আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
52 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ উস্তাদ, স্ত্রী যদি উপযুক্ত  কারনে স্বামীর নিকট তালাক চায়। স্বামী মুখে তালাক বলতে চায় না।তালাকের অনুমতি দেয় না। খোলা তালাকের সম্মত হয় না।
কাজীর কাছে উপস্থিত করাও সম্ভব হয় না। রেজিস্ট্রি কাগজ না থাকায় আইনি ভাবে ডিভোর্স নেওয়ারও সুযোগ না থাকে।
পারিবারিক ভাবে তালাক মুখে বলে দিতে বলা হলেও ছেলে বলবে না জেদ ধরে। খুব জেদি আর রাগী।
ছেলের অবিভাবকও চায়, মেয়ের অবিভাবকও চায়,  মেয়েও চায় খুলা নিতে।
এখন, ছেলের গার্ডিয়ান ( বাবা বা ভাই)  এর কাছে খুলা তালাকের আবেদন জানালে তারাও সম্মত হয়।  ছেলের অবিভাবকের সহায়তায় খুলা তালাক নেওয়ার উপায় কি আছে?থাকলে কিভাবে নিতে হবে? কি কি বাক্য দ্বারা খুলা চাইতে হবে?মোবাইলে কনফারেন্সের মাধ্যমে ছেলেকে উপস্থিত রেখে কি খুলা নেওয়া সম্ভব?  কার কার উপস্থিতি থাকতে হবে? ছেলের বড়ভাইকে বিচারক হিসেবে রাখা যাবে?
 বিচারক বা কাজীর নিকট  তাকে নিয়ে  যাওয়া সম্ভব নয়।
জাঝাকুমুল্লাহ খইরান।

1 Answer

0 votes
by (660,930 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

স্বামীর পক্ষ থেকে যে তালাক দেয়া হয় সেটাকে তালাক বলা হয়।

আর স্ত্রীর পক্ষ থেকে কাযী সাহেব বা উনার স্থলাভিষিক্ত কারো নিকট তালাক চাওয়ার ভিত্তিতে মালের বিনিময়ে যে বিবাহ বিচ্ছেদ করা হয়, তাকে খোলা বলে।
,
যদি এক তালাকের উপর খোলা হয়ে থাকে,তাহলে এক তালাকে বায়েন পতিত হবে।
যদি কোনো সংখ্যা লেখা না থাকে, তাহলেও এক তালাকে বায়েন পতিত হবে।
এক্ষেত্রে ঐ স্ত্রীকে নিতে চাইলে,নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে। 
,
   
যদি তিন তালাকের উপর খোলা করে থাকে, তাহলে প্রথম স্বামীর জন্য ইদ্দত শেষ হয়ে গেলেও বিবাহ করা জায়েজ হবে না।
এক্ষেত্রে তিন তালাকই পতিত হবে।
,
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ , أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «جَعَلَ الْخُلْعَ تَطْلِيقَةً بَائِنَةً»

হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ খোলাকে এক তালাকে বাইন সাব্যস্ত করেছেন। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৪০২৫, মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১৮৪৪৮, মুজামে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-২৩০, আসসুনানুল কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৪৮৬৫}

,

وَلَا يَحِلُّ لَكُمْ أَن تَأْخُذُوا مِمَّا آتَيْتُمُوهُنَّ شَيْئًا إِلَّا أَن يَخَافَا أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۖ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا فِيمَا افْتَدَتْ بِهِ ۗ تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَعْتَدُوهَا ۚ وَمَن يَتَعَدَّ حُدُودَ اللَّهِ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ [٢:٢٢٩]

আর নিজের দেয়া সম্পদ থেকে কিছু ফিরিয়ে নেয়া তোমাদের জন্য জায়েয নয় তাদের কাছ থেকে।
কিন্তু যে ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই এ ব্যাপারে ভয় করে যে,তারা আল্লাহর নির্দেশ বজায় রাখতে পারবে না, অতঃপর যদি তোমাদের ভয় হয় যে,তারা উভয়েই আল্লাহর নির্দেশ বজায় রাখতে পারবে না, তাহলে সেক্ষেত্রে স্ত্রী যদি বিনিময় দিয়ে অব্যাহতি নিয়ে নেয়,তবে উভয়ের মধ্যে কারোরই কোন পাপ নেই। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা। কাজেই একে অতিক্রম করো না। বস্তুতঃ যারা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করবে,তারাই জালেম। [সূরা বাকারা-২২৯]

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি এভাবে তালাক নিতে চান, সেক্ষেত্রে স্বামীর জবান দিয়েই তালাক শব্দ বের করতে হবে। অন্য কোন পদ্ধতিতে পারিবারিক ভাবস তালাক নেওয়ার কোন সুযোগ নেই।

হ্যাঁ এক্ষেত্রে পরিবারের লোকজন যদি তাকে চাপ দিয়ে তার থেকে মৌখিকভাবে তালাক নেয়,তাহলে তালাক পতিত হয়ে যাবে।

অথবা তার দ্বারা জোড় করে বা স্ব-ইচ্ছায় নিকাহনামা লিখিয়ে নিয়ে সেখানে যদি স্বামী ১৮ নাম্বার ধারায় হ্যাঁ লেখে নিচে স্বাক্ষর দেয়, সেক্ষেত্রে স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা বলে নিজের নফসের উপর তালাক প্রদান করতে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
উস্তাদ, পারিবারিকভাবে তাকে চাপ দেওয়া হলে, তালাক চাওয়া হলে, খুলা তালাক আবেদন করা হলে সে বলে " আপনি অন্য খানে বিয়ে করে নেন "
 খুলা তালাক আবেদন করা হলে  শর্ত জুড়ে দেন, বলেন  ২ বার খুলা চাইলে তালাক হবে। তার পর তার কাছে দুইয়ের বেশি বার খুলা তালাক চাওয়া হয়েছে। শেষবার সে বলেছে, অন্যখানে বিয়ে করে নেন।
এদ্বারা কি তালাক পতিত হবে? 
by (660,930 points)
তালাকের নিয়তে বললে এক্ষেত্রে তালাক পতিত হয়ে যাবে। কিন্তু তিনি তালাকের নিয়তে বলেছিলেন কিনা! সেটা তার থেকে জেনে নিতে হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...