আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
30 views
in সালাত(Prayer) by (57 points)
আসসালামু আলাইকুম, শাইখ

পিরিয়ডের পরের সময়গুলোতে এবং পিরিয়ড শুরুর ৫/৪ দিন আগে থেকে সাদা স্রাব হয় এবং উঠতে বসেই হালকা হালকা তরল বের হতে থাকে, আরকি যেকোন ভাবে চাপের হলেই। তো আমি সবসময়ই অজুর পরে কাপড়ের তুলার প্যাড পরে নিই সালাতের জন্য। ধরেন এখন অজু করে আসলাম তারপর প্যাড পরার সাথে সাথেই আবারও প্যাডের সাথে চাপ লেগে তরল টাইপ বের হল। তো আমি তো ওই প্যাডেই নামাজ পড়ে নিলাম। এখন প্রশ্ন হল (১) আমার নামজ তো হয়েছে?
(২)ধরুন আসরের নামাজ পড়লাম তারপর অজু রাখার চেষ্টা করলাম যে মাগরিবও পড়ব। এখন প্যাড পরা অবস্থায়ই মাঝের সময়গুলোতে ঘরের কাজকর্ম করলাম, তখন তো তরল নির্গত হবে। তাহলে (ক)মাগরিবের ওয়াক্ত হলে আবারো ওই অবস্থায়ই নামাজ পড়তে পারব তো?(খ)নাকি নতুন অজু করতে হবে? (গ) যদি অজু করতে হয় তাহলে লজ্জাস্থান পরিষ্কার করতে হবে?  আবারো নতুন প্যাড পরতে হবে?এরকম করাই তো ঝামেলা অনেক।
(৩) তরল নির্গত হলে তো সবসময় কাপড়ের প্যাডে খুব সামান্যই লাগে এবং তা কিছুক্ষন বাহিরে খুলে রাখলে পরে তো বাতাস লেগে শুকিয়েও যায়, তাহলে সেই প্যাড কি পরবর্তী ওয়াক্তে নামাজের আগে পড়তে পারব?

(৪) প্যাড পরা অবস্থায় আবার যতবারই তরল নির্গত হোকনা কেন, বায়ু বের না হলে তো অজু ভাঙ্গবেনা তাইনা? বায়ুর জন্য অজু করতে হলে পুনরায় আমার লজ্জাস্থানও পরিষ্কার করতে হবে? নাকি কাপড়ের প্যাড প্যাডের স্থানেই থাকবে, আমি শুধু বায়ুর বের হওয়ার জন্য অজু করে আসলেই হবে??

1 Answer

0 votes
by (680,550 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য শর্ত হলো,

شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-

শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)

কোনো ব্যাক্তি মা'যুর প্রমানিত হয়ে যাওয়ার পর পরবর্তী ওয়াক্ত গুলোতে পুরো সময় উক্ত ওযর পাওয়া জরুরি নয়,বরং পরবর্তী প্রতি ওয়াক্তে এক বারও যদি উক্ত ওযর পাওয়া যায়,তাহলে সে মা'যুরই থাকবে।   
,
সুতরাং যদি কোনো একটি নামাযের শুরু থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত তথা  সম্পূর্ণ ওয়াক্ত আপনার এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে,উক্ত সমস্যা বন্ধ না হয়,বরং চলতেই থাকে,এই উযরের কারণে অল্প সময়ে ছোট সুরা দিয়ে হলেও ফরয নামায পড়া আপনার জন্য কোনোভাবেই সম্ভবপর না হয়,তাহলে আপনি মা'যুর। 
আপনি প্রতি ওয়াক্তের জন্য অযু করবেন,এই অযু দিয়ে উক্ত ওয়াক্তের মধ্যে যত ইচ্ছা নামাজ আদায় করতে পারবেন।
(যদি অন্য কোনো অযু ভঙ্গকারী কিছু না পাওয়া যায়।)
,
পরবর্তী ওয়াক্তে আবার অযু করবেন
,
আর যদি আপনার ওযরটি এমন না হয়,তাহলে আপনি শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমাণিত হবেন না।

