আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
19 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু!
একজন বোন পূর্বে একটি হারাম সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে জিনা করে ফেলে এবং যখন সে এটা সম্পর্কে বুঝতে পারে তখন তা থেকে ফিরে আসে! পরবর্তীতে বিয়ের সময়- ছেলে তাকে পূর্বের সম্পর্ক নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চায়, কেননা সে চায় না তার গুনাহ সম্পর্কে কেউ অবগত হোক! ছেলেটি তখন মেয়েটিকে আল্লাহর কসম কাটতে বলে! তখন মেয়েটি তার গুনাহ প্রকাশ না করার জন্য নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আল্লাহর নামে মিথ্যা কসম করে! ছেলে ফোন রাখার পর মেয়েটি মিথ্যা কসম করার জন্য অনুতপ্ত হয় আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়!

এখন বোনের প্রশ্ন হলো-
১। যেহেতু মিথ্যা বলে কসম কাটা হারাম, তাহলে এখন তার করণীয় কি? এক্ষেত্রে কসম ভঙ্গের জন্য নির্দিষ্ট কোনো বাক্য বলতে হবে কি? নাকি খালেস দিলে তওবা করলেই যথেষ্ট? আর কসম ভঙ্গের জন্য কাফফারা দিতে হবে কি না? কাফফারা দিতে হলে দাসমুক্ত, আহার বা বস্ত্র প্রদানের সামর্থ্য না থাকলে কি করণীয়?

২। পূর্বের স্থানে বিয়ে হয়নি! পরবর্তীতে আবারও যদি ছেলে পক্ষ আসে এবং একই প্রশ্নের মুখোমুখি হয় তাহলে কি বলা উচিত! সে তার গুনাহ সম্পর্কে কাউকে কিছু বলতে চায় না!

1 Answer

0 votes
ago by (714,480 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সাধারণ বিধান এটাই যে, গোনাহকে গোপন রাখতে হবে।
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ : ( ﻛُﻞُّ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣُﻌَﺎﻓًﻰ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟْﻤُﺠَﺎﻫِﺮِﻳﻦَ ﻭَﺇِﻥَّ ﻣِﻦْ ﺍﻟْﻤُﺠَﺎﻫَﺮَﺓِ ﺃَﻥْ ﻳَﻌْﻤَﻞَ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻴْﻞِ ﻋَﻤَﻠًﺎ ﺛُﻢَّ ﻳُﺼْﺒِﺢَ ﻭَﻗَﺪْ ﺳَﺘَﺮَﻩُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝَ ﻳَﺎ ﻓُﻠَﺎﻥُ ﻋَﻤِﻠْﺖُ ﺍﻟْﺒَﺎﺭِﺣَﺔَ ﻛَﺬَﺍ ﻭَﻛَﺬَﺍ ﻭَﻗَﺪْ ﺑَﺎﺕَ ﻳَﺴْﺘُﺮُﻩُ ﺭَﺑُّﻪُ ﻭَﻳُﺼْﺒِﺢُ ﻳَﻜْﺸِﻒُ ﺳِﺘْﺮَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻨْﻪُ )
আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, আমার সকল উম্মাতকে মাফ করা হবে, তবে প্রকাশকারী ব্যতীত। আর নিশ্চয় এ বড়ই অন্যায় যে, কোন লোক রাতের বেলা অপরাধ করল যা আল্লাহ গোপন রাখলেন। কিন্তু সে সকাল হলে বলে বেড়াতে লাগল, হে অমুক! আমি আজ রাতে এই এই কাজ করেছি। অথচ সে এমন অবস্থায় রাত কাটাল যে, আল্লাহ তার কর্ম লুকিয়ে রেখেছিলেন, আর সে ভোরে উঠে তার উপর আল্লাহর দেয়া আবরণ খুলে ফেলল। (সহীহ বুখারী-৬০৬৯,সহীহ মুসলিম-২৯৯০) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/906


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনাকে পাত্র যেই জিনিষের কথা জিজ্ঞাসা করেছে , যদি আপনি পূর্বে তাতে লিপ্ত থাকেন, এবং বর্তমানে তাওবাহ করে নেন, এবং সেই বিষয়টা আপনি ব্যতিত অন্য কেউ না জানে, তাহলে আপনার জন্য সেই বিষয়কে গোপনা রাখা উচিত ও সঠিক সিদ্ধান্ত। এমনকি ইমাম নববী রাহ তখন মিথ্যা কসমের অনুমোদন দিয়ে থাকেন। হ্যা, সর্বোপরি আপনি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেন। আল্লাহ ক্ষমাকারী। যদি দেখেন ভবিষ্যতে পাত্র জেনে যেতে পারে, তাহলে তখন আংশিক প্রকাশ করা যেতে পারে।কেননা পরবর্তীতে সংসার জীবনে সমস্যা হতে পারে।

সুতরাং 
(১) মিথ্যা বলে কসম কাটা হারাম। তবে বর্ণিত সূরতে মিথ্যা বলাটা হারাম হবে না বলে ইমাম নববী রাহ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এজন্য খালেস দিলে তওবা করাই যথেষ্ট। এবং কসমের কাফফারা দিতে হবে না। 

(২) পূর্বের স্থানে বিয়ে হয়নি! পরবর্তীতে আবারও যদি ছেলে পক্ষ আসে এবং একই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়, তাহলে গুনাহ সম্পর্কে কাউকে কিছু না বলাই উচিত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...