আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
23 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
একটি সাধারণ মুসলিম পরিবারে আমার জন্ম। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তালা আমাকে দীনের বুঝ দিয়েছেন। তারপর থেকে আমার জন্য পাত্র খোজা তাদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। রমাদান এর আগে একটা প্রস্তাব আসে আমর পরিচিত এক দীনী বোনের দ্বরা। প্রথমে আমিই রাজি ছিলাম না কারন দুরুত্ব অনেক বেশি। পরে আমি ইসতেখার করি আলহামদুলিল্লাহ পজেটিভ লাগে৷ পরে আমি বারিতে বলি৷ তারা খোজ খবর নিয়ে মানা করে দেয়। তাদের মানা করে দেওয়ার কারন ছিল হচ্ছে দুনিয়ারবি আসবাব। দীন কে তারা প্রাধান্য দেন নাই। তারপর আমি বার বার ইস্তেখারা করতেই থাকি। আমার মন ওখানেই সায় দেয়৷ এর মদ্ধে অন্য জায়গা থেকও প্রস্তাব আসে আমি সেখানেও ইস্তেখারা করি,  আলহামদুলিল্লাহ আমি স্বপ্নে যা দেখেছিলাম তেমন কিছুই হয়েছিল। আল্লাহ তালা কল্যানকর ভাবে আমকে হেফাযত করেন। কিন্তু তাদের দুনিয়াবি আসবাব ভালো ছিল বলে আমার পরিবার এখানে রাজি ছিল। পরবর্তী তে আমি তাগিত দিয়ে দূরের ওই প্রস্তাব টা আগানোর জন্য বলি। র ইস্তেখারা আর দোয়া জারি রাখি। সব সময় এ আমার মানসিক অবস্থা ও সপ্ন গুলা অনুকুলে ছিল। তারপর ছেলেরা আসে তাদের পছন্দ হয়৷ তারপর আমাদের বাড়ি থেকে যায়,  আমাদের বাড়ির মানুষ এর পছন্দ হয় না৷ তাদের ঘরবাড়ি দুনিয়াবি আসবাব দেখে। তাদের মতে শুধু দীনদারিতা দিয়ে জীবন চলে না। আমি নিজেকে অনেক ভাবে বুঝাইতে চাই। কিন্তু আমার কোনো বুঝই আমার কাজে আসে না। আমি তাদের বলছি যে দুনিয়ায় আসবাব এর সব পরিস্থিতি আমি মানায় নিতে পারব। আর তাদের যে একেবারে খারাপ অবস্থা তা নয়। ছেলে আলহামদুলিল্লাহ জব করে। হয়ত আমদের সাথে ঠিক ঠাক কুফু মিলে নাই৷ এমন। এখন অন্য কথাও থেকে প্রস্তাব আসলে আমার অনেক বেশি রাগ হয়। আমার মেজাজ ধরে রাখা কষ্ট হয়ে যায়। এখন অন্য একজায়গা থেকে প্রস্তাব আসছে সেখানেও আমি ইস্তেখারা করছি, নেগেটিভ আসছে রেজাল্ট, আমার কাছে যেগুলা সমস্যা আমার পরিবার এর মানুষ এর কাছে ওই গুলা সমস্যা না। তাদের মতে আগে দুনিয়াবি আসবাব। তারপর অন্য কিছু দীন। আমার মনে হয় যদি পারিবারিক চাপে পরে আমার অন্য কথাও বিয়ে হয় আমি কখনই হয়ত মানায় নিতে পারব না। আর আমার পরিবারের মানুষ দের কেও মাফ করতে পারব না। আমর মন এখনো ওখানেই টানে খালি।
এখন আমর কি করা উচিত বলবেন ইন শা আল্লাহ

1 Answer

0 votes
ago by (693,030 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যখন কারো সামনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এসে উপস্থিত হবে।এবং সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না যে, সে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিবে।তাহলে এমন পরিস্থিতে তার জন্য উচিৎ ইস্তেখারা করা তথা ভালো দিক কে অন্বেষণ করা।অবশ্যই ইস্তেখারা, নামাযের মাধ্যমেই করবে। ইস্তেখারার পদ্ধতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ এক হাদীসে বলেন, দুই রা'কাত নামায পড়ে বিশেষ মনোযোগের সাথে (নিম্নে উল্লেখিত) দু'আ পড়বে।তাহলে হয়তো তার মন কোনো এক দিকে ধাবিত হবে,বা সে স্বপ্নযোগে কোনো এক ইশারা পাবে।  এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1472

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
 মাতাপিতা যেই জায়গায় সম্মত হবেন, সেই পাত্র নিয়ে ইস্তেখারা করবেন।  মাতাপিতার সম্মতি না নিয়ে ইস্তেখারা করবেন না। কেননা মাতাপিতার সন্তুষ্টি সন্তানের ভবিষ্যত কল্যাণের জন্য অতীব জরুরী। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...