আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (35 points)
اَلسَلامُ عَلَيْكُم وَرَحْمَةُ اَللهِ وَبَرَكاتُهُ‎


শায়েখ আমাকে একটু পরামর্শ দিলে মুনাসিব হয়..
আমার ১৫ বছর বয়সে আমি দ্বীনের বুঝ পাই আলহামদুলিল্লাহ,
আমার অবস্থা ধীরে ধীরে এতটাই চেঞ্জ হয়েছিল আমার সাথে অন্য কেউ মেলামেশা করলে তার অন্তরেও দ্বীন পালনের ইচ্ছে জাগত,অনেকে পরিবর্তনও হয়েছিল আলহামদুলিল্লাহ
অথচ আমি তখন দ্বীনের কিছুই সেভাবে জানতাম না কিন্তু আমার ভেতর আল্লাহকে পাওয়ার দৃঢ়৷ ইচ্ছা ছিল, আমার নিয়ত ছিল মজবুত, দ্বীনের যে উওম বিষয়টা পেতাম তা সাথে সাথে ই আমল করতাম,,


আমি প্রত্যেকটি পদক্ষেপে যতটুকু জানতাম মেনে চলার চেষ্টা করতাম,


তখন আমার পরিবার থেকে অনেক কথা শুনতে হতো আমার দ্বীন পালনে পরিবার থেকেই অনেক বাধা আসত,কত জিনিস আমার জন্য সহজ ছিল না তাও আমার ভেতর যে ইখলাস ছিল তা অনেক দৃঢ় ছিল এখন তা বুঝি,

কোনো ভুল করতে গেছে অন্তরের অবস্হা ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত,তওবা করে ফিরে আসার আগ পর্যন্ত এমন হতো


অথচ আজ অনেক বছর হয়ে গিয়েছে আমি দ্বীনের অনেক কিছু না পাওয়া জিনিস পেয়েছি আল্লাহর রহমতে


এখন আর কারো কটু কথা শুনতে হয় না, এখন মুটামুটি যতটুকু জানতে হয় সেগুলো জানি..


কিন্তু শায়েখ! আগের মতো আর হতে পারছি না!আমার অবস্হা এখন শোচনীয়! আমার জন্য দ্বীন পালন এখন কত সহজ পরিবেশের দিক থেকে অথচ আজ আর সেই স্বাদ অনুভব করি না,


দোয়াতে চাখে অশ্রু ঝড়ে না,আমল করি কিন্তু তাতে তৃপ্তি পাই না,এখন ইবাদতে কত অলসতা চলে আসে যার ফলে অনেক সুন্নাহ নফল থেকে দুরে সরে গিয়েছি!

কুরআন পড়ি, হিফজ করছি কিন্তু অনুভুতি হীন,


শায়েখ আমার এমন হাল হওয়ার কারন কি? আমি কিছুতেই এর সমাধান করতে পারছি না, কোনো কিছুতেই স্হায়ী হতে পারছি না, বার বার গাফেল হয়ে যাচ্ছি আল্লাহুম মাগফিরলি! আমি সকল হারাম থেকে বেচে থাকার চেষ্টা করি কিন্তু তাও এমন..


আমাকে সাহায্য করুন শায়েখ আমি কিভাবে ইখলাস ফিরে পাবো কিভাবে কঠোর অন্তরকে নরম করব!.?

1 Answer

0 votes
by (714,510 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
রাসূলুল্লাহ সাঃ কে আল্লাহ তা'আলা ৪ টি বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন।এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।(সূরা-জুমুআহ-২)

রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ৪ টি দায়িত্বের একটি দায়িত্ব হল,আত্মসুদ্ধি। এই আত্মসুদ্ধির অপর নাম তাসাউফ।তাসাউফ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1037

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি নেককার লোকদের সংস্পর্শ গ্রহণ করবেন। একজন আল্লাহ ওয়ালা ব্যক্তির সাথে কিছুদিন সকাল সন্ধ্যা অতিবাহিত করবেন। উনাকে ফলো করে করে তারপর নিজের ঈমান আমলকে সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে। তাছাড়া তাবলীগ জামাতেও সময় লাগানোর আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। এদ্বারাই আপনার সমস্যার সমাধান আসবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...