১।আসসালামু আলাইকুম শায়েখ । কোন মানুষের মনে একটা বিষয় নিয়ে চিন্তা আসল সে আসলেই জানে না সে কুফরি জাতীয় কাজটা করেছে কিনা,চিন্তাও করেছিল কিনা, মনেও নায়।সে যদি ভয়ে তওব করে আর সেই কাজ করবে না তাহলে কি তার ঈমানের সমস্যা হবে?? এটা কি কুফরির মিথ্যা শিকারোক্তি হবে?আসলে ওয়াসওয়াসার কারণে হয়ত সে কিছু সময় পর পর তওবা করা হয় ভয়ে তাই সব বিষয়ে তওবা করা চলে আসে ভয়ে।
আর স্বাভাবিক মানুষ হলেও কি কোন সমস্যা হবে?
২।কোন স্বাভাবিক বা ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত মানুষ যদি শুধু প্রশ্নের উত্তর জানার উদ্দেশ্য কোন কুফরি কথা নিজের দিকে ইন্গিত করে করে থাকে এই সাইটে ,সে যদি এমন করে না থাকে বা করেছে কিনা মনে না থাকে বা সন্দেহে থাকে শুধু জানার জন্য উত্তর জিজ্ঞেস করে তাহলে কি তার ঈমান চলে যাবে?
৩।ছোট বেলায় ১৪_ ১৫ বছর বয়সে বালেগ হওয়ার পর ধরেন কারো মনে মানুষের মুখে নানা রকম শোনার কারনে ওয়াসওয়াসা আসত হয়ত ঈসলাম,হিন্দু, খ্রিস্টান এসব এক সবাই একই সৃষ্টিকর্তাকে মানে।বড়দের জিজ্ঞেস ও করল জানার জন্য ।আবার চলেও গেল এমন চিন্তা।মানে তখন তহ অনেক কিছু জানার আগ্রহ থাকে। এসব ওয়াসওয়াসা আর সন্দেহের কারণে কি ঈমান চলে যায়?
৪।কোন মানুষ কিছু ফতোয়া এই সাইট থেকে যদি নিয়ে থাকে ২-৩ বছর আগে।হঠাত তার যদি ওয়াসওয়াসা যে আসে এই ফতোয়া সে ঠিক ভাবে বুঝিয়ে নিয়েছিল কিনা,নাকি নিজে যা মনে চেয়েছে যারটা মানতে চেয়েছে মেনেছে কারন একটা প্রশ্ন অনেকবার করা হত ঠিকভাবে বুঝানোর জন্য হয়তোবা ।মানুষটি ধরেন মারাত্মক ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত সব কিছু নিয়ে।২_৩ বছর ভালো ছিল হঠাৎ এমন সন্দেহ আসলে তার কি আবার প্রশ্ন করা উচিত হবে? নাকি ওয়াসওয়াসা পরিহার করে আগে যেভাবে ছিল সেভাবে থাকবে?এতে কি কোন গুণাহ হবে?
৫।
৫।কেউ ফতোয়া নিয়েছে আহলে কিতাবের অনুসারী মতে জবাই কৃত পশু খাওয়া জায়েজ বা হালাল।সে অন্য কাউকে বলার সময় বলেছে "আমি জিজ্ঞেস করেছি একটা হুজুর থেকে ওনি বলছে এরকম খাওয়া জায়েজ এবার আমি জানি না"।জানি না এটা অস্বীকারের উদ্দেশ্য বা সন্দেহ নিয়ে বলে নি এমনিতে মুখ দিয়ে বের হয়েছে। ঈমান নিয়ে ওয়াসওয়াসা আসার কারনে সে সবসময় ভয়ে থাকে কোন কথার দ্বারা ইমান চলে যাওয়ার তাই সে কি বলবে কিভাবে বলবে এটা নিয়ে টেনশনে থাকে।আবার পরে বলেছে "জানি না তা না যেহেতু হুজুরে বলেছে এটাই হবে"।এরকারনে কি ঈমান নষ্ট হবে?
৬। একটা লোক ভুলে গিয়ে কুরবানকে ফরজ নাকি ওয়াজিব জিজ্ঞেস করল তার বোনকে জানার জন্য শুধু।এরপর এক বোন বলে ওয়াজিব । এরপর তার আরেক বোন বলে কেন ফরজ হবে যারা পারে না তারা কিভাবে করবে? তারপর লোকটি বলল হজ্জ তহ ফরজ সামর্থ্য না থাকলে তহ হজ্জ ফরজ না।এখানে লোকটি মেনে নিছে ওয়াজিব শুনার পর, লাস্টের কথাটা বলেছে মানে হজ্জের কথাটা শুধু এটা বুঝানোর জন্য যে আল্লাহ কারো সামর্থ্যের বাইরে কোন কিছু করতে দেয় নি মানে ফরজ ও ।শুধু এটা বুঝাতে এমন বললে উপরের কথাটি বললে কি তার ঈমানে সমস্যা হবে?ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত তহ সব কথাতে ভয় লাগে।