আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
21 views
in সালাত(Prayer) by (52 points)
edited by
আসসালামুয়ালাইকুম,
১। আমার সাথে একজন পাত্রীর বিয়ের বিষয়ে কথা চলছে। এখন আমাদের পাত্রীকে দেখতে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আমি এজন্য গতকাল এশার পর ইস্তিখারা নামায আদায় করি। আজকে ফজরে উঠে ঘুমিয়ে যাই এবং এরপর স্বপ্ন দেখি সেই পাত্রীর বাড়িতে আমি তাকে দেখতে গিয়েছি। একটা টেম্পুর মত কিছু বসে আমি পাত্রীকে সালাম দিয়েছি, সেও সালামের উত্তর নিয়েছে। কথার এক পর্যায়ে টেম্পুর মধ্যে কয়েকজন ছেলে প্রবেশ করে। এরপর আমরা সেখান থেকে নেমে যাই। পাত্রী আমার সাথে কথা বলার সময় হিজাব পড়া ছিল, কিন্তু টেম্পু থেকে নেমে দেখি মেয়ের হিজাব নেই এবং চুল গুলো ছোট। সে একজন ছেলের সাথে কথা বলছে এবং সেই ছেলে তার ভাই। যদিও বাস্তবে পাত্রীর আপন ভাই নেই। দুধ ভাই এবং অন্যান্য ভাই আছেন।
এরপর আমাদের খাওয়ার জন্য বলা হলে আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা খেতে বসি। পাত্রী পক্ষের কেউ একজন পাত্রীকে আমার সাথে খেতে বসতে বলে। পাত্রী এবং আমি একসাথেই খাওয়া দাওয়া করি। ভাত শেষ হয়ে যাওয়ায় আমি আর ভাত নেই নি। পাত্রীর মা আমাদের ভাত, তরকারি বেড়ে দিচ্ছিল কিন্তু বাস্তবে পাত্রীর মা জীবিত নয়। এরপর দেখলাম আমরা ব্যাক করছি এবং আমাদের যাত্রাপথে ঢাকা বিচ(কক্সবাজার) যাওয়ার একটা রাস্তা আছে(এটা সম্পুর্ন উদ্ভট। কারণ কক্সবাজার তো ঢাকায় নেই।) । তখন আমি ভাবছিলাম স্ত্রীকে নিয়ে একেবারে কক্সবাজার ঘুরে গেলে আর ঢাকা থেকে এখানে আসতে হবে না।  অর্থাৎ আসার সময় মনে হচ্ছিল আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে বাসায় ফিরছিলাম।
এখন আমার কাছে মনে হচ্ছে স্বপ্নের ১ম অংশ কেমন যেন নেতিবাচক ইশারা করে। আবার পরের অংশ কেমন যেন ইতিবাচক ইশারা করে। মেহেরবানি করে উক্ত ইস্তিখারার ব্যাখ্যা প্রদান করে আমাদের সহযোগিতা করুন।


২। আমার এক কাজিন ইমার্জেন্সি প্রবাসে চলে গিয়েছে। । সে যেহেতু একটা মেয়ের সাথে রিলেশনে ছিল তাই তাদের বাসায় গিয়ে উভয় ফ্যামিলির মধ্যে একটা বোঝাপড়া হয়েছে বিয়ের বিষয়ে। ২/৩ মাস পরে তাদের মধ্যে বিয়ে হবে এমন কথা হয়েছে। এখন পাত্র যেহেতু প্রবাসে থাকে তাই ই

i) ভিডিও কলে পাত্র যদি কবুল বলে বিয়ে সহীহ হবে?
ii) পাত্র যদি তার বাবাকে ওলি বানিয়ে দেয় এবং তার বাবা যদি ছেলের পক্ষ হয়ে মেয়ে পক্ষের কাছে প্রস্তাব নিয়ে যায় এবং সেখানে যদি পাত্রী প্রস্তাব কবুল করে তাহলে কি বিয়ে হয়ে যাবে?
মোট কথা এখন আমি আমার কাজিনের বিয়েটা প্রবাসে থেকে কিভাবে সম্পন্ন হতে পারে তা জানতে চাচ্ছি। এটা যে হারাম হচ্ছে এটা জানানর পরে সে জানতে চাচ্ছে ফোনে বিয়ে হবে কিনা।
অনুগ্রহ করে আমাকে ২ টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বাধিত করবেন।

1 Answer

0 votes
by (714,480 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
যখন কারো সামনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এসে উপস্থিত হবে।এবং সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না যে, সে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিবে।তাহলে এমন পরিস্থিতে তার জন্য উচিৎ ইস্তেখারা করা তথা ভালো দিক কে অন্বেষণ করা।অবশ্যই ইস্তেখারা, নামাযের মাধ্যমেই করবে। ইস্তেখারার পদ্ধতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ এক হাদীসে বলেন, দুই রা'কাত নামায পড়ে বিশেষ মনোযোগের সাথে (নিম্নে উল্লেখিত) দু'আ পড়বে।তাহলে হয়তো তার মন কোনো এক দিকে ধাবিত হবে,বা সে স্বপ্নযোগে কোনো এক ইশারা পাবে।  এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1472


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইস্তেখারার অর্থ হল, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে রাব্বে কারীমের মদদ আর সাহায্য কামনা করা। সেটা হয়তো স্বপ্নের মাধ্যমে কাউকে ইঙ্গিত দেয়া হতে পারে আবার কারো অন্তরে সেদিকে টান অনুভব সৃষ্টি করা হতে পারে। যতদিন না মন কোনো এক দিকে ধাবিত হচ্ছে ততদিন আপনি ইস্তেখারা করবেন। আপনি আরো কয়েকদিন ইস্তেখারা করবেন। পরিবার ও মাতাপিতার সম্মতি নিয়ে সামনে অগ্রসর হবেন। প্রশ্নে বর্ণিত বিবরণ ও স্বপ্ন থেকে কোনো দিকই স্পষ্ট হচ্ছে না। যতদিন না পুরোপুরি কোনো দিক স্পষ্ট হচ্ছে, ততদিন আপনি ইস্তেখারা চালিয়ে যাবেন। অথবা পরিবারের লোকজনের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নিবেন। আল্লাহ আপনার সহায় হোক।

(২)
(وَ) شُرِطَ (حُضُورُ) شَاهِدَيْنِ(حُرَّيْنِ) أَوْ حُرٌّ وَحُرَّتَيْن (مُكَلَّفَيْنِ سَامِعَيْنِ قَوْلَهُمَا مَعًا)
দুজন স্বাধীন পুরুষ অথবা একজন স্বাধীন পুরুষ ও দুজন স্বাধীন মহিলা সাক্ষী হিসেবে  উপস্থিত থাকতে হবে,যারা শরীয়তের বিধি-বিধান পালনে দায়বদ্ধ থাকবে,এবং একসাথে উভয় (স্বামী-স্ত্রী) র ইজাব-কবুল শ্রবণ করবে।(আদ্দুরুল মুখতার-৩/২২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2679

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মুবাইল কলে পাত্র পাত্রীর সরাসরি ইজাব কবুল দ্বারা বিয়ে সংগঠিত হবে না। তবে অন্যকে নিজের উকিল নিযুক্ত করে মজলিসে পাত্র/পাত্রী এবং উকিল কর্তৃক ইজাব কবুল দ্বারা বিয়ে সংগঠিত হয়ে যায়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...