বিস্তারিত জানুনঃ  
,
মা'যুরের বিধান ইস্তেহাজা গ্রস্থ নারীর ন্যায়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ جَاءَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ إِلَى النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم فَذَكَرَ خَبَرَهَا وَقَالَ " ثُمَّ اغْتَسِلِي ثُمَّ تَوَضَّئِي لِكُلِّ صَلَاةٍ وَصَلِّي "

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতিমাহ বিনতু আবূ হুবাইশ রাযিয়াল্লাহু ‘আনহা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে তার ঘটনা বর্ণনা করলে তিনি বললেনঃ তারপর গোসল করবে এবং প্রত্যেক সলাতের জন্য অযু করে সলাত আদায় করবে।
(আবু দাউদ ২৯৮.ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ ঋতুবতী নারীর হায়িযের ইদ্দত পূর্ণ হওয়ার পর রক্ত নির্গত হওয়া প্রসঙ্গে, হাঃ ৬২৪), আহমাদ (৬/৪২, ২৬২)

حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو بِشْرٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ جَحْشٍ، اسْتُحِيضَتْ فَأَمَرَهَا النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم أَنْ تَنْتَظِرَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتُصَلِّي فَإِنْ رَأَتْ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ تَوَضَّأَتْ وَصَلَّتْ

‘ইকরিমাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, উম্মু হাবীবাহ বিনতু জাহশের ইস্তিহাযা হলো। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে হায়িযের দিনসমূহে (সলাত ইত্যাদির জন্য) অপেক্ষা করার পর গোসল করে সলাত আদায় করার নির্দেশ দিলেন। অতঃপর অযু করে এক ওয়াক্ত সলাত আদায়ের পর রক্ত দেখা গেলে পরের ওয়াক্তের জন্য পুনরায় অযু করে সলাত আদায় করতে বললেন।
(আবু দাউদ ৩০৫)

আরো জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
উপরোক্ত বিবরণ মতে আপনি মা'যুর কিনা,সেটা আগে নির্ণয় করতে হবে,যদি আপনি মা'যুর না হোন,সেক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নামাজের জন্য আপনি অপেক্ষা করবেন। যখন স্রাব আসা বন্ধ হবে,তখন শরীর পাক করে পবিত্র কাপড়ে নামাজ আদায় করবেন।

নাপাক কাপড়/শরীরে আপনার নামাজ হবেনা। হ্যাঁ এক দিরহাম সমপরিমাণ চেয়ে কম নাপাকি লাগলে সেটা থাকা অবস্থাতেও নামাজ হয়ে যাবে।

প্যাড, প্যান্টি বা পায়জামায় স্রাব লেগে থাকলে তাহা প্রতি নামাজের আগে পাক করতেই হবে বা পরিবর্তন করতেই হবে।

এই জন্য নামাজের জন্য আলাদা কাপড় রাখতে পারেন। যেটাকে শুধুমাত্র নামাজের আগেই পড়বে,নামাজের পর তাহা রেখে দিবেন।

নামাজের মধ্যে স্রাব বের হলে নামাজ ছেড়ে দিয়ে অযু করে পবিত্র হয়ে এসে পুনরায় সেই নামাজ আদায় করতে হবে।

স্রাব বের হওয়া মাত্র নামাজ ছেড়ে দিয়ে পাক হয়ে অযু করে এসে বাকি নামায আদায় করতে হবে।এক্ষেত্রে শুরু থেকে নামাজ আদায় বাধ্যতামূলক নয়। যেই রুকনে নামাজ ছেড়ে দিয়ে গিয়েছিলেন,অযু করে আসার পর সেই রুকন হতেই নামাজ আদায় করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আবারো অযু ভেঙ্গে গেলে আবারো অযু করতে যেতে হবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আর যদি আপনি মা'যুর হোন,অর্থাৎ নামাজের শুরু ওয়াক্ত থেকে নিয়ে ওয়াক্তের শেষ পর্যন্ত আপনার স্রাব বের হতেই থাকে,এই ওযরের কারণে অল্প সময়ে ছোট সুরা দিয়ে হলেও ফরয নামায পড়া আপনার জন্য কোনোভাবেই সম্ভবপর না হয়,সেক্ষেত্রে আপনি যেভাবে নামাজ আদায় করছেন,এই ভাবে নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
কেননা আপনি মা'যুর। 

