ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
তাওবাহ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
﴿ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺇِﺫَﺍ ﻓَﻌَﻠُﻮﺍ ﻓَﺎﺣِﺸَﺔً ﺃَﻭْ ﻇَﻠَﻤُﻮﺍ ﺃَﻧْﻔُﺴَﻬُﻢْ ﺫَﻛَﺮُﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻓَﺎﺳْﺘَﻐْﻔَﺮُﻭﺍ ﻟِﺬُﻧُﻮﺑِﻬِﻢْ ﻭَﻣَﻦْ ﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﺬُّﻧُﻮﺏَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﻟَﻢْ ﻳُﺼِﺮُّﻭﺍ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﺎ ﻓَﻌَﻠُﻮﺍ ﻭَﻫُﻢْ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ ﺃُﻭْﻟَﺌِﻚَ ﺟَﺰَﺍﺅُﻫُﻢْ ﻣَﻐْﻔِﺮَﺓٌ ﻣِﻦْ ﺭَﺑِّﻬِﻢْ ﻭَﺟَﻨَّﺎﺕٌ ﺗَﺠْﺮِﻱ ﻣِﻦْ ﺗَﺤْﺘِﻬَﺎ ﺍﻷَﻧْﻬَﺎﺭُ ﺧَﺎﻟِﺪِﻳﻦَ ﻓِﻴﻬَﺎ ﻭَﻧِﻌْﻢَ ﺃَﺟْﺮُ ﺍﻟْﻌَﺎﻣِﻠِﻴﻦَ﴾ [ ﺁﻝ ﻋﻤﺮﺍﻥ 136-135 : ]
তারা কখনও কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে কিংবা কোন মন্দ কাজে জড়িত হয়ে নিজের উপর জুলুম করে ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজের পাপের জন্য "ইস্তেগফার"(ক্ষমা প্রার্থনা) করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন? তারা নিজের কৃতকর্মের জন্য হঠকারিতা প্রদর্শন করে না এবং জেনে-শুনে তাই করতে থাকে না।তাদেরই জন্য প্রতিদান হলো তাদের পালনকর্তার ক্ষমা ও জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হচ্ছে প্রস্রবণ যেখানে তারা থাকবে অনন্তকাল। যারা কাজ করে তাদের জন্য কতইনা চমৎকার প্রতিদান।(আলে-ইমরান;১৩৫-১৩৬)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তাওবাহ কবুল হওয়ার জন্য তিনটি শর্ত রয়েছে।
(ক)পূর্বের কৃত গোনাহের কাজের উপর লজ্জিত হওয়া।(খ)বর্তমানে উক্ত কাজকে পরিত্যাগ করা।(গ)ভবিষ্যতে না করার দৃঢ় সংকল্প করা।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1048
সুতরাং
(১) কোনো মানুষ যদি তালাকের ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত হয়,তার জন্য উচিত এইসব চিন্তাকে পরিহার করে সর্বদা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং নেককার লোকদর সংস্পর্শে সময়কে অতিবাহিত করা।
(২) মনে মনে কিছু না বলে যদি কেউ তওবা করে আর কান্না করে, তাহলে মিথ্যা শিকারোক্তি হওয়ার প্রশ্নই আসে না।
(৩) তওবাহর জন্য তিনটি শর্ত যা ইতিপূর্বে আলোচনা হয়েছে। তাওবাহর কোনো নামায নেই। হ্যা, কেউ তাওবাহর নিয়তে নামায পড়লে তাতে কোনো সমস্যা হবে না।