আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
12 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
 
 
 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ 

 

আমার স্বামীর জব হওয়ার আগে নিয়ত করেছিল, জব পেলে বেতনের ১০% আল্লাহর রাস্তায় দিবে, সাদাকা করবে। 

এখন আলহামদুলিল্লাহ একটা জব পেয়েছে। তো জবের বেতন দিয়ে তার নিজের থাকা, খাওয়া খরচ করে,১০% সাদাকাএবং  বাসায় পাঠালে আর তেমন টাকা থাকবে না।

আমি আর আমার বাচ্চা শ্বাশুড়ির আন্ডারে থাকি,, খাবার আর ওষুধ  পাব সেখান থেকে 

তা বাদে আমার অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস শ্বাশুড়ির কাছ থেকে চাওয়া যায় না, চাইলে হয়তো উনিও ভালো ভাবে নিবেননা। 

(আমি একেতো বাচ্চা হওয়ার পর শুকিয়ে দেখতে বাজে হয়ে গেছি, তার উপর পুরাতন কাপড়, নিজের যত্নের জন্য আলাদা কোন কিছু ই ব্যবহার না করা,   

ফলাফল আমার স্বামীর সাথে আমার দুরত্ব বাড়তেছে

 

আমি চাচ্ছি সাদাকার টাকাটা নিয়ে নিজের জন্য ব্যবহার করতে, স্বামীর সামনে নিজেকে উপস্থাপনের জন্য ভালো পোষাক, স্কিন কেয়ার, কসমেটিকস এই টাইপ খরচ করতে।

তার যা ইনকাম, আর ঋণ ওগুলো শোধ না হওয়া পর্যন্ত সে আমাকে হাত খরচ ও দিতে পারবে না আলাদা করে

 

আমি কি আমার নিজের জন্য টাকা টা নিতে পারব? 

1 Answer

0 votes
by (704,100 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/115216/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
স্ত্রী তার স্বামীর মাল থেকে ওয়াজিব হক্ব পরিমাণ সম্পদ গ্রহণ করতে পারবে।অর্থাৎ স্বামীর উপর স্ত্রীর খোরাকি এবং নিজ সন্তানাদির খোরাকি পরিমাণ শরীয়ত কর্তৃক যা ওয়াজিব ছিলো, সেটাকে স্ত্রী গ্রহণ করতে পারবে।

 ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ : ﺃﻥ ﻫﻨﺪ ﺑﻨﺖ ﻋﺘﺒﺔ ﻗﺎﻟﺖ : ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ، ﺇﻥ ﺃﺑﺎ ﺳﻔﻴﺎﻥ ﺭﺟﻞ ﺷﺤﻴﺢ ﻭﻟﻴﺲ ﻳﻌﻄﻴﻨﻲ ﻣﺎ ﻳﻜﻔﻴﻨﻲ ﻭﻭﻟﺪﻱ ﺇﻻ ﻣﺎ ﺃﺧﺬﺕ ﻣﻨﻪ ﻭﻫﻮ ﻻ ﻳﻌﻠﻢ، ﻓﻘﺎﻝ : ﺧﺬﻱ ﻣﺎ ﻳﻜﻔﻴﻚ ﻭﻭﻟﺪﻙ ﺑﺎﻟﻤﻌﺮﻭﻑ .
"হযরত আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত,হিনদ বিনতে উতবা রাঃ নবী কারীম সাঃ এর কাছে (নিজ স্বামীর অভিযোগ নিয়ে এসে) বললেনঃহে রাসুলুল্লাহ সাঃ আবু সুফিয়ান একজন কৃপন মানুষ, সে আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভরণ-পোষণ দেয় না,যদ্দরুন তার অজান্তে তার মাল থেকে আমি খরছ করে ফেলি, (এ বিষয়ে শরীয়তের দিকনির্দেশনা আমাদেরকে বলুন)রাসুলুল্লাহ সাঃ বললেনঃ ন্যায়সঙ্গত ভাবে তোমার ও তোমার সন্তানদের যা প্রয়োজন তা (তার অজান্তে)নিয়ে নিতে পারো(এতে কোনো অসুবিধা হবে না)।" (সহীহ বুখারীঃ৫৩৬৪)আরও বর্ণিত আছে৫৭৮৬ নং হাদীসে। 

স্বামীর উপর স্ত্রী ও নাবালিগ সন্তানদের ভরণ-পোষণ ওয়াজিব,এই ওয়াজিব হক্ব আদায় না করা দরুণ রাসুলুল্লাহ সাঃ স্বামীর অজান্তে স্বামীর মাল থেকে স্ত্রীকে উসূলের অনুমতি দিয়েছেন।

এ সম্পর্কে  বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1111

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার স্বামী এক্ষেত্রে নিয়ত করেছেন মাত্র, তিনি কোনোরুপ মান্নত করেননি, তাই তার জন্য প্রতি মাসে এভাবে ১০% টাকা আল্লাহর রাস্তায় দান করা আবশ্যক নয়।

তিনি যদি দান করেন সেক্ষেত্রে এটির দরুন তার ছওয়াব হবে, দান না করলে কোন গুনাহ হবে না।

এমতাবস্থায় তিনি যদি আপনার ভরণপোষণ সংশ্লিষ্ট আবশ্যকীয় খরচ না দেন, সেক্ষেত্রে তার টাকা থেকে আপনি আপনার ভরণপোষণ সংশ্লিষ্ট আবশ্যকীয় খরচ নিতে পারবেন।

শরীয়ত এক্ষেত্রে বাধা দেয়না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...