আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
46 views
in পবিত্রতা (Purity) by (11 points)
১)পিরিয়ডের সময় ব্যবহৃত স্যানিটারি প্যাড গুলো বাইরে ফেলার নিয়ম কি শাইখ? এগুলো নাকি ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে তারপর বাইরে ফেলতে হয়।এটা কি ঠিক?

২)চার পাঁচ ঘণ্টা পর প্যাড খুলে তো নতুন প্যাড পরতে হয়।শহরে তো সাথে সাথে কোথাও পুরাতন প্যাডটা ফেলা যায় না। আমি দুইদিন পর পর ডাস্টবিনে ফেলে দেই।এভাবে জমিয়ে রাখায় কি জ্বীনে ক্ষতি করতে পারে?

৩)রাতের বেলা প্যাড বাইরে ফেলা যায় না।এটা কি ঠিক?

1 Answer

0 votes
by (704,820 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

فِیْهِ رِجَالٌ یُّحِبُّوْنَ اَنْ یَّتَطَهَّرُوْا  وَ اللهُ یُحِبُّ الْمُطَّهِّرِیْنَ .

তাতে (কোবায়) এমন লোক আছে, যারা অধিকতর পবিত্রতা পছন্দ করে। আর আল্লাহ তাআলা অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদের পছন্দ করেন। -সূরা তাওবা (৯) : ১০৮

ইসলামে “হায়েজ (পিরিয়ড)” সম্পর্কিত রক্ত নাপাক (نجس) হিসেবে গণ্য —
তাই এর প্রতি আচরণে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি।

(০১)
ব্যবহৃত প্যাড খুব ভালোভাবে প্যাক করে (পলিথিন বা টিস্যু দিয়ে মুড়ে) আবর্জনার ডাস্টবিনে ফেলা — এটাই যথেষ্ট।

পানিতে ধুয়ে তারপর ফেলার কোনো শরয়ী বাধ্যবাধকতা নেই।
এটা লোকাচার (সাংস্কৃতিক অভ্যাস), শরিয়তের নির্দেশ নয়।

তাই প্যাডে পানি ঢালা বা ধোয়ার দরকার নেই,বরং এতে হাত নোংরা ও জীবাণুর ঝুঁকি বাড়ে।

(০২)
কয়েক ঘণ্টা পর প্যাড বদলে পুরনো প্যাড সংরক্ষণ করার ব্যাপারে শরীয়তের দৃষ্টিতে কোনো গুনাহ বা জ্বিনের ক্ষতি নেই।

তবে পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিত:

ব্যবহৃত প্যাড বদ্ধভাবে ( পলিথিনে) রাখবেন, যেন দুর্গন্ধ বা জীবাণু না ছড়ায়।

পরে সুযোগ হলে ডাস্টবিনে ফেলে দিবেন।

ইসলামিক সূত্রে “জ্বিন ক্ষতি করবে” — এমন ধারণার কোনো সহীহ দলিল নেই।
এটা লোকমুখে প্রচলিত, কিন্তু কুরআন ও হাদীসে নেই।

(০৩)
রাতে প্যাড বাইরে ফেলা যায় না,এট ঠিক কথা নয়।

এরকম কথা কোনো সহীহ ইসলামিক সূত্রে নেই।

আপনি রাতেও ব্যবহৃত প্যাড নিরাপদভাবে প্যাক করে আবর্জনায় ফেলতে পারো।
রাত-দিনের কোনো পার্থক্য শরীয়তে নির্ধারিত হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...