আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
edited by
১।আসসালামু আলাইকুম শায়েখ । কোন মানুষের মনে একটা বিষয় নিয়ে চিন্তা আসল সে আসলেই জানে না সে কুফরি জাতীয় কাজটা করেছে কিনা,চিন্তাও করেছিল কিনা, মনেও নায়।সে যদি ভয়ে তওব করে আর সেই কাজ করবে না তাহলে কি তার ঈমানের সমস্যা হবে?? এটা কি কুফরির মিথ্যা শিকারোক্তি হবে?আসলে ওয়াসওয়াসার কারণে হয়ত সে  কিছু সময় পর পর তওবা করা হয় ভয়ে তাই সব বিষয়ে তওবা করা চলে আসে ভয়ে।

আর স্বাভাবিক মানুষ হলেও কি কোন সমস্যা হবে?

২।কোন স্বাভাবিক বা ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত মানুষ যদি শুধু প্রশ্নের উত্তর  জানার উদ্দেশ্য কোন কুফরি কথা নিজের দিকে ইন্গিত করে করে থাকে এই সাইটে ,সে যদি এমন করে না থাকে বা করেছে কিনা মনে না থাকে বা সন্দেহে থাকে  শুধু জানার জন্য উত্তর জিজ্ঞেস করে তাহলে কি তার ঈমান চলে যাবে?

৩।ছোট বেলায় ১৪_ ১৫ বছর বয়সে বালেগ হওয়ার পর ধরেন কারো মনে মানুষের মুখে নানা রকম শোনার কারনে ওয়াসওয়াসা আসত হয়ত ঈসলাম,হিন্দু, খ্রিস্টান এসব এক সবাই একই সৃষ্টিকর্তাকে মানে।বড়দের জিজ্ঞেস ও করল জানার জন্য ।আবার চলেও গেল এমন চিন্তা।মানে তখন তহ  অনেক কিছু জানার আগ্রহ থাকে। এসব ওয়াসওয়াসা আর সন্দেহের কারণে কি ঈমান চলে যায়?

৪।কোন মানুষ কিছু ফতোয়া এই সাইট থেকে যদি নিয়ে থাকে ২-৩ বছর আগে।হঠাত তার যদি ওয়াসওয়াসা যে আসে এই ফতোয়া সে ঠিক ভাবে বুঝিয়ে নিয়েছিল কিনা,নাকি নিজে যা   মনে চেয়েছে যারটা মানতে চেয়েছে মেনেছে কারন একটা প্রশ্ন  অনেকবার করা হত ঠিকভাবে বুঝানোর জন্য হয়তোবা ।মানুষটি ধরেন মারাত্মক ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত  সব কিছু নিয়ে।২_৩ বছর ভালো ছিল হঠাৎ এমন সন্দেহ  আসলে তার কি আবার প্রশ্ন করা উচিত হবে? নাকি ওয়াসওয়াসা পরিহার করে আগে যেভাবে ছিল সেভাবে থাকবে?এতে কি কোন গুণাহ হবে?

৫।

৫।কেউ ফতোয়া নিয়েছে আহলে কিতাবের অনুসারী মতে জবাই কৃত পশু খাওয়া জায়েজ বা হালাল।সে অন্য কাউকে বলার সময় বলেছে "আমি জিজ্ঞেস করেছি একটা হুজুর থেকে ওনি বলছে এরকম খাওয়া জায়েজ এবার আমি জানি না"।জানি না এটা অস্বীকারের উদ্দেশ্য বা সন্দেহ নিয়ে  বলে নি এমনিতে মুখ দিয়ে বের হয়েছে। ঈমান নিয়ে ওয়াসওয়াসা আসার কারনে সে সবসময় ভয়ে থাকে কোন কথার দ্বারা ইমান চলে যাওয়ার তাই সে কি বলবে কিভাবে বলবে এটা নিয়ে টেনশনে থাকে।আবার পরে বলেছে "জানি না তা না যেহেতু হুজুরে বলেছে এটাই হবে"।এরকারনে কি ঈমান নষ্ট হবে?

 ৬। একটা লোক ভুলে গিয়ে কুরবানকে ফরজ নাকি ওয়াজিব জিজ্ঞেস করল তার বোনকে জানার জন্য শুধু।এরপর এক বোন বলে ওয়াজিব । এরপর তার আরেক বোন বলে কেন ফরজ হবে যারা পারে না তারা কিভাবে করবে? তারপর লোকটি বলল হজ্জ তহ ফরজ সামর্থ্য না থাকলে তহ হজ্জ ফরজ না।এখানে লোকটি  মেনে নিছে  ওয়াজিব শুনার পর, লাস্টের কথাটা বলেছে  মানে হজ্জের কথাটা শুধু এটা  বুঝানোর জন্য  যে আল্লাহ কারো সামর্থ্যের বাইরে কোন কিছু করতে দেয় নি মানে ফরজ ও ।শুধু এটা বুঝাতে এমন বললে উপরের কথাটি বললে কি তার ঈমানে সমস্যা হবে?ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত তহ সব কথাতে ভয় লাগে।

1 Answer

0 votes
by (689,100 points)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা  আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন।
https://idaars.com/courses/waswasa/

বিঃদ্র
ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...