আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
14 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (50 points)
•) উস্তায আমার প্রশ্ন হলো: আমি আজকে আমার আগের মাদ্রাসায় গিয়েছিলাম সেখানে দেখলাম একটা বড় বোর্ড যেখানে লেখা এই মাদ্রাসা থেকে কারা কারা হিফজ শেষ করেছে তো সেখানে লেখা ২০২০ এ আমি হিফজ শেষ করেছি । আসলে উস্তায একটা দুঃখজনক বিষয় হয়েছিল বয়সও কম ছিল তো তখন করোনার টাইম ছিল তো এমনও হয়েছে অনলাইনে আমি দেখে দেখে উস্তাযকে কুরআন পড়া শুনিয়েছিলাম অথচ না দেখে পড়া শুনানোর কথা ছিল। অনেকেই জানে আমি ২০২০ এ হিফজ শেষ করেছি। আনুষ্ঠানিক ভাবে ২০২০ এ আমি হিফজ শেষ করেছি এই হিসেবে আমাকে ২০২০ এ পুরস্কার দেওয়া হয়।মানে সত্যতা হলো ২০২০ এ আমি হিফজ শেষ করিনি পরবর্তীতে আমি যেই পৃষ্ঠা গুলো ২০২০ এ অনলাইনে এবং পরবর্তীতে অফলাইনে ক্লাস শুরু হওয়ার পর শোনানো হয়নি সেই পৃষ্ঠাগুলো আবার অন্য একজন উস্তাযকে না দেখে শুনিয়েছি ২০২১ এ । মানে আমার হিফজ শেষ হয়েছে পরবর্তীতে ২০২১ এ। কিন্তু মাদ্রাসায় যে লেখা যে আমি ২০২০ এ হিফজ শেষ করেছি এখন এইটা প্রতারণা হবে?
(১) তখন ভুল করেছি কিন্তু এখন যে লেখা আছে ২০২০ এ আমি হিফজ শেষ করেছি । ঐখানে লেখা থাকার জন্য আমার গুনাহ হবে?
(২) আমার করণীয় কি? ঐখানে এটা লেখা থাকলে আমি কি সরিয়ে ফেলতে বলবো? কিন্তু ঐখানেতো আরো অনেকের নাম আছে? আর সরিয়ে ফেলতে বললে কারণ কি বলবো? না সরালে আমার গুনাহ হবে?

•) একটা সংগঠন আছে তারা যুবকদেরকে নিয়ে বিভিন্ন দ্বীনি কাজ করেন। এখন তারা তাদের কাজের জন্য যে ফান্ড সংগ্রহ করেন। আমাকে তাদের একজন বলেছেন লেখা থাকে যে এখানে হারাম টাকা না পাঠানোর জন্য। এখন তাদের জন্য টাকা নেয়া হালাল হবে যদি হারাম টাকা দেয় কেউ ?

৩) লেখা আছে যেনো কেউ হারাম টাকা না দেয় এইকারনে একটা লেখা আছে। এখন কেউ যদি এরপরও হারাম টাকা দেয় তারা ব্যবহার করতে পারবেন কি তাদের জন্য হালাল হবে?

৪)উস্তায তাদের যেই সদস্যগণ আছেন তাদের থেকে তারা একটা টাকা নেন। এখন এটাতো কমন সেন্স যে এমন একটা সংগঠনে হালাল টাকা দেয়া কিন্তু এখন যদি কেউ হারাম টাকা দেয় এটা তারা গ্রহণ করতে পারবে?

(৫) ২২ তারিখে তারা বৃক্ষরোপণ প্রোমোটের জন্য একটা rally বের করতে চাচ্ছেন এখন তারা তাদের ফান্ডের টাকা দিয়ে শার্ট, চারা এগুলো কিনলে সেই শার্ট আমি পরিধান করতে পারবো ?আমার জন্য হালাল হবে?

(৬) তাদের সদস্যদের মধ্যে কেউ হারাম টাকা যদি দেয় । যেহেতু টাকা মিক্স হয়ে যায় হালাল হারাম আলাদা না করলে এখন ওই টাকা দিয়ে কর্মসূচির জন্য একটা শার্ট কিনে আমাকে পরিধান জন্য দিলে আমার জন্য পরিধান করা হালাল হবে??

(৭) বায়ু ত্যাগ করলে পায়খানার রাস্তায় আদ্র ভাব তৈরি হয় একটু ভেজা লাগে বেশি না। এখন এটাকি টিস্যু দিয়ে মুছতে হবে?

 নাকি না মুছেই আমি কুরআন না ধরে মুখস্থ তিলাওয়াত করতে পারবো?

1 Answer

0 votes
by (659,460 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
কুরআন হিফজ করতে  গিয়ে দেখে দেখে উস্তাযকে কুরআন পড়া শুনানোর দরুন আপনার গুনাহ হয়েছে,ধোকা ও প্রতারণার গুনাহ।

এর জন্য মহান আল্লাহর কাছে খালেস দিলে তওবা করতে হবে।

(০২)
না সরালে আপনার গুনাহ হবেনা।
যেহেতু পরবর্তীতে আপনি ২০২১ সনে না দেখেই আরেকজন উস্তাদের কাছে পড়া শুনিয়েছেন,  সুতরাং আপনার আর কোন সমস্যা হবে না।

(৩-৪)
এক্ষেত্রে কেউ যদি হারাম টাকা দেয়, তাহলে সেই টাকা তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে।

সে ফিরিয়ে না নিলে ঐ টাকা গরিব মিসকিনদের মাঝে দান করে দিবেন।

(০৫)
হ্যাঁ, পারবেন।
শরীয়তের গন্ডির মধ্যে থেকে কাজ করলে এটি হালাল হবে।

(০৬)
আপনি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হয়ে থাকলে সেই শার্ট ব্যবহার করা আপনার জন্য হালাল হবেনা।

(০৭)
না মুছেই আপনি কুরআন না ধরে মুখস্থ তিলাওয়াত করতে পারবেন।

তবে সত্যিই ভিজে গিয়ে থাকলে সেই কাপড় করে নামাজ পড়তে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...