আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
48 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
১. আসসালামু আলাইকুম
আমি  দ্বীন মেনে চলার চেষ্টা করি। আমি চেয়েছিলাম একজন দ্বীনদার জীবনসঙ্গী। কয়েকমাস আগে আমার বিয়ে  সম্পন্ন হয়।আমার মা-বাবা জানতেন পাত্র পরহেজগার মনে করে আমাকে জোর করে বিয়ে দেয়।। আমি চিন্তা করে রেখেছিলাম যদি উনি সত্যিকারের পরহেজগার হয়ে থাকেন তাহলে আমি উনার সাথে সংসার চালিয়ে যাব আর যদি  না হন তাহলে চেষ্টা করব ওনাকে দিনের পথে আনার। মানসিকভাবে প্রস্তুত না থাকার কারণে আমি প্রথম রাখতে উনার সাথে সহবাস করা থেকে বিরত থাকি উনার সম্মতি নিয়ে।বিয়ের একদিন পর আমি  দেখলাম উনি ধূমপানে আসক্ত। তখন আমি ওনাকে ওয়াদা করাই যেন উনি ধূমপান ছেড়ে দেন। ছেড়ে দিবেন বলে এখনো পর্যন্ত চেষ্টা করেনি ছাড়া। মনের মধ্যে ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার কোন ইচ্ছেই আমি দেখতেছি না। যদিও উনি আমার পর্দা মেইন্টেন করার ব্যাপারে অনেক সচেতন কিন্তু উনি নামাজের প্রতি উদাসী। এইছাড়াও আর অনেক কিছু আছে যা হারাম জেনে ও সেসব কাজ করে যাচ্ছে। এবং আমাকেও করতে বাধ্য করছে। অনেক সময় উনি ফজরের ওয়াক্ত সহবাস করতে চাইলে আমি ওনাকে বলেছিলাম নামাজ পড়ে নেন তারপরে। তখন উনি আমাকে বললেন হাদিসে আছে স্বামী যদি ডাকে তাহলে ওয়াক্তের নামাজ বাদ দিয়ে হলেও স্বামীর ডাকে সাড়া দিতে হবে স্বামীকে খুশি করতে হবে তারপরে নামাজ কমপ্লিট করতে হবে। স্বামী এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ একজন স্ত্রীর কাছে। আর আমি উনাকে এই ধরনের কথা বলার কারণে উনি  প্রায় সময় আমাকে বলেন যে আমি নাকি দ্বীনের কোন কিছুই মেনটেন করতেছি না।
এই কয়েক মাস চেষ্টা করেও আমি উনার মধ্যে কোন পরিবর্তন আনতে পারিনি। বরং আমার মনে হচ্ছে আমি আস্তে আস্তে  দ্বীনের পথ থেকে দূরে সরে যাচ্ছি।
এছাড়াও আমি হাজার চেষ্টা করেও এই বিয়ে প্রতি এবং উনার প্রতি আমার মন বসাতে পারছিনা। যদিও চেষ্টা করছি উনাকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করার ততই উনি এমন কিছু  করেন যা ইসলামী নিষেধ। যেমন গান শোনা ইত্যাদি।
উনার কথা অনুযায়ী বিয়ের মূল উদ্দেশ্য সহবাস করা এবং অধিকতর সন্তান জন্ম দাওয়া। এখনো পর্যন্ত আমি শুধু আমার মা-বাবার জন্য মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেছি।আমি কখনোই আমার রবের কাছ থেকে দূরে যেতে চাই না। তারপর আমার কাছে মনে হচ্ছে এ সম্পর্কটা কারণে আমি আমার রবের  কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছি।খুব স্বপ্ন ছিল যে বিয়ের পরে আমি আমার স্বামীকে সর্বোচ্চ ভালবাসবো এবং আমি একজন আদর্শ স্ত্রী হবো যেমনটা ছিলেন খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহু,।কিন্তু উনার কৃতকর্মগুলো আমার মন থেকে উনাকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে এবং আমি কোন ভাবে আমার দায়িত্ব পালন করলেও একজন আদর্শ স্ত্রী হয়ে উঠতে পারতেছি না।
আমার স্বামী আমার সঙ্গ চাচ্ছেন। সন্তান নিতে চাচ্ছেন। কিন্তু উনার সঙ্গে আমার ভালো লাগেনা এবং আমি চাইনা আমার সন্তান উনার মত হোক যেহেতু উনি বাবা উনার দোষ গুন গুলোও তার মধ্যে থাকবে
তাই আমি সন্তান নিতে সময় নিচ্ছি।
কিন্তু এসব কারণে উনি আমাকে বলছেন আমি নাকি উনার হক ঠিক মত আদায় করছি না আর এর জন্য আমার কোন ইবাদত কবুল হবে না। উনি আবার আমাকে অভিশাপ দিচ্ছেন যে আমি নাকি ওনাকে কষ্ট দিচ্ছি আর এই কষ্টগুলো নাকি আমি দ্বিগুণভাবে ফিরে পাব।
তাই এখন আমি জানতে চাচ্ছি আসলে কি আমি এখানে দোষী?
আমার এখন কি করা উচিত? উনার অভিশাপ টা কি আসলেই আমার প্রাপ্য? আমি কি আসলে স্বামী র
পালন করতে পারছি না? ইসলাম অনুযায়ী
আমাকে এরপরও এখান দিয়ে সংসার চালিয়ে নেওয়া উচিত?  ইসলাম এর নিয়ম অনুযায়ী এই বিয়েটা কি সঠিক হয়েছে?

