ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
যখন কারো সামনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এসে উপস্থিত হবে।এবং সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না যে, সে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিবে।তাহলে এমন পরিস্থিতে তার জন্য উচিৎ ইস্তেখারা করা তথা ভালো দিক কে অন্বেষণ করা।অবশ্যই ইস্তেখারা, নামাযের মাধ্যমেই করবে। ইস্তেখারার পদ্ধতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ এক হাদীসে বলেন, দুই রা'কাত নামায পড়ে বিশেষ মনোযোগের সাথে (নিম্নে উল্লেখিত) দু'আ পড়বে।তাহলে হয়তো তার মন কোনো এক দিকে ধাবিত হবে,বা সে স্বপ্নযোগে কোনো এক ইশারা পাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1472
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইস্তেখারার অর্থ হল, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে রাব্বে কারীমের মদদ আর সাহায্য কামনা করা। সেটা হয়তো স্বপ্নের মাধ্যমে কাউকে ইঙ্গিত দেয়া হতে পারে আবার কারো অন্তরে সেদিকে টান অনুভব সৃষ্টি করা হতে পারে। যতদিন না মন কোনো এক দিকে ধাবিত হচ্ছে ততদিন আপনি ইস্তেখারা করবেন। আপনি আরো কয়েকদিন ইস্তেখারা করবেন। পরিবার ও মাতাপিতার সম্মতি নিয়ে সামনে অগ্রসর হবেন। প্রশ্নে বর্ণিত বিবরণ ও স্বপ্ন থেকে কোনো দিকই স্পষ্ট হচ্ছে না। যতদিন না পুরোপুরি কোনো দিক স্পষ্ট হচ্ছে, ততদিন আপনি ইস্তেখারা চালিয়ে যাবেন। অথবা পরিবারের লোকজনের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নিবেন। আল্লাহ আপনার সহায় হোক।
(২)
(وَ) شُرِطَ (حُضُورُ) شَاهِدَيْنِ(حُرَّيْنِ) أَوْ حُرٌّ وَحُرَّتَيْن (مُكَلَّفَيْنِ سَامِعَيْنِ قَوْلَهُمَا مَعًا)
দুজন স্বাধীন পুরুষ অথবা একজন স্বাধীন পুরুষ ও দুজন স্বাধীন মহিলা সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত থাকতে হবে,যারা শরীয়তের বিধি-বিধান পালনে দায়বদ্ধ থাকবে,এবং একসাথে উভয় (স্বামী-স্ত্রী) র ইজাব-কবুল শ্রবণ করবে।(আদ্দুরুল মুখতার-৩/২২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/2679
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মুবাইল কলে পাত্র পাত্রীর সরাসরি ইজাব কবুল দ্বারা বিয়ে সংগঠিত হবে না। তবে অন্যকে নিজের উকিল নিযুক্ত করে মজলিসে পাত্র/পাত্রী এবং উকিল কর্তৃক ইজাব কবুল দ্বারা বিয়ে সংগঠিত হয়ে যায়।