আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
51 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (8 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। আমার স্বামী মনে হয় ঈমান,শিরক,কুফরি শব্দ এগুল নিয়ে বিস্তারিত জানে না কিছু।আমার প্রবল ধারণা সে সব কিছু জানে না।এমনিতে নামাজ পড়ে তবে অনিয়মিত,তবে রোজা সব রাখে।আমরা দূরে থাকি। ফোনে কথা হয়।আমি জানি ওর এসব নিয়ে জানতে হবে।এসব বিষয়ে ফোনে বুঝানো সম্ভব হয় না মাঝে মাঝে রেগেও যেতে পারে আমি বেশি বেশি করলে,গেছিল ও একবার।আমিও বিস্তারিত জানি না এসব নিয়ে এখনো একটা একটা শেখতেছি তবে স্বামীর চাইতে হয়ত একটু হলেও জানি।

১।আমার মন সবসময় খারাপ থাকার কারনে তার মন ও খারাপ ছিল।আসলে আমার খারাপ ছিল যে তাকে কিভাবে এসব শেখাব বুঝাব এসব নিয়ে ভয়ে ছিলাম।আমি বলি তুমি তহ আমার কথা শুন না,বুঝাতে পারি না এতটুকু বলার পর সে বুঝতে পারে এবং  বলে "শুনব না তুমার কথা,সবসময় মন খারাপ করে বসে থাক নাই হাসি মুখে"।সে আসলে এসব নিয়ে না শেখার উদ্দেশ্য বলে নি শুধু স্ত্রীর মন খারাপ থাকে সবসময় তাই রেগে বলেছে।এতে কি কোন সমস্যা হবে?

২।কিভাবে তাকে আমি এসব শেখাব জানি না।তবে  সে আমাকে বলেছে  শেখাতে তাকে ।তাকে কি ধীরে ধীরে মাঝে মধ্যে একটা একটা বলে বলে শেখাব কারণ ফোনে তহ মাঝে মাঝে রেগেও যেতে পারে? সে আমাকে বলে সে যখন নামাজ পড়ে তখন তওবা করে সব কিছুর জন্য।এতে অজান্তে কুফরি হয়ে থাকলে কি মাফ হবে?আমার ভয় থাকে ঈমান আর বিয়ে নিয়ে।

৩।ইসলামের একটা বিষয় নিয়ে বলতেছিলাম।সে অন্য বিষয় দেখে নিয়ে এমনিতে হাসতেছিল।আমি বলি ইসলসমের বিষয় নিয়ে হাসলে ঈমান চলে যায়।সে বলে তুৃমি আমাকে জ্ঞান  দাও আমি তহ এমনিতে হাসি যে।আসলে সবসময় তার মুখে হাসি থাকে ইসলামের বিষয় নিয়ে না।এতে কি সমস্যা হবে?

৪।পরে যখন জানতে পারি তাদের একটা হারাম কাজের ট্রেনিং দেওয়াবে।ওটা করে ইনকাম করবে না। তহ আমি বলি এটা শুনে তহ আমার মন খারাপ হয়ে গেছে।স্বামী হাসতে হাসতে  বলে 'থেথ অদ্ভুদ মানুষ তুমি'। তার পর বলে 'ওটার ডিপার্টমেন্ট আলাদা ওগুলো করার জন্য আলাদা মানুষ আছে'। এসব বলার কারণে কি কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (716,130 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওযর বিল জাহালত গ্রহণযোগ্য। চায় এ'তেকাদি মাসাঈল সম্পর্কিত হোক বা ফেকহী শাখাপ্রশাখাগত মাসাঈল সম্পর্কিত হোক। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন,
( رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا )
হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না।(সূরা বাকারা-২৮৬)

অন্য এক আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
(وَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ فِيمَا أَخْطَأْتُمْ بِهِ وَلَكِنْ مَا تَعَمَّدَتْ قُلُوبُكُمْ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا)
এ ব্যাপারে তোমাদের কোন বিচ্যুতি হলে তাতে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, তবে ইচ্ছাকৃত হলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা আহযাব-৫)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4560

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার স্বামীকে ধীরেসুস্থে দ্বীন শিখাবেন। আপাতত আপনাদের সংসারে কোনো সমস্যা হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (8 points)
***আরেকটা প্রশ্ন তওবা করার সময় অনুতপ্ত হওয়া এটা কেমন?  এটা কি মুখে বলতে হয় নাকি মাফ চেয়ে পরবর্তীতে করবে না বলে কান্না চলে আসে বা করে শাস্তির ভয়ে  এটা অনুতপ্ত হওয়া বোঝায়?*
by (716,130 points)
নিজে ভূল করেছেন, সেটা অন্তর দ্বারা অনুভব করা। ‘

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...