২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
আমাদের ঘরে কিছু বিড়াল আছে। ফিমেইল গুলো ৩,৪ মাস‌ পর পর বাচ্চা দিবে। আর এতগুলো বাচ্চা আব্বু আম্মু রাখতে রাজি না। তাছাড়া একজনের একবার মিসক্যারিজ হওয়ায় বারবার প্রেগন্যান্সি রিস্কি তার জন্য। অন্যদিকে মেইলে গুলো এডাল্ট হলে যেখানে সেখানে নাপাক করে ফেলার ভয় আছে। এসব বিবেচনা করে বিড়ালদের বন্ধ্যা করণ জায়েজ হবে?

৩. Assalamu Alaikum আমার মনে হয় আল্লাহ আমাকে দেখতে পারে না। ছোটবেলা থেকে আল্লাহর  প্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছি। কোনোভাবে পারছি  না। ২২ টা বছর হয়ে গেল।আর বাচতে ইচ্ছা করে না।শুধু খাই,ঘুমাই শেষ।৬বছর দরে কোনো ইদে আনন্দ পাই না। যে কষ্টে আমি আছি কাউকে বলতে পারছি না। আল্লাহ তায়ালার কাছে চাইছি। কী করব?

৪. আসসালামু আলাইকুম, আমার কালোজাদুর সমস্যা আছে রুকিয়া করানো হয়েছে রুকিয়ার দ্বিতীয় সেশন করানোর এক মাস হচ্ছে আমল গুলো ঠিকঠাক মতো চলতেছে,, আমার বিয়ে বন্ধের জাদুও করা হয়েছে ,,কিন্তু কয়েকদিন ধরে লক্ষ্য করছি আমি যখন ঘুমাই তখন মনে হয় অদৃশ্য কেউ একজন আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করছে,, যখন রাকি কে জানাই উনি আশিক জিনের  সমস্যার আমল দিছে,, তারপরও হুটহাট করে এমন সমস্যা হচ্ছে,, আমার কথা হচ্ছে যদি আমি স্বপ্নে এরকম দেখি অদৃশ্য কেউ আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করছে,, আমাকে কি ঘুম থেকে উঠে ফরজ গোসল করতে হবে?? ফরজ গোসল না করে কি আমি নামাজ বা কোরআন শরীফ পড়তে পারবো ??

৫. আসসালামু আলাইকুম,  আমার জ্বিন,  যাদুর সমস্যা আছে অনেক দিন যাবত। রুকিয়া করি।দেখা  যায় মাঝে মধ্যে প্রচন্ড রাগ উঠে যায়, তখন আপন মা, বাবা, স্বামীর সাথে খুব খারাপ আচরণ করি, গালাগালি করি। এতে কি আমার গুনাহ হচ্ছে। আমি শুনছি স্বামী অসন্তুস্ট থাকলে ইবাদাত কবুল হয়না। মাকে কস্ট দেওয়া কবিরা গুনাহ। কি করব আমি নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি শয়তানের ওয়াস ওয়াসায় পড়ে। এখন আমি ইবাদত করতে গিয়ে মনে হচ্ছে আমার কোন ফরজ ইবাদত কবুল হবে না। আমি কি গুনাহগার?

৬. আউটডোর গেমস এর জন্য কেউ যদি খোলা মাঠ বানিয়ে খেলে। অন্যরা টাকার বিনিময় খেলবে এমন বিজনেস কি জায়েজ আছে?

