আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
46 views
in পবিত্রতা (Purity) by (30 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লহ
১) আজ আমার ছেলে প্রস্রাব করে পা দুটো ভিজিয়ে ফেলছে বিকেলে। একটা শুকনো কাপড় দিয়ে মুছিয়ে কাপড় পরিয়ে দেই। তার কিছুক্ষণ পর পটি করে তখন পটি পরিস্কার করি। পটির রাস্তায় ভালো করে পরিস্কার হয়নি মানে ভেজা টিস্যু ইউজ করলে হালকা হলুদ হয় এরকম। আমি ভেজা টিস্যু দিয়ে পুরো শরীর তখন মুছে ফেলি কিন্তু মন সায় না দেওয়ায় কুসুম গরম পানিতে ওকে গোসল করাই। আমি একদম ভুলে গিয়েছিলাম ওর পটির জায়গায় এখনো পরিস্কার হয়নি কারণ টিস্যু হালকা হলুদ বর্নের হতো। বাবুকে পরে  টেপ এর নিচে কল ছেড়ে শরীর টা ধুয়ে দেই। কিন্তু পটির জায়গা টা হাত দিয়ে ঘষে পরিস্কার করিনি আমার মনে ছিল না । এমন অবস্থায় ওকে কোলে নিই। এখন ভেজা অবস্থায় ওকে কোলে নেওয়াতে আমার কাপড়, শরীর,টাওয়াল সব নাপাক হয়ে গেছে? আমার কাপড়ের সাথে অন্য কোনো ভেজা জিনিস লাগলে সেটাও কি নাপাক হবে?  গোসলের পর যখন মনে পড়ে তখন  ভেজা টিস্যু দিয়ে চেক করে দেখেছি টিস্যুতে তখনো  হালকা হলুদ রঙের ছিল।
২) আমাদের বাসায় যিনি কাজ করেন উনি পাক নাপাক মেনে চলে না। এমতাবস্থায় উনি যেখানে যেখানে যে জিনিসে হাত দেয় যেটা ব্যবহার করে সবই কি নাপাক ধরবো? যেমন উনি মুরগির ডিম এ যে নাপাকি লেগে থাকে তা পরিস্কার করতেছেন। এ অবস্থায় হাত না ধুয়ে অন্য জিনিসে হাত দিল বা কাপড় ধরলো এখন এগুলো সবই কি নাপাক ধরবো?
৩) আমি একবার স্বপ্নে দেখেছি আমাদের বাসার সামনেই এক মহিলা যিনি মৃত।  উনি আমার স্বপ্নে এসে ফেতরার টাকা চাচ্ছে।এটা কিসের ইঙ্গিত?
৪) ফ্লোরে বাচ্চার প্রস্রাব লাগলে সেটা শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলি।কিছুক্ষণ পর সেখানে নামাজ পড়া যাবে? সেই ফ্লোর কি তখন পাক ধরা যাবে? ফ্লোর টাইলস এর না।

1 Answer

0 votes
by (682,200 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْعَلَاءِ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شَوْكَرِ بْنِ رَافِعٍ الطُّوسِيُّ ، نَا أَبُو إِسْحَاقَ الضَّرِيرُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ زَكَرِيَّا ، نَا ثَابِتُ بْنُ حَمَّادٍ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ ، قَالَ : أَتَى عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَنَا عَلَى بِئْرٍ أَدْلُو مَاءً فِي رِكْوَةٍ لِي ، فَقَالَ : يَا عَمَّارُ ، مَا تَصْنَعُ ؟ قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، بِأَبِي وَأُمِّي ، أَغْسِلُ ثَوْبِي مِنْ نُخَامَةٍ أَصَابَتْهُ . فَقَالَ " يَا عَمَّارُ ، إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ : مِنَ الْغَائِطِ ، وَالْبَوْلِ ، وَالْقَيْءِ ، وَالدَّمِ ، وَالْمَنِيِّ ، يَا عَمَّارُ ، مَا نُخَامَتُكَ وَدُمُوعُ عَيْنَيْكَ وَالْمَاءُ الَّذِي فِي رِكْوَتِكَ إِلَّا سَوَاءٌ "

আহমাদ ইবনে আলী ইবনুল 'আলা (রহঃ) ... আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন, তখন আমি একটি কূপ থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে আমার একটি পানির পাত্রে ভর্তি করছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আম্মার! তুমি কি করছো? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক। আমি আমার পরিধেয় বস্ত্রে লেগে যাওয়া শ্লেষ্মা পরিষ্কার করছি। তিনি বলেনঃ হে আম্মার! পাঁচটি জিনিস থেকে কাপড় ধৌত করা প্রয়োজনঃ বিষ্ঠা, পেশাব, বমি, রক্ত ও বীর্য। হে আম্মার! তোমার নাকের শ্লেষ্মা, তোমার উভয় চোখের অশ্রু এবং তোমার এই পানির পাত্রের পানি একই সমান (পাক-নাপাকীর হুকুমের ক্ষেত্রে)।
(সুনানে দারা কুতনি ৪৫০)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে ভেজা অবস্থায় তাকে কোলে নেওয়াতে আপনার কাপড়, শরীর,টাওয়াল সব নাপাক হয়ে যায়নি।

তবে কুসুম গরম পানিতে ওকে গোসল করার সময় এবং টেপ এর নিচে কল ছেড়ে তার শরীর টা ধুয়ে দেয়ার সময় আপনার গায়ে গোসলের ছিটা পানি এসে থাকলে সেক্ষেত্রে আপনার শরীরের কাপড় নাপাক হয়ে গিয়েছে ধরে নিবেন।

সেক্ষেত্রে আপনার নাপাক ভেজা কাপড়ের সাথে অন্য কোন ভেজা কাপড় লাগলে সেটিকেও নাপাক হিসেবে ধরে নিবেন।

(০২)
এমতাবস্থায় উনি যেখানে যেখানে যে জিনিসে হাত দেয়, যেটা ব্যবহার করে,সেখানে নাপাকির চিহ্ন বা নাপাকির গন্ধ পেলে সেগুলো নাপাক ধরবেন।

অন্যথায় নয়।

(০৩)
এক্ষেত্রে করনীয় জানুনঃ- 

(০৪)
ফ্লোর শুকিয়ে গেলে সেই ফ্লোরের উপর শুকনো জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ পড়া যাবে।

জায়নামাজ ব্যাতিত সরাসরি উক্ত ফ্লোরের উপর নামাজ পড়া যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...