ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যাকাত ব্যবস্থা-কে কার্যকর করার অনেক উদ্দেশ্যর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হল,হাজতমন্দের হাজতকে পূর্ণ করা।কুরআনে বর্ণিত যাকাতের খাত সমূহের দিকে নজর দিলে এটাই স্পষ্ট হয় যে,আট খাতের সকল ক্ষেত্রেই গরীবী কে মূল ইস্যু হিসেবে রাখা হয়েছে।অর্থাৎ গরীবীর কারণেই উক্ত আট প্রকারকে জাকাত প্রদাণের খাত হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, ঐ অসুস্থ ব্যক্তি যে অর্থোপার্জনে অক্ষম,এবং যার নিকট এ পরিমাণ সম্পদও নেই যে,যা সে চিকিৎসা হিসেবে ব্যয় করবে।সে ব্যক্তি অবশ্যই যাকাতের হক্বদার।
এমনকি সে যাকাতের অন্যান্য হক্বদারের চেয়েও বেশী হক্বদার হবে।কেননা সে প্রথমত গরীব,দ্বিতীয়ত অক্ষম,এবং তৃতীয়ত বর্তমানে সে জীবনযুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/795
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আসসালামু আলাইকুম
(১) যারা অসুস্থতার চিকিৎসার জন্য সাহায্য চায়। তারা যাকাতের হকদার কি না? সেটা যাচাই-বাছাই করে তবেই যাকাত দিতে হবে। তারা যদি যাকাতের হকদার না হয়, তাহলে আপনার যাকাত আদায় হবে না।
(২) আর কেউ যদি যাকাতের হকদার না কিন্তু এরপরও নিজেকে যাকাতের হকদার দাবী করে, আর সেটা পরীক্ষা করার কোনো সুযোগ না থাকে, তাহলে তাকে যাকাত দিয়ে দিলে আবার আপনাকে যাকাত দিতে হবে।কেননা যোগ্য ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া যাকাত আদায় হওয়ার অন্যতম শর্ত।
(৩) যাকাতের হকদার কি না? সেটা যাচাই-বাছাই করে তবেই যাকাত দিতে হবে।
(৪) জিজ্ঞাসা করে জেনে নিতে হবে যে সে যাকাতের হকদার কি না? যেভাবে যাকাত দেয়া একটি দায়িত্ব ঠিকতেমনি যাকাতের হকদার কি না? সেটা যাচাই-বাছাই করাও একটি দায়িত্ব।