বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহিসসালাম বলেছেন,
ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺇﻧﻤﺎ ﺍﻟﻄﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﻌﺮﻭﻑ
গোনাহের কাজে কারো অনুসরণ করা যাবে না,অনুসরণ একমাত্র নেককাজ সমূহেই করা যাবে। (সহীহ বুখারী-৭২৫৭,সহীহ মুসলিম-১৮৪০)
অন্যত্র বর্ণিত আছে
ﻟَﺎ ﻃَﺎﻋَﺔَ ﻟِﻤَﺨْﻠُﻮﻕٍ ﻓِﻲ ﻣَﻌْﺼِﻴَﺔِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ফজরের নামাযকে কাযা করে সহবাস করা বা এমন সময় সহবাস করা যখন সঠিক সময়ে নামায পড়তে বিঘ্নতা সৃষ্টি হবে। স্বামীর এরকম আবেদনে সাড়া দেওয়া ওয়াজিব না এমনকি জায়েযও হবে না। তাছাড়া অন্য সময় নিজের শারিরীক কোনো সমস্যা না থাকলে স্বামীর ডাকে সাড়া দেওয়া ওয়াজিব। যেহেতু বিয়ে হয়েই গেছে, তাই বিচ্ছেদের চিন্তা না করে বরং সুখময় সংসার স্থাপনের সকল প্রকার চেষ্টা করতে হবে, তাকে হেদায়তে নিয়ে আসার সকল প্রকার চেষ্টাকে অভ্যাহত রাখতে হবে। চেষ্টা পরও যদি স্বামী গোনাহের কাজে লিপ্ত থাকে, তাহলে এজন্য গোনাহ কিন্তু স্বামীরই হবে। স্ত্রীর এক্ষেত্রে কোনো গোনাহ হবে না। স্বামী গোনাহের কাজে জড়িত থাকলে তখন স্ত্রীর জন্য তালাক চাওয়া বা খুলা তালাকের আবেদন করার অনুমোদন থাকবে। এক্ষেত্রে স্ত্রীর কোনো গোনাহ হবে না।
(৩) এরকম চিন্তা গোমরাহি ও ঈমান বিধ্বংসী। সুতরা এরকম চিন্তার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।
এবং একনিষ্ঠতার সাথে আল্লাহর ইবাদত করুন।
(৪) ঘুমে অদৃশ্য কেউ যদি আপনার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে, এবং ঘুম থেকে উঠে বীর্যর কোনো চিহ্ন দেখতে না পান, তাহলে আপনাকে ফরয গোসল করতে হবে না। আমি নামাজ বা কোরআন শরীফ পড়তে পারবেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/11414
(৫) জ্বী, মাতাপিতার ও স্বামীর সাথে মন্দ আচরণ করার জন্য আপনার গোনাহ হবে। তবে যদি মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আপনি এগুলো করে থাকেন, তথা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন, তাহলে আপনার গোনাহ হবে না।
(৬) প্রশ্নে বর্ণিত এমন বিজনেস জায়েয হবে না।
(৭) (ক) অতীতের সবগুলো নামায রোযাকে এখন অনুমান করে কাযা আদায় করতে হবে। রোযা রেখে ভঙ্গ করলে তখন কাফফারাও দিতে হবে।
(খ) অতীতের ভেঙ্গে ফেলা সব রকম কসমের কাফফারা আপনাকে দিতে হবে।
(গ) কুরআন তেলাওয়াত কালীন সময় পিরিয়ড শুরু হলে যদি তখন বুঝা না যায়, তাহলে এক্ষেত্রে আপনার কোনো গুনাহ হবে না।
(ঘ) দুয়ার উসিলায় আল্লাহ ভাগ্য পরিবর্তন করে দেন।যদি কেউ বার বার যাদুতে আক্রান্ত হয় তখনও আল্লাহ ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে পারেন।