আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)

১/ কুরআনের দলিল

আল্লাহ বলেছেন:

وَرَبَائِبُكُمُ اللَّاتِي فِي حُجُورِكُم مِّن نِّسَائِكُمُ اللَّاتِي دَخَلْتُم بِهِنَّ
“আর তোমাদের স্ত্রীর কন্যারা (সৎকন্যারা), যাদের সাথে তোমরা সহবাস করেছ…”
(সুরা নিসা ৪:২৩)

এখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে: ‘দাখল’ (সহবাস) না হলে, সৎকন্যা হারাম হবে না।
কেবল স্পর্শের উল্লেখ নেই।


২/ সহিহ হাদিস

রাসূল ﷺ বলেছেন:

“যখন একজন ব্যক্তি কোনো নারীর সাথে সহবাস করবে, তখন তার কন্যা হারাম হয়ে যাবে।”
(ইমাম বুখারি, কিতাব আন-নিকাহ, باب من دخل بامرأة فلا يحل له أن يتزوج أمها)

এখানেও “দাখল” (সহবাস) শর্ত করা হয়েছে।


৩/ হানাফি মাযহাব

  • আল-হিদায়াহ (হানাফি ফিকহের প্রধান কিতাব):

“إذا مسها بشهوة، حرمت عليه أمها وبنتها”
“যদি সে কোনো মেয়েকে কামভাবসহ স্পর্শ করে, তবে তার মা ও কন্যা তার জন্য হারাম হয়ে যাবে।”
(আল-হিদায়াহ, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ২৭২)

হানাফিদের কিয়াস: কামভাবসহ স্পর্শকে ‘মুকাদ্দিমাতুল জিমা’ ধরা হয়।


৪/ শাফেয়ি মাযহাব

  • আল-উম্ম (ইমাম শাফেয়ি):

“لا تحرم الربيبة إلا بالدخول بالأم”
“সৎকন্যা তখনই হারাম হবে যখন মায়ের সাথে সহবাস করা হবে।”
(আল-উম্ম, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ৫)

ইমাম শাফেয়ি কেবল সহবাসকে শর্ত করেছেন, স্পর্শে নয়।


৫/ মালিকি মাযহাব

  • আল-মুদাওয়ানা (মালিকি ফিকহ):

“إنما تحرم الربيبة بالدخول بأمها”
“সৎকন্যা কেবল তখনই হারাম হয় যখন মায়ের সাথে সহবাস ঘটে।”
(আল-মুদাওয়ানা, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ২৪৭)

মালিকিরাও স্পর্শকে দলিল মানেন না।


৬/ হাম্বলি মাযহাব

  • আল-মুগনি (ইবন কুদামা আল-মাকদিসি):

“ولا تحرم الربيبة بمجرد العقد ولا بالوطء دون الدخول”
“কেবল আকদ দ্বারা বা সহবাস ছাড়া অন্য কিছু দ্বারা সৎকন্যা হারাম হয় না।”
(আল-মুগনি, খণ্ড ৭, পৃষ্ঠা ৯৩)

হাম্বলিরাও বলেন: শুধু সহবাসে প্রমাণিত হবে।


সারসংক্ষেপ:

  • কুরআন + সহিহ হাদিস → সহবাস শর্ত।

  • হানাফি মাযহাব → স্পর্শ + কামভাবও হারাম করে দেয় (কিয়াস ও সতর্কতার কারণে)।

  • শাফেয়ি, মালিকি, হাম্বলি → শুধু সহবাসে হারাম, স্পর্শে নয়।

1 Answer

0 votes
by (716,130 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হারূন আল-আবদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَنَا " إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّهُمْ سَيَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرْضِ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا "
তিনি বলেন, আমরা আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) -এর কাছে এলেই তিনি বলতেনঃ তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওসিয়ত অনুযায়ী স্বাগতম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলতেনঃ লোকেরা অবশ্যই তোমাদের অনুগামী। অচিরেই পৃথিবীর দিকদিগন্ত থেকে লোকেরা তোমাদের নিকট দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য আসবে। তারা যখন তোমাদের নিকট আসবে,তখন তোমরা তাদেরকে ভালো ও উত্তম উপদেশ দিবে।(সুনানু তিরমিযি-২৪৯,তিরমিযী ২৬৫০-৫১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪৭।)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি কি জানতে চেয়েছেন? আমাদের তা পরিস্কার নয়। দয়াকরে আপনার প্রশ্নটি ইডিট করে দিবেন। এবং কমেন্টে জানিয়ে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...