আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
39 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ। 

১)উস্তাদ ২১৬ ব্যাচের ১৬ নং মডিউলে উস্তাদ পড়িয়েছেন (৩৭মিনিট এ) যদি হায়েজ অবস্থায় সহবাস করে কেও গুনাহগার ব্যাক্তি মাফ চেয়ে নিবে, ১দিনার অথবা অর্ধ দিনার স্বর্ণ অথবা মূল্য পরিশোধ করতে হবে। Ifatwa তে অনেক রিসার্চ করেছি এবং প্রতিটাতে আপনি বলেছেন কাফফারা নেই তওবা ইস্তেগফার করতে এহেন গুনাহের জন্য। 

আমি জানতে চাচ্ছি ইহা দেওয়ার সঠিক নিয়ম। আমি মুস্তাহাব হলেও পরিশোধ করতে চাচ্ছি।স্বামী স্ত্রী উভকেই কি আলাদা আলাদা পরিশোধ করতে হবে?যাকাতগ্রস্ত ব্যাক্তিকে কি উক্ত টাকা আমি প্রতি মাসে ভেঙে ভেঙে দিতে পারবো অল্প অল্প?ভেঙে ভেঙে দিলে আজকে মূল্য ধরবো নাকি প্রতিদিনের ক্রমবর্ধমান মূল্য ধরতে হবে?৪.২৫গ্রাম পরিমাণ মূল্য পরিশোধ করতে গেলে কি একসাথে দিয়ে দিতে হবে?সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও অর্ধ দিনার মূল্য পরিশোধ কি যথেষ্ট? 

২) কসর দূরত্ব পরিমাপ কিভাবে করবো?গুগল ম্যাপে?

৩)কসরের সময় নিজ এলাকা অতিক্রম বলতে কতোটুকু এরিয়া থেকে কসর আরম্ভ হয়?

৪)শ্বশুর বাড়ি কখনো যাইনি। তাহলে কি শ্বশুর বাড়ি তে ১৫দিনের কম গেলে কসর করবো?

৫) আপনি গত প্রশ্নে বলেছেন কসরের সময় দুই ওয়াক্তের নামাজ একসাথে আদায় করা যায়।

আমি অফিস থেকে বের হলাম, শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসে উঠলাম ।কসরের নিয়ত করলাম।আমার বাড়ি চকরিয়া। অফিস থেকে বাসে যাওয়ার সময় চকরিয়ার রাস্তা পার হয়ে যেতে হয়। আমি অফিস থেকে আসার সময় বাসে উঠার জন্য আছর ও মাগরিবের নামাজ প্রায়ই কাযা হয়।বাস থামেনা বললেও। আমি জানতে চাচ্ছি কতো পরিমাণ দূরত্বের পর থেকে আমার কসর শুরু হবে? এবং সর্বোচ্চ কতো ওয়াক্তের নামাজ কসরকালে একসাথে পড়া যাবে? তরিকা কেমন হবে? 

যোহরের স্বলাত অফিসে আদায় করেছি। আছরের আগে করে বাসে উঠবো তাহলে আমি কি যোহরের ওয়াক্তের শেষে আছর মাগরিব পড়ে উঠতে পারবো?উস্তাদ বলেছিলেন ওয়াক্তের নামায ওয়াক্তে আদায় করতে হবে কসর কালেও অন্য ওয়াক্তের নামাজ আদায় করা যাবে না এজন্য।

৬)দশদিন যদি হায়েজ ক্রস করে তাহলে সেটা ইস্তেহাযা।অর্থাৎ আগের অভ্যাস যতোদিন ছিলো ততোদিন হায়েজ বাকি সময় ইস্তেহাযা। আমার অভ্যাস ৭দিন।৩৭তম দিনে গর্ভপাত হলে কি আগের মতো ৭দিন হায়েজ ধরে বাকিদিন ইস্তাহাযা ধর্তব্য হবে?

৭) একবার হায়েজ ১৭দিন হয়।এখন আমি দশদিন দশরাত পর ১১তম দিন থেকে স্বলাত আদায় করেছি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে যেহেতু ৭দিন অভ্যাস বাকি তিনদিন আমার কাযা আদায় করতে হবে।এই তিনদিনের কাযা কিভাবে আদায় করবো?

