আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
97 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (1 point)
আমি একটা গুনাহ এ জড়িত ছিলাম।এবং আমি আল্লাহর কাছে অনেক বার তওবা করি।কিন্তু তারপরো আমি আবার সে গুনাহে জড়িয়েছি এবং তওবা করেছি।এরপর আবার আমি সেই গুনাহ এ জড়িয়েছি যখন আমি গুনাহ এ জড়াই ঠিক অই সময় ই আমার বার বার মনে হয় আমি তওবা করলে আল্লহ মাফ করবেন।গুনাহ করার সময় মনে হয়।পরে যখন ভাবি অনুশোচনায় নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছে করে আমি কেন করলাম আর মনে হয় আমি পাপ জেনে বুঝে তওবা করে সেই পাপ আবার করেছি আমাকে আল্লাহ কোনদিন ক্ষমা করবে না,আমি ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য না।আমি আল্লাহর বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করেছি আমাকে ক্ষমা পাওয়ার সু্যোগকে কাজে লাগিয়েছি আমি আর মাফ পাওয়ার যোগ্য না।আল্লাহ আমাকে মাফ করবে না।এরপর থেকে নামাজ পরতে ইচ্ছা করে না। পরিও না।লজ্জায় নামাজে দাড়াতে পারি না।নামাজ ছেড়ে দিয়েছি আমি জানি এটাও পাপ কিন্তু আমি নামাজে কোন স্বাদ পাই না মন বসে না,কিছুই আর ঠিক হচ্ছে না। আমি অনেক ওয়াদা দিয়েও আমি জেনেবুঝে একই কাজ বারবার করেছি।আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমি  যদি আবার তওবা করে এই কাজ আর কোনদিন না করি,কোন দিন না তাহলে কি আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করবেন?আল্লাহ ক্ষমা করবেন এই চিন্তা করে যে আমি গুনাহ করেছি এটা এক প্রকার সুযোগ নেওয়া এগুলো কি আল্লাহ ক্ষমা করবেন? আমি কি আমার হেদায়েত আবার ফিরে পাবো?আমার কি আর কোনো উপায় আছে?।

1 Answer

0 votes
by (711,520 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَىٰ أَنفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِن رَّحْمَةِ اللَّهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا ۚ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা যুমার৫৩)

قُل لِّلَّذِينَ كَفَرُوا إِن يَنتَهُوا يُغْفَرْ لَهُم مَّا قَدْ سَلَفَ وَإِن يَعُودُوا فَقَدْ مَضَتْ سُنَّتُ الْأَوَّلِينَ
তুমি বলে দাও, কাফেরদেরকে যে, তারা যদি বিরত হয়ে যায়, তবে যা কিছু ঘটে গেছে ক্ষমা হবে যাবে। পক্ষান্তরে আবারও যদি তাই করে, তবে পুর্ববর্তীদের পথ নির্ধারিত হয়ে গেছে।(সূরা যুমার-৩৮)

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত।
عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: يَا ابْنَ آدَمَ إِنَّكَ مَا دَعَوْتَنِي وَرَجَوْتَنِي غَفَرْتُ لَكَ عَلَى مَا كَانَ فِيكَ وَلَا أُبَالِي يَا ابنَ آدمَ إِنَّك لَوْ بَلَغَتْ ذُنُوبُكَ عَنَانَ السَّمَاءِ ثُمَّ اسْتَغْفَرْتَنِي غَفَرْتُ لَكَ وَلَا أُبَالِي يَا ابْنَ آدَمَ إِنَّكَ لَوْ لَقِيتَنِي بِقُرَابِ الْأَرْضِ خَطَايَا ثُمَّ لَقِيتَنِي لَا تُشْرِكُ بِي شَيْئًا لَأَتَيْتُكَ بِقُرَابِهَا مغْفرَة . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
 তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা বলেন, হে আদম সন্তান! তুমি যতক্ষণ পর্যন্ত আমাকে ডাকবে ও আমার নিকট ক্ষমার আশা পোষণ করবে, তোমার অবস্থা যা-ই হোক না কেন, আমি কারো পরোয়া করি না, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেবো। হে আদম সন্তান! তোমার গুনাহ যদি আকাশ পর্যন্তও পৌঁছে, আর তুমি আমার কাছে ক্ষমা চাও, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিব, আমি কারো পরোয়া করি না। হে আদম সন্তান! তুমি যদি পৃথিবীসম গুনাহ নিয়েও আমার সাথে সাক্ষাৎ করো এবং আমার সাথে কাউকে শারীক না করে সাক্ষাৎ করো, আমি পৃথিবীসম ক্ষমা নিয়ে তোমার কাছে উপস্থিত হব।মিশকাত-২৩৩৬, (তিরমিযী ৩৫৪০, সহীহাহ্ ১২৭, সহীহ আত্ তারগীব ৩৩৮২, সহীহ আল জামি‘ ৪৩৩৮)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/641 (শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি অতীতের গোনাহের উপর লজ্জিত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান, আল্লাহ অবশ্যই আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন।আপনি অবশ্যই হেদায়ত পাবেন।অবশ্যই আল্লাহ আপনার প্রতি রাজি ও খুশী হবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (711,520 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...