আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
আমি আইওএম এর একজন আলিম কোর্স এর ত্বলিবাহ।আমাদের ক্লাসগুলে তো রাতে হয়।

১।আমি হলে দ্বীনী মেহনতে যুক্ত আছি আলহামদুলিল্লাহ। মাগরিবের পর কুরআন শেখানো হয়।কুরআন শেখানো শেষ করে আসতে বেশ দেরি হয়ে যায়।এসে খাওয়া দাওয়া করে নামাজ পড়তে আইওএম এর কোন ক্লাস এর অর্ধেক ক্লাস হয়ে যায়।ক্লাসে জয়েন দিয়ে ক্লাস না করায় কি আমি গুনাহগার হব?

২।আবার ক্লাসগুলো শেষ করে ঘুমাতে বেশ রাত হয়ে যায়।তখন ঘুমালে কিয়ামুল লাইল করতে পারিনা।আমি রেগুলার কিয়ামুল লাইল এ উঠতে চায় কিন্তু করতে পারি না।আমার করণীয় কি?

৩।আমি কি আইওএম এর ক্লাসগুলো শেষ করে ঘুমাবো নাকি ক্লাস না করেই ঘুমাবো যাতে কিয়ামুল লাইল আদায় করতে পারি।নবী (সা) এর সুন্নাত তো তাড়াতাড়ি ঘুমানো এবং তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠা।আমি কিভাবে রাতের তাড়াতাড়ি ঘুমানো আর উঠার সুন্নত টা আদায় করব?

৪।আমি একটা ফিক্সড রুটিনে আসতে চাচ্ছি। যেমন ১০ টায় ঘুমানো ৩ টায় ঘুম থেকে উঠা।ক্লাস না করলে রেকর্ড ক্লাসগুলো গুরুত্ব সহকারে করা হয়না।পরে পরীক্ষায় সময় বেশি প্রেসার হয়ে যায় তখন মনে হয় ইলমের কদর করতে পারছি না।আমার করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (717,930 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আবূ মিনহাল (রহ.) হতে বর্ণিত।
তিনি বলেন, আমি আমার পিতার সঙ্গে আবূ বারযা আসলামী (রাযি.)-এর নিকট গেলাম। আমার পিতা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরজ সালাতসমূহ কোন্ সময় আদায় করতেন? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের সালাত যাকে তোমরা প্রথম সালাত বলে থাকো, সূর্য ঢলে পড়লে আদায় করতেন। আর তিনি ‘আসরের সালাত এমন সময় আদায় করতেন যে, আমাদের কেউ সূর্য সজীব থাকতেই মদিনার শেষ প্রান্তে নিজ পরিজনের নিকট ফিরে আসতে পারতো। মাগরিব সম্পর্কে তিনি কী বলেছিলেন, তা আমি ভুলে গেছি। অতঃপর আবূ বারযা (রাযি.) বলেন, ‘ইশার সালাত একটু বিলম্বে আদায় করাকে তিনি পছন্দ করতেন। আর ‘ইশার পূর্বে ঘুমানো এবং পরে কথাবার্তা বলা তিনি অপছন্দ করতেন। আর এমন মুহূর্তে তিনি ফজরের সালাত শেষ করতেন যে, আমাদের যে কেউ তার পার্শ্ববর্তী ব্যক্তিকে চিনতে পারত। এ সালাতে তিনি ষাট হতে একশত আয়াত তিলাওয়াত করতেন। (সহীহ বুখারী-৫৯৯) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/15991

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি সবকিছু একটু একটু করে করে নিবেন। শুধুমাত্র একাডেমিক পড়াশোনাটা মন দিয়ে গুরুত্বের সাথে করে নিবেন। দাওয়াতের কাজ এবং তাহাজ্জুদ নামায একটু একটু করে করে অভ্যাসটা বহাল রাখবেন। ক্লাসকে কখনো ফাঁকি দেওয়া যাবে না।

যখন একাডেমিক পড়াশোনা থাকবে না, তখন এশার নামাযের পরপরই ঘুমিয়ে যাবেন। মন ও শরীর সবকিছুই সতেজ থাকবে। প্রত্যেকটা ক্লাসকে অত্যান্ত গুরুত্বর সাথে গ্রহণ করবেন। মন ও তন নিয়ে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করবেন। সকল প্রকার গোনাহ ও হারাম কাজ থেকে নিজে দূরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।এবং দূরে থাকবেন। ইচ্ছা থাকলে সবকিছুই সম্ভব হয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...