আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
44 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম।

এক বোনের স্বামী জুনিয়র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ২ মাস হয়েছে চাকরির। সেই স্কুলে ক্লাস ৬ষ্ঠথেকে ৮ম  শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হয়। ম্যাডাম আছেন ৫ জন এবং ৩ জন স্যার। উনার স্বামীর এই প্রতিষ্ঠানে চাকরির ইচ্ছা ছিলনা। কিন্তু এখনো অন্য কোনো চাকরি হয়নি তাই জয়েন করেছে। বোনটি এমন সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চাকরি পছন্দ করেননা। তাই তার স্বামীকে বলে জয়েন করার আগে যে, কোনো মেয়ের সাথে যেন কথা না বলে এবং ম্যাডামদের সাথেও যেনো কথা না হয়। কিন্তু উনি যে সময় জয়েন করে ওই একই সময় উনার সাথে ২ জন ম্যাডাম ও ইয়াং ম্যাডাম অবিবাহিত জয়েন করেন। তাই বোনটি স্বামীকে কসম করায় আল্লাহর নামে যে যেনো ম্যাডামদের সাথেও কথা না বলে। কিন্তু উনার স্বামী প্রয়োজনেই কথা বলেছে বেশ কয়েকবার। এবং ১ দিন ১ জন ম্যাডাম ফোন দিলে উনার সামি ওই ম্যাডামের সাথে ফোনেও কথা বলে যেটা খুব প্রয়োজন ছিলনা। এখন বোনটি এজন্য খুব চিন্তায় রয়েছে। এটা জন্য কাফফরা আদায় কিভাবে করবে? কাকে করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (732,000 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(وَأَمَّا رُكْنُ الْيَمِينِ بِاَللَّهِ) فَذِكْرُ اسْمِ اللَّهِ، أَوْ صِفَتِهِ، وَأَمَّا رُكْنُ الْيَمِينِ بِغَيْرِهِ فَذِكْرُ شَرْطٍ صَالِحٍ، وَجَزَاءٍ صَالِحٍ كَذَا فِي الْكَافِي
«الفتاوى الهندية» (2/ 51)
কসমের রুকুন হল, আল্লাহ শব্দ বা আল্লাহর কোনো সিফাত তাতে উল্লেখ থাকা। আর বিশুদ্ধ ও উপযোক্ত শর্ত এবং জাযা উপস্থিত থাকা। ( ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/৫১)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3101


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যেহেতু আল্লাহর নাম নিয়ে শপথ করেছেন, আল্লাহর কাছে হারামের লিপ্ত না হওয়ার শপথ বা ওয়াদা করেছেন, তাই আপনাকে কাফফারা দিতে হবে।এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। কসমের কাফফারা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1808


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
"বোনটি স্বামীকে কসম করায় আল্লাহর নামে যে যেনো ম্যাডামদের সাথেও কথা না বলে।"

এখানে যেহেতু প্রয়োজন অপ্রয়োজন উল্লেখ ব্যতিত বোনটি কসম করিয়েছে, তাই প্রয়োজনে কথা বললেও কসম ভঙ্গ হবে।কসমের কাফফারা দিতে হবে। একবার কসম ভঙ্গ হলে ঐ বিষয় দ্বিতীয় বার করলে আর কসম ভঙ্গ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 1,242 views
...