ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আবূ মিনহাল (রহ.) হতে বর্ণিত।
তিনি বলেন, আমি আমার পিতার সঙ্গে আবূ বারযা আসলামী (রাযি.)-এর নিকট গেলাম। আমার পিতা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরজ সালাতসমূহ কোন্ সময় আদায় করতেন? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের সালাত যাকে তোমরা প্রথম সালাত বলে থাকো, সূর্য ঢলে পড়লে আদায় করতেন। আর তিনি ‘আসরের সালাত এমন সময় আদায় করতেন যে, আমাদের কেউ সূর্য সজীব থাকতেই মদিনার শেষ প্রান্তে নিজ পরিজনের নিকট ফিরে আসতে পারতো। মাগরিব সম্পর্কে তিনি কী বলেছিলেন, তা আমি ভুলে গেছি। অতঃপর আবূ বারযা (রাযি.) বলেন, ‘ইশার সালাত একটু বিলম্বে আদায় করাকে তিনি পছন্দ করতেন। আর ‘ইশার পূর্বে ঘুমানো এবং পরে কথাবার্তা বলা তিনি অপছন্দ করতেন। আর এমন মুহূর্তে তিনি ফজরের সালাত শেষ করতেন যে, আমাদের যে কেউ তার পার্শ্ববর্তী ব্যক্তিকে চিনতে পারত। এ সালাতে তিনি ষাট হতে একশত আয়াত তিলাওয়াত করতেন। (সহীহ বুখারী-৫৯৯) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/15991
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি সবকিছু একটু একটু করে করে নিবেন। শুধুমাত্র একাডেমিক পড়াশোনাটা মন দিয়ে গুরুত্বের সাথে করে নিবেন। দাওয়াতের কাজ এবং তাহাজ্জুদ নামায একটু একটু করে করে অভ্যাসটা বহাল রাখবেন। ক্লাসকে কখনো ফাঁকি দেওয়া যাবে না।
যখন একাডেমিক পড়াশোনা থাকবে না, তখন এশার নামাযের পরপরই ঘুমিয়ে যাবেন। মন ও শরীর সবকিছুই সতেজ থাকবে। প্রত্যেকটা ক্লাসকে অত্যান্ত গুরুত্বর সাথে গ্রহণ করবেন। মন ও তন নিয়ে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করবেন। সকল প্রকার গোনাহ ও হারাম কাজ থেকে নিজে দূরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।এবং দূরে থাকবেন। ইচ্ছা থাকলে সবকিছুই সম্ভব হয়।