আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। এটা এমনিতে জানার জন্য।
১.কোন  মানুষ যদি তালাকের ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত হয়, ধরেন সন্দেহ সব কিছুতে, সিওর ও না,এমন মানুষ সবকিছুর জন্য তওবা কিভাবে করবে? তওবা করলে কি মিথ্যা শিকারোক্তি হয়?

২.মনে মনে কিছু না বলে যদি কেও তওবা করে আর কাদে তাহলে কি মিথ্যা শিকারোক্তি হয়?
৩।তওবার নিয়তে শুধু নামাজ পড়লে কি হয়?তখন কি কোন সমস্যা হয়?
এটা নিয়ে জানার জন্য।

1 Answer

0 votes
by (717,900 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
তাওবাহ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ 
﴿ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺇِﺫَﺍ ﻓَﻌَﻠُﻮﺍ ﻓَﺎﺣِﺸَﺔً ﺃَﻭْ ﻇَﻠَﻤُﻮﺍ ﺃَﻧْﻔُﺴَﻬُﻢْ ﺫَﻛَﺮُﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻓَﺎﺳْﺘَﻐْﻔَﺮُﻭﺍ ﻟِﺬُﻧُﻮﺑِﻬِﻢْ ﻭَﻣَﻦْ ﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﺬُّﻧُﻮﺏَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﻟَﻢْ ﻳُﺼِﺮُّﻭﺍ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﺎ ﻓَﻌَﻠُﻮﺍ ﻭَﻫُﻢْ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ ﺃُﻭْﻟَﺌِﻚَ ﺟَﺰَﺍﺅُﻫُﻢْ ﻣَﻐْﻔِﺮَﺓٌ ﻣِﻦْ ﺭَﺑِّﻬِﻢْ ﻭَﺟَﻨَّﺎﺕٌ ﺗَﺠْﺮِﻱ ﻣِﻦْ ﺗَﺤْﺘِﻬَﺎ ﺍﻷَﻧْﻬَﺎﺭُ ﺧَﺎﻟِﺪِﻳﻦَ ﻓِﻴﻬَﺎ ﻭَﻧِﻌْﻢَ ﺃَﺟْﺮُ ﺍﻟْﻌَﺎﻣِﻠِﻴﻦَ﴾ [ ﺁﻝ ﻋﻤﺮﺍﻥ 136-135 : ] 
তারা কখনও কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে কিংবা কোন মন্দ কাজে জড়িত হয়ে নিজের উপর জুলুম করে ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজের পাপের জন্য "ইস্তেগফার"(ক্ষমা প্রার্থনা) করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন? তারা নিজের কৃতকর্মের জন্য হঠকারিতা প্রদর্শন করে না এবং জেনে-শুনে তাই করতে থাকে না।তাদেরই জন্য প্রতিদান হলো তাদের পালনকর্তার ক্ষমা ও জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হচ্ছে প্রস্রবণ যেখানে তারা থাকবে অনন্তকাল। যারা কাজ করে তাদের জন্য কতইনা চমৎকার প্রতিদান।(আলে-ইমরান;১৩৫-১৩৬)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তাওবাহ কবুল হওয়ার জন্য  তিনটি শর্ত রয়েছে।
(ক)পূর্বের কৃত গোনাহের কাজের উপর লজ্জিত হওয়া।(খ)বর্তমানে উক্ত কাজকে পরিত্যাগ করা।(গ)ভবিষ্যতে না করার দৃঢ় সংকল্প করা।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1048

সুতরাং 
(১) কোনো মানুষ যদি তালাকের ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত হয়,তার জন্য উচিত এইসব চিন্তাকে পরিহার করে সর্বদা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং নেককার লোকদর  সংস্পর্শে সময়কে অতিবাহিত করা।
(২) মনে মনে কিছু না বলে যদি কেউ তওবা করে আর কান্না করে, তাহলে মিথ্যা শিকারোক্তি হওয়ার প্রশ্নই আসে না। 
(৩) তওবাহর জন্য তিনটি শর্ত যা ইতিপূর্বে আলোচনা হয়েছে। তাওবাহর কোনো নামায নেই। হ্যা, কেউ তাওবাহর নিয়তে নামায পড়লে তাতে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (8 points)
edited by
১।৷ ১ নং টা বুঝা যায় নি।তওবা করলে কি সমস্যা হবে না এটা বলা হয়েছে? আরেকটু বলবেন বুঝিয়ে?এমনিতে সব গুনাহ মাফ করে দিও বলে কেউ মাফ চাইলে কি ওটা হবে?

২।এমনিতে কেউ শুধু ইসতেগফার পড়লে কি কোন সমস্যা হয় এমন সমস্যার মানুষের?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...