পরবর্তী ওয়াক্ত গুলোতে এই ওযর একবার পাওয়া গেলেও আপনি মা'যুর হিসেবেই বহাল থাকবেন।

আপনি প্রতি ওয়াক্তের জন্য অযু করবেন,এই অযু দিয়ে উক্ত ওয়াক্তের মধ্যে যত ইচ্ছা নামাজ আদায় করতে পারবেন।
(যদি অন্য কোনো অযু ভঙ্গকারী কিছু না পাওয়া যায়।)
,
পরবর্তী ওয়াক্তে আবার অযু করবেন।

এমতাবস্থায় প্যাড, প্যান্টি বা পায়জামায় স্রাব লেগে থাকলেও তাহা প্রতি নামাজের আগে পাক করতে হবেনা বা পরিবর্তন করা আবশ্যক নয়।

(উল্লেখ্য,  কোনো ওয়াক্তে আপনার আর উক্ত সমস্যা না দেখা গেলে সেক্ষেত্রে আপনি আর মা'যুর হিসেবে থাকবেননা।
আপনি সুস্থ মানুষ হিসেবে বিবেচিত হবে। তখন আর মা'যুরের বিধান আপনার উপর কার্যকর হবেনা।)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
উপরোক্ত বিবরণ মতে আপনি মা'যুর হলে আপনার নামাজ হয়েছে,অন্যথায় আপনার নামাজ হয়নি।

(০২)
(ক)মাগরিবের ওয়াক্ত হলে আবারো ওই অবস্থায়ই নামাজ পড়তে পারবেননা (খ) নতুন অজু করতে হবে (গ) এক্ষেত্রে আপনি উপরোক্ত বিবরন মতে মা'যুর হলে লজ্জাস্থান পরিষ্কার করতে হবেনা,  আবারো নতুন প্যাড পরতে হবেনা।

তবে যদি আপনি মা'যুর না হোন,সেক্ষেত্রে লজ্জাস্থান পরিষ্কার করতে হবে, আবারো নতুন প্যাড বা অন্য কোনো কিছু পড়তে হবে।

(০৩)
উপরোক্ত বিবরণ মতে আপনি মা'যুর হলে সেই প্যাড পরবর্তী ওয়াক্তে নামাজের আগে পড়তে পারবেন।

অন্যথায় নয়।

(০৪)
উপরোক্ত বিবরণ মতে আপনি মা'যুর হলে সেক্ষেত্রে প্যাড পরা অবস্থায় আবার যতবারই তরল নির্গত হোকনা কেন, বায়ু বের না হলে বা অন্য কোনো অযু ভঙ্গের কারন না হলে অজু ভাঙ্গবেনা।

এমতাবস্থায় বায়ু বের হওয়ার দরুন বা অন্য কোনো অযু ভঙ্গের কারন পাওয়ার দরুন অযু করতে হলে লজ্জাস্থানও পরিষ্কার করতে হবেনা। কাপড়ের প্যাড প্যাডের স্থানেই থাকলেও হবে। শুধু অযু করে আসলেই হবে।

উপরোক্ত বিবরণ মতে আপনি মা'যুর না হলে
এমতাবস্থায় অযু ভেঙ্গে গেলে লজ্জাস্থানও পরিষ্কার করতে হবে। কাপড়ের প্যাড পরিবর্তন করতে হবে। শুধু অযু করে আসলেই হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (57 points)

