তাফসীর সূরা হা-মীম সাজদা ৩০ আয়াত।)
,
★আলী (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) আমাকে বলেন, তুমি বল,
اللَّهُمَّ اهْدِنِىْ وَسَدِّدْنِىْ
‘হে আল্লাহ! তুমি আমাকে সুপথ প্রদর্শন কর এবং আমাকে সরল পথে পরিচালিত কর। আর তুমি সুপথের সংকল্প কর এবং সঠিক পথে স্থির থাক, যেভাবে তীর তার লক্ষ্যে স্থির থাকে।
(মুসলিম হা/২৭২৫; মিশকাত হা/২৪৮৫।)
আপনার মন অশান্তিতে আছে।এ জন্য আপনি নিয়মিত ধারাবাহিক আল্লাহর যিকির করতে থাকুন-দেখবেন মন শান্ত হবে।
الَّذِينَ آمَنُواْ وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُم بِذِكْرِ اللّهِ أَلاَ بِذِكْرِ اللّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ
যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর যিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ, আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়।(সূরা রা'দ-২৮)
পুরুষ হলে দ্রুত চিল্লায় চলে যেতে পারেন।
নারী হলে মাস্তুরা জামাতে যেতে পারেন।
দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সাথে যুক্ত হয়ে কমপক্ষে এক চিল্লা দিলে ইনশাআল্লাহ এহেন অবস্থা থেকে আপনি সহজেই পরিত্রান পাবেন।
আরো কিছু আমল জানুনঃ
(০২)
আপনি যদি টাকা-পয়সার জনিত হক নষ্ট করে থাকেন, সেক্ষেত্রে সে টাকা পয়সা তাদের কাছে পাঠিয়ে দিবেন।
প্রয়োজনে তাদের মোবাইলে ফ্লেক্সিলোড করে দিবেন বা বিকাশ নগদ ইত্যাদি মাধ্যমে পাঠিয়ে দিবেন।
অথবা তাদের ব্যাংকের একাউন্টে পাঠিয়ে দিবেন।
অন্য কোন হক নষ্ট করে থাকলে সেক্ষেত্রে তাদের কাছে ক্ষমা চাইবেন, ক্ষমা চাওয়া সম্ভব না হলে তাদের জন্য এবং নিজের জন্য মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন।
(০৩)
সবগুলো নামাজ কাজা আদায় করে নিবেন, পাশাপাশি মহান আল্লাহর কাছে তওবা করবেন,যে জীবনেও আর এভাবে নামাজ কাজা করবেন না।
এক নাম্বার প্রশ্নের জবানে উল্লেখিত আমল গুলি করার পরামর্শ থাকবে।
(০৪)
আপনার আম্মুর যথাসম্ভব খেদমত করবেন। বড়দের সম্মান করবেন ছোটদের স্নেহ করবেন।
(০৫)
নিম্নের লিংকে দেয়া আমল গুলি করার পরামর্শ থাকবেঃ-