ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
নিফাস রিলেটেড আরো কিছু বিবিধ আহকাম
■ যদি সন্তানের শরীর মাতৃগর্ভ হইতে অর্ধেকের বেশী বাহির হয়, তবে সেই রক্ত
নিফাসের হুকুমে হবে, তার ঐ ওয়াক্তের নামায মাফ হয়ে যাবে; আর যদি অর্ধেকের
কম বা বরাবর বাহির হয়, তবে তার প্রতি নেফাসের হুকুম আসবে না, সুতরাং ঐ ওয়াক্তের
নামায (পরে কাযা) আদায় করে নিবেন।
.
■ সন্তান স্বাভাবিক নিয়মে ভূমিষ্ট হোক বা সিজারের মাধ্যমে হোক, ভূমিষ্ট হওয়ার
পর মহিলার যে রক্তস্রাব আসে তা নেফাস বলেই গণ্য হবে। হায়েজ হিসেবে নয়। তাই চল্লিশ দিনের
ভেতরে স্রাব বন্ধ না হলে স্ত্রী সহবাস হারাম এবং তার নামাজ পড়া বন্ধ থাকবে। তবে চল্লিশ
দিনের ভেতরে যেদিন-ই স্রাব বন্ধ হবে সেদিন থেকে গোসল করার পর সবকিছু বৈধ হবে। আলবাহরুর
রায়েক ১/২১৮; আদ্দুররুল মুখতার ১/২৯৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৭
.
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
.
সন্তান প্রসবের পর যে রক্তস্রাব বের হয় তাকে নিফাস বলা হয়।
সুতরাং সন্তান প্রসবের পূর্বের নামাজগুলো কাজা করে নিবেন ইনশাআল্লাহ।