জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، وَبِشْرٌ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ بَكْرٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ لَقِيَنِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي طَرِيقٍ مِنْ طُرُقِ الْمَدِينَةِ وَأَنَا جُنُبٌ فَاخْتَنَسْتُ فَذَهَبْتُ فَاغْتَسَلْتُ ثُمَّ جِئْتُ فَقَالَ " أَيْنَ كُنْتَ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ " . قَالَ قُلْتُ إِنِّي كُنْتُ جُنُبًا فَكَرِهْتُ أَنْ أُجَالِسَكَ عَلَى غَيْرِ طَهَارَةٍ . فَقَالَ " سُبْحَانَ اللهِ إِنَّ الْمُسْلِمَ لَا يَنْجُسُ " . - صحيح
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, মদীনার এক রাস্তায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে আমার সাক্ষাত হয়। আমি তখন নাপাক অবস্থায় ছিলাম। তাই আমি পিছনে হটে গিয়ে গোসল করে আসলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আবূ হুরাইরাহ্! তুমি এতক্ষণ কোথায় ছিলে? আমি বললাম, আমি নাপাক ছিলাম বিধায় অপবিত্র অবস্থায় আপনার সাথে বসা অপছন্দ করলাম। তিনি বললেনঃ সুবহানাল্লাহ! মুসলমান (কখনো) অপবিত্র হয় না।
বুখারী (অধ্যায়ঃ গোসল, অনুঃ জুনুবী ব্যক্তির ঘাম, নিশ্চয় মুসলিম অপবিত্র নয়, হাঃ ৩৮৩), মুসলিম (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ মুসলমান অপবিত্র হয় না তার প্রমাণ)
আল-জামি‘উস সাগীর ৬১১৭, ইরওয়া ১৯৩,আবু দাউদ ২৩১)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মুসলমান কখনো অপবিত্র হয় না। সুতরাং কারো হায়েজ হলে বা গোসল ফরজ থাকলে সে ক্ষেত্রে তার সাথে ওঠাবসা করা যাবে না বা সে অসুস্থ ব্যক্তিদের কাছে আসতে পারবে না এ ধরনের কাজ করতে পাবে না অমুক ধরনের কাজ করতে পারবে না, এগুলো সবই মূলত কোন কুসংস্কারের অন্তর্ভুক্ত
ইসলামের দৃষ্টিতে এগুলা মেনে চলা কোনোক্রমেই উচিত নয়।
(০২)
আপনার বুঝানোর পরেও যেহেতু কাজ হচ্ছেনা,সুতরাং এক্ষেত্রে আপনার দায়িত্ব আদায় হয়েছে।
মনে রাখবেন আপনার দায়িত্ব হল সত্যের বাণী তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। মানা না মানা তাদের একান্ত ব্যাক্তিগত বিষয়।
আপনি কাউকে বাধ্য করে সত্য পথে ফিরে আনতে পারবেন না।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো ঝগড়া বিবাদ নয়,বরং তাদের হেদায়াতের দোয়া চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ থাকবে।
(০৩)
হ্যাঁ, গুনাহ হবে।