আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
25 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ।

উস্তায, শুরুতে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি বিস্তারিত বলতে গিয়ে লিখা বড় হয়ে যাওয়ার কারণে। আমি ২০২২ সালে অনার্সে ভর্তি হওয়ার পর সহশিক্ষা+জেলারেল পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমি আমার পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে বর্তমানে এই বিষয়টি নিয়ে হতাশ। আমার এখন কি করা উচিৎ বুঝে উঠতে পারতেছিনা।

আমার পারিপার্শ্বিক অবস্থা: আমি আমার বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে। আমার কোনো ভাই নেই। ভাই না থাকাতে আব্বু আম্মুর দায়িত্ব আমার উপর। আমার আব্বুও কিছুটা অসুস্থ। বর্তমানে ওনার কোনো কাজ নেই। আমাদের ভিটেমাটি ছাড়া বাইরে আর কোনো সম্পদও নেই। অন্যদিকে শ্যামলা ও বাবার আর্থিক অবস্থা দূর্বলের কারণে সমন্ধও আসে না তেমন।

উস্তায, আমি আবার আমার জেনারেল পড়াশোনা শুরু করতে চাচ্ছি এবং ভর্তি বাতিল না হওয়ার সময় আর অল্প কিছুদিন থাকাতে পড়াশোনা শুরু করার সেই সুযোগ আছে। এখন আমার জন্য সহশিক্ষাতে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার বিধান কী? আমি শুধু পরিক্ষাগুলো দিতে চাচ্ছি এবং কলেজ সফরের দুরত্বের নয় এবং আব্বু আমার সাথে যাবে। মহিলা কলেজেও এখন ভর্তি হওয়ার সুযোগ নেই কারণ এখানে ভর্তি বাতিল হয়ে গেলে আমাকে উন্মুক্ততে ভর্তি হতে হবে এবং ওটাও সহশিক্ষা। উন্মুক্ততে ভর্তির ক্ষেত্রে আমাকে বেশ ঝামেলায় মধ্য দিয়ে যেতে হবে। উস্তায, আমাকে যদি এই ব্যাপারে আপনার মূল্যবান কিছু পরামর্শ দিতেন।

1 Answer

0 votes
by (732,000 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জেনারেল শিক্ষা অর্জন সম্পর্কে আমরা ইতি পূর্বে বলেছিলাম যে, 
বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।

১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)(শেষ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/434

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আমরা অতীতে অনেকবার বলেছি যে, নিজ ঈমান আকিদা ঠিক রেখে সহশিক্ষা ব্যবস্থাতেও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া যায়। প্রশ্নের বিবরণমতে আপনি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...