৮)এভাবে যদি প্রায়ই হায়েজে ১০দিন অতিক্রম করে তবে প্রতিবারই কি অভ্যাস বদলেছে কিনা সেটা দেখার জন্য দশদিন দশরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করবো? আর যদি দেখি ইহা হায়েজ নয় তবে অপেক্ষা করার জন্য কি গুনাহ হবে?

৯)আপনি বলেছেন ২১০টি রোজার কাফফারা আদায় করা যাবে না যদি শক্তি সামর্থ্য থাকে। আমি মারা গেলে এই রোজার কাফফারা কি কারও আদায় করতে হবে?

১০)মূমুর্ষু ব্যাক্তির স্বলাতের কাফফারা কিভাবে আদায় করতে হয়?

অনেক প্রশ্ন করেছি উস্তাদ অগ্রীম জাযাকাল্লাহ.. 

1 Answer

0 votes
by (717,930 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) হায়েয অবস্থায় সহবাস হয়ে গেলে তাওবাহর পাশাপাশি এক দিনার সদকাহ করা মুস্তাহাব। অর্ধ দিরহামও সদকাহ করা যাবে। একসাথেও সদকাহ করা যাবে এবং ভেঙ্গে ভেঙ্গেও সদকাহ করা যাবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/13832

(২) ৭৭ কিলো থেকে সামান্য বেশী হল সফর পরিমাণ দূরত্ব। সুতরাং এ পরিমাপন গুগল ম্যাপেও করা যাবে। গুগল ম্যাপে কিভাবে পরিমাপন করতে হয়, তা ইউটিউব থেকে জেনে নেয়া যাবে।

(৩) নিজ গ্রাম বা সিটি এলাকা অতিক্রম করার পরই কসর শুরু হবে।

(৪) শশুড় বাড়ী সফর সমপরিমাণ দূরত্বের হলে এবং সেখানে ১৫ দিনের কম অবস্থান করলে অবশ্যই কসর করতে হবে।

(৫)
হানাফি মাযহাবের পরবর্তী উলামাদের কেউ কেউ অপর তিন মাযহাবের মতই দুই নামাযকে সফরের সময় একত্রিকরণের বৈধতা প্রদান করে থাকেন।কেননা অনেক হাদীসে বিশেষ উযর ব্যতিতও দুই নামাযকে একত্রিত করার প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে মতবিরোধ থেকে বাঁচার জন্য প্রত্যেক নামাযকে তার সময়ে আদায় করে নেয়াই উত্তম হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/827

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার প্রশ্নটি অস্পষ্ট। যতটুকু আমরা বুঝতে পেরেছি, সেই আলোকে বলছি, সর্বোচ্চ দুই নামাযকে একত্র করা যাবে। এর চেয়ে বেশী করা যাবে না।

(৬) ৩৭তম দিনে গর্ভপাত হলে আগের মতই ৭দিন হায়েজ ধরে বাকিদিন ইস্তাহাযা গণ্য করা হবে।

(৭) তিন দিনের নামায আপনি ধারাবাহিক ভাবে কাযা আদায় করে নিবেন।

(৮) জ্বী, প্রতিবারই দেখবেন। যদি ১০ দিনের ভিতর হায়েয বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে পূর্ণ ১০ দিনই হায়েয। নতুবা অভ্যাসের দিনগুলো হায়েয এবং অতিরিক্ত ইস্তেহাযা।

(৯)
কাযা রোজার ফিদয়া আদায় করা যাবে না যদি শক্তি সামর্থ্য থাকে। আপনি মারা গেলে এই রোজার ফিদয়া আদায় করা আপনার ওয়ারিছদের দায়িত্ব। আপনি অসিয়ত করলে ওয়াজিব হবে।

(১০) মূমুর্ষু ব্যাক্তি যে ৬ ওয়াক্তের বেশী বেহুশ তার উপর যেহেতু নামায ফরয নয়, তাই তার স্বলাতের কাফফারা কিভাবে আদায় করতে হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...