আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
18 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
বাচ্চা পেটে থাকা অবস্থায় ১-৫ মাসের মধ্যে সূরা ইউসুফ পড়ে দুধে ফু দিয়ে মাকে খাওয়ালে নাকি বাচ্চা অনেক মেধাবী হয়।
এইরকম আমল এর কোনো দলিল আছে নাকি?

আর গর্ভাবস্থায় সুন্নাহসম্মত আমল কোনগুলো?এগুলো কে কে করবে?মা / বাবা দাদা দাদি এদের কোনো আমল আছে?

গ্রামে অনেক নিয়ম দাদা এটা পড়ে তো দাদি এটা এতোবার পড়ে ফু দেয়া লাগে।এগুলো আদৌ আছে?

1 Answer

0 votes
by (704,100 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

নেক সন্তান লাভের জন্য মা হালাল রিযিক ভক্ষন করবে,হারাম, গুনাহের কাজ থেকে বেঁচে থাকবে, গান বাজনা থেকে বেঁচে থাকবে,বেশি বেশি যিকির,কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে,এবং নিম্নোক্ত  দোয়া করবেঃ-

رَبِّ هَبْ لِي مِن لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاء
হে, আমার পালনকর্তা! আপনার নিকট থেকে আমাকে পুত-পবিত্র সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী। (সূরা আল-ইমরান ৩৮)

رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ
‘হে আমার পরওয়ারদেগার! আমাকে এক সৎপুত্র দান করুন।’ (সূরা সাফফাত ১০০)

رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
‘হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের জীবনসঙ্গীর পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান দান করুন এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ দান করুন।’ (সূরা ফুরকান ৭৪)

আরো জানুনঃ- 

https://ifatwa.info/118733/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

ﻋَﻦْ ﻣُﻮﺳَﻰ ﺑْﻦِ ﺟَﻌْﻔَﺮٍ ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ، ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ، ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﺃَﻃْﻌِﻤُﻮﺍ ﺣُﺒْﻼﻛُﻢُ ﺍﻟﻠِّﺒَﺎﻥَ؛ ﻓَﺈِﻥْ ﻳَﻜُﻦْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻬَﺎ ﺫَﻛَﺮٌ ﻳَﻜُﻦْ ﺫَﻛِﻲَّ ﺍﻟْﻘَﻠْﺐِ ، ﻭَﺇِﻥْ ﺗَﻜُﻦْ ﺃُﻧْﺜَﻰ ﻳَﺤْﺴُﻦُ ﺧُﻠُﻘُﻬَﺎ ﻭَﺗَﻌْﻈُﻢُ ﻋَﺠِﻴﺰَﺗَﺎﻫَﺎ-(رواه ابو نعيم فيﺃﺭﺑﻌﻮﻥ ﺣﺪﻳﺜًﺎ ﻣﻦ ﺍﻟﺠﺰﺀ ﺍﻟﺮﺍﺑﻊ ﻣﻦ ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻄﺐ - رقم الحديث 38)
রাসূলুল্লাহ বলেন,তোমরা গর্ভবর্তী মহিলাদের দুধ পান করাও।যদি গর্ভে ছেলে সন্তান থাকে তাহলে সে অত্যান্ত বুদ্ধিমান হবে।আর যদি মেয়ে সন্তান থাকে তাহলে তার চরিত্র সুন্দর হবে এবং তার শারিরিক গঠন ও অভয়ব সুন্দর হবে। 

এক বর্ণনায় এসেছে,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
তোমরা আতাফল ভক্ষণ করো।এবং পরস্পর হাদিয়া প্রদান করো।এবং তোমাদের গর্ভবর্তী মা'দের কে তা ভক্ষণ করাও।কেননা আতাফল সন্তানাদিগকে সুন্দর করে।

হাজেরা আঃ কে অনুসরণ করে পাহাড় বা এ জাতীয় স্থানে গর্ভবর্তী মায়েদের জন্য কিছু সময় দৌড়ানো উচিৎ।(খাওয়াতিনে ইসলামি ইন্সাইক্লোপিডিয়া:৪০৭)

