আসসালামু আলাইকুম। আমার হাসবেন্ড কে জিজ্ঞেস করেছিলাম সে যিহার নিয়ে জানে কিনা। সে আমাকে বলে এমন কিছু কোনোদিন শুনে নাই। তখন আমি তাকে বুঝাইতেছিলাম কেমনে কি হয়। তখন সে আমাকে বলে " দুর বোকা, যিহার বলে কিছু নাই"। আসলে সে ব্যাপার টা জানতো না। পরে আমি যখন দেখালাম হাদিস সহ তখন বিশ্বাস করেছে।
১) সে যে বললো - যিহার বলে কিছু নাই এতে কি তার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে?
২) একবার কথায় কথায় বলতেছে - " আমি জেনেরাল লাইনের মানুষ। দীনী বিষয় যতটুকু জানা দরকার জানবো৷ এসব ফতোয়া নিয়ে গবেষণা করা মুফতি দের কাজ। আমার কাজ না। আমাকে বলতেছে- " আমার ঈমান নিয়ে তোমার ভাবতে হবে না, তুমি তোমার নিজের কাজ করো, নিজের ঈমান নিয়ে ভাবো "। তার এসব কথার কারনে কি ঈমানে কোন সমস্যা হবে?
৩) আমি আমার হাসবেন্ড কে বললাম, আমার নামাজে বসে অনেক কিছু চলে আসে মাথায়৷ কত চিন্তা। তখন আমার হাসবেন্ড বললো আমার আরো বেশি চলে আসে৷ তোমার সাথে কি করি না করি সব চলে আসে( এখানে কথাটা সহবাস হিসেবে অন্য ভাবে বলেছে, আঞ্চলিক ভাবে একটু অন্য ভাষায়)। এগুলা এভাবে বলাতে কি ঈমানে সমস্যা হবে?
৪) বিয়ের কয়েকদিন আগে আমাকে বলেছিল বুঝানোর জন্য যে - দেখো বিয়ের পরে তুমি এত টেনশন করলে সংসারে শান্তি থাকবে না। রাগারাগি করে মানুষ কত কথা বলে যে- " তোমার সাথে আর কথা বলবো না, তুমি বাপের বাড়ি চলে যাও এগুলা বললে তুমি ভাববা ওটা ( তালাক) হয়ে গেছে। তাইলে কি সংসারে শান্তি থাকবে কোনো? এখানে সে তালাক উচ্চারণ করেনি। শুধু ওটা বলেছিল। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম এগুলা কাকে বলেছে? আমার হাসবেন্ড বলেছে,কসে নাকি এগুলা উদাহরণ দিতে বলেছে। কাউকেই বলে নাই৷ এসব কথার কারনে কি কোনো শর্তযুক্ত তালাক হবে বিয়ের পরে?
৫) আমার হাসবেন্ড আল্লাহর রহমতে নামাজ পড়ে, রোজা রাখে। মানার চেষ্টা করে। কিন্তু অনেক ফতোয়া সে জানে না, অনেক কিছুই জানে না। হুরমত, কিভাবে কেনায়া তালাক হয়। এমন আরো অনেক কিছু। আমি যদি তাকে এগুলো না জানাই তাহলে কি আমার গুনাহ হবে?
দয়া করে যদি উত্তর দিতেন। হাসবেন্ড খুব রাগী। এসব নিয়ে আলোচনা করা যায় না। তাই এখানে প্রশ্ন করলাম।