৭. .ক.আমি সাবালিকা হওয়ার পর রোজা ও নামাজ ঠিক মতো পড়তাম না।তো এখন পুর্বের রোজার ও নামাজের কাফফারা বা কাজা কি করে হিসাব করে আদায় করবো???
খ. আগে না বুঝে কথায় কথায় কসম কাটতাম। এখন এই কসমের বেশির ভাগ ভেগে ফেলছি।এখন আমার করনীয় কি?? কসমের কাফফারা কি করে দিবো??
গ.অনেক সময় দেখা অজু অবস্থায় বাইরে গেলে ফোনে কুরআন তেলাওয়াত করি।অনেক সময় এমন হয় কুরআন তেলাওয়াত কালীন সময় পিরিয়ড হয় কিন্তু বুঝতে পারিনা এতে আমার কি গুনাহ হবে???
ঘ.দুয়ার উসিলায় আল্লাহ ভাগ্য পরিবর্তন করে দেন।যদি কেউ বার বার যাদুতে আক্রান্ত হয়??তখন?

1 Answer

0 votes
by (686,640 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহিসসালাম বলেছেন,
 ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺇﻧﻤﺎ ﺍﻟﻄﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﻌﺮﻭﻑ 
গোনাহের কাজে কারো অনুসরণ করা যাবে না,অনুসরণ একমাত্র নেককাজ সমূহেই করা যাবে। (সহীহ বুখারী-৭২৫৭,সহীহ মুসলিম-১৮৪০) 

অন্যত্র বর্ণিত আছে
 ﻟَﺎ ﻃَﺎﻋَﺔَ ﻟِﻤَﺨْﻠُﻮﻕٍ ﻓِﻲ ﻣَﻌْﺼِﻴَﺔِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ 
আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(মুসনাদে আহমদ-১০৯৮) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1722

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। 
(সূরা ফাতির-১৮) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/295

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ফজরের নামাযকে কাযা করে সহবাস করা বা এমন সময় সহবাস করা যখন সঠিক সময়ে নামায পড়তে বিঘ্নতা সৃষ্টি হবে। স্বামীর এরকম আবেদনে সাড়া দেওয়া ওয়াজিব না এমনকি জায়েযও হবে না। তাছাড়া অন্য সময় নিজের শারিরীক কোনো সমস্যা না থাকলে স্বামীর ডাকে সাড়া দেওয়া ওয়াজিব। যেহেতু বিয়ে হয়েই গেছে, তাই বিচ্ছেদের চিন্তা না করে বরং সুখময় সংসার স্থাপনের সকল প্রকার চেষ্টা করতে হবে, তাকে হেদায়তে নিয়ে আসার সকল প্রকার চেষ্টাকে অভ্যাহত রাখতে হবে। চেষ্টা পরও যদি স্বামী গোনাহের কাজে লিপ্ত থাকে, তাহলে এজন্য গোনাহ কিন্তু স্বামীরই হবে। স্ত্রীর এক্ষেত্রে কোনো গোনাহ হবে না। স্বামী গোনাহের কাজে জড়িত থাকলে তখন স্ত্রীর জন্য তালাক চাওয়া বা খুলা তালাকের আবেদন করার অনুমোদন থাকবে। এক্ষেত্রে স্ত্রীর কোনো গোনাহ হবে না।

(২) বিড়ালদের বন্ধ্যা করণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4980

(৩) এরকম চিন্তা গোমরাহি ও ঈমান বিধ্বংসী। সুতরা এরকম চিন্তার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।
এবং একনিষ্ঠতার সাথে আল্লাহর ইবাদত করুন।

(৪) ঘুমে অদৃশ্য কেউ যদি আপনার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে, এবং ঘুম থেকে উঠে বীর্যর কোনো চিহ্ন দেখতে না পান, তাহলে আপনাকে ফরয গোসল করতে হবে না। আমি নামাজ বা কোরআন শরীফ পড়তে পারবেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/11414

(৫)  জ্বী, মাতাপিতার ও স্বামীর সাথে মন্দ আচরণ করার জন্য আপনার গোনাহ হবে। তবে যদি মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আপনি এগুলো করে থাকেন, তথা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন, তাহলে আপনার গোনাহ হবে না।

(৬) প্রশ্নে বর্ণিত এমন বিজনেস জায়েয হবে না।

(৭) (ক) অতীতের সবগুলো নামায রোযাকে এখন অনুমান করে কাযা আদায় করতে হবে। রোযা রেখে ভঙ্গ করলে তখন কাফফারাও দিতে হবে।

(খ) অতীতের ভেঙ্গে ফেলা সব রকম কসমের কাফফারা আপনাকে দিতে হবে।

(গ) কুরআন তেলাওয়াত কালীন সময় পিরিয়ড শুরু হলে যদি তখন বুঝা না যায়, তাহলে এক্ষেত্রে আপনার কোনো গুনাহ হবে না।
(ঘ) দুয়ার উসিলায় আল্লাহ ভাগ্য পরিবর্তন করে দেন।যদি কেউ বার বার যাদুতে আক্রান্ত হয় তখনও আল্লাহ ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...