মাজুরের পরবর্তীবওয়াক্তের কনসেপ্টটা ক্লিয়ার না শাইখ।
ধরেন,(১) নামাজের প্রতি সিজদাহ দিতে গেলেই তো চাপ লাগে লজ্জাস্থানে এবল তরল নির্গত হয়। এটা তো যখনই সালাত পড়তে যাব তখনই হবে। উঠা বসাতেও বিশেষ করে উঠতে থেকে বসার সময়েই। তাহলে এটা তো হল এক ওয়াক্তের মাজুর।
যেহেতু, আমার বাচ্চা আছে ওদের রেখে আলাদা রুমে এসে নামাজ পড়ে নিতে হয়।তাই অজু ধরে রাখার চেষ্টা করি। তাই প্যাড পরেই কাজ করি,  বাচ্চাদের রেখে বারবার তো ইস্তেঞ্জা করতে যাওয়া যায়না, ওরা কান্নাকাটি করে। আর ইস্তেঞ্জা করতে গেলেও সময় লাগে অনেক। লজ্জাস্থান পরিষ্কার করতে করতেও সহজে পরিষ্কার হয়না, মনেহয় যে তরল বের হতেই আছে। আর পরিষ্কার শেষে উঠে দাঁড়ালেও আবার অজু করতে গেলে মনেহয় নির্গত হয়। এত সময় তো বাচ্চাদের নিয়ে করা যায়না। কোন রকম ওয়াক্তিয়া নামাজের জন্য তৈরী হতে হয়। প্যাড পরে নিলে টেনশন থাকেনা। আলহামদুলিল্লাহ বাচ্চাদের সামনে রেখে বা ওদের খেলাধুলাতেও পুরো ফরজ সুন্নত সব নামাজই আলহামদুলিল্লাহ পড়তে পারি, শুধু মাত্র আল্লাহর ইচ্ছায় প্যাডের জন্য। আমি জানতাম যে স্রাব তো প্যাডে লাগে কাপড়ের বাহিরে না, তাই তো নামাজ পড়া অবস্থায় তরল বের হলে তো সমস্যা নেই ইনশাআল্লাহ।

তাই আমি প্যাডকেই ফোকাসড করছি। আল্লাহর ইচ্ছায় আমি নামাজ পড়তে পারি দীর্ঘক্ষন এই প্যাডের কারনেই। রিল্যাক্স লাগে যে স্রাব তো বাইরে আসছেনা। তাহলে কি এই অবস্থাই মাজুর নয়?

তাহলে কারোর এক ওয়াক্ত একবার এরকম হলেই তো পরবর্তী ওয়াক্তের মাজুরের বলতে পূর্বের ওয়াক্তের মতন এতবার হওয়া জরুরী না তাইনা? পরবর্তী ওয়াক্তে একবার তরল নির্গল হলেই তো মাজুর তাইনা? আমি কি বিষয়টা বুঝাতে পেরেছি? তাহলে পরবর্তী ওয়াক্তে যদি পূরবর্তী ওয়াক্তসাপেক্ষে একবার তরল নির্গত হওয়ার জন্য মাজুর হয়। তাহলে তো এই ওয়াক্তেরও পরবর্তী ওয়াক্তগুলোতেও একবার তরল নির্গত হওয়ার জন্যই তো মাজুর হবে তাইনা? বিষয়টা তো এরকমই হচ্ছে।

(৩)যদিও একবার তরল তো নির্গত হয়না। তরল তো সিজদাহ দিতে গেলেই চাপ দিলেই নির্গত হয়। দাঁড়ানো থেকে সাধারণত বসতে গেলেই হয়। ধরেন ৪ রাকাত ফরজ নামাজ ৪টা সিজদাহ্ এর মধ্যে ২টা সিজদাহতে তরল নির্গত হল, তাহলেই তো নামাজটা কম্পলিট হল না। তাহলে এই অবস্থাই তো মাজুর?  তাই নয় কি?

তাহলে আলাদাভাবে আবার কেন বলছেন যদি মাজুর না হয়!! সিচুয়েশনটা তো অনেক কঠিন। নামাজ শুরু করলে প্যাড পরে নিয়ে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ গুলোও আলহামদুলিল্লাহ বাচ্চাদের পাশে রেখে পড়া যায়। কিন্তু বারবার তো উঠা যায়না। প্রতিবার সালাম শেষ করে ওদেরকে এটা ওটা বলে বলে সালাত পুরোটা শেষ করা যায়। কিন্তু যদি বারবার উঠতেই হয় তাহলে তো নামাজই পড়তে পারবনা। মাসায়েলটা তো খুব কঠিন হয়ে গেল একজন মায়ের সিচুয়েশনে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...