আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
23 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (69 points)
আসসালামু আলাইকুম
১. আমি এক জায়গায় শুনছিলাম যে জুমার দিনের সুন্নাহ গোসল সকালে ঘুম থেকে উঠার পরই করতে হবে। কেউ যদি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গোসল করে সেটা জুমার দিনের সুন্নাহ গোসল হিসেবে গণ্য হবে না যেহেতু রাতে আবার ঘুমাই আমরা। তাই ফজরের পরে করলেই সেটা সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত হবে।এটা কি ঠিক?

২. আরেকটা প্রশ্ন। অসুস্থতা জনিত কারণে পায়ে পানি জমছে একজনের। সে বসতে পারে নিচে কিন্তু পা ভাজ করতে কষ্ট হয়। সে কি সালাতের বৈঠকে পা ছড়িয়ে রাখতে পারবে?

৩. আরেকটা প্রশ্ন , বারবার স্বপ্ন দেখে একই জনকে বিয়ে করতে। সে মানুষটাকে সে বাস্তবে বিয়ে করতে আগ্রহী না। কিন্তু এই একই স্বপ্ন বার বার দেখে। এটা কি সত্য হওয়ার চান্স আছে?

1 Answer

0 votes
by (674,970 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ الْجَرْجَرَائِيُّ، حِبِّي حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، حَدَّثَنِي حَسَّانُ بْنُ عَطِيَّةَ، حَدَّثَنِي أَبُو الأَشْعَثِ الصَّنْعَانِيُّ، حَدَّثَنِي أَوْسُ بْنُ أَوْسٍ الثَّقَفِيُّ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ; مَنْ غَسَّلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَاغْتَسَلَ ثُمَّ بَكَّرَ وَابْتَكَرَ وَمَشَى وَلَمْ يَرْكَبْ وَدَنَا مِنَ الإِمَامِ فَاسْتَمَعَ وَلَمْ يَلْغُ كَانَ لَهُ بِكُلِّ خُطْوَةٍ عَمَلُ سَنَةٍ أَجْرُ صِيَامِهَا وَقِيَامِهَا

আওস ইবনু আওস আস-সাক্বাফী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি জুমুুুুআর দিন গোসল করবে এবং (স্ত্রীকেও) গোসল করাবে, প্রত্যুষে ঘুম থেকে জাগবে এবং জাগাবে, জুমুআহর জন্য বাহনে চড়ে নয় বরং পায়ে হেঁটে মাসজিদে যাবে এবং কোনরূপ অনর্থক কথা না বলে ইমামের নিকটে বসে খুতবা শুনবে, তার (মাসজিদে যাওয়ার) প্রতিটি পদক্ষেপ সুন্নাত হিসেবে গণ্য হবে এবং প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে সে এক বছর যাবত সিয়াম পালন ও রাতভর সলাত আদায়ের (সমান) সাওয়াব পাবে। (সুনানে আবু দাউদ,হাদিস নং ৩৪৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
জুমার দিনে নামাযে যাওয়ার আগে গোসল করা সুন্নত, কারণ মূল উদ্দেশ্য হলো শরীর থেকে ঘাম ইত্যাদির দুর্গন্ধ দূর করা; যাতে মসজিদে ঘামের দুর্গন্ধ না থাকে এবং মুসলিম ও ফেরেশতাদের কষ্ট না হয়। অতএব, এই উদ্দেশ্য যত বেশি অর্জন করা হবে,সেই পদ্ধতি তত ভালো হবে। অতএব, শুক্রবার নামাজের আগে এটি করা ভালো। তবে, যদি কেউ বৃহস্পতিবার মাগরিবের পরে (অর্থাৎ শুক্রবার রাতে) অথবা শুক্রবার ফজরের পরে যেকোনো সময় গোসল করে, তাহলেও শুক্রবার গোসলের সুন্নত পূর্ণ হবে।

منها: "صلاة الجمعة" على الصحيح؛ لأنها أفضل من الوقت، وقيل: إنه لليوم، وثمرته أنه أحدث بعد غسله ثم توضأ لايكون له فضله على الصحيح، وله الفضل على المرجوح. وفي معراج الدراية: لو اغتسل يوم الخميس أو ليلة الجمعة استن بالسنة؛ لحصول المقصود و هو قطع الرائحة.

এর মধ্যে রয়েছে: সঠিক মতানুসারে "জুমার নামাজ", কারণ এটি সময়ের চেয়ে উত্তম। কেউ কেউ বলেন যে এই সুন্নাত দিনের জন্য। এর ফলে যদি সে গোসলের পর অযু ভেঙে ফেলে এবং অযু করে, তাহলে সঠিক মতানুসারে তার ফজিলত থাকবে না, বরং দুর্বল মতানুসারে তার ফজিলত থাকবে। "মি'রাজ আদ-দিরায়া" তে আছে: যদি সে বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার রাতে গোসল করে, তাহলে তার উচিত সুন্নাত অনুসারে সুন্নাত ব্যবহার করা, লক্ষ্য অর্জনের জন্য, অর্থাৎ দুর্গন্ধ দূর করা।

(০২)
সে সালাতের বৈঠকে পা ছড়িয়ে রাখতে পারবে।

(০৩)
এটা সত্য হতেও পারে,নাও হতে পারে।

কোনোটিই নিশ্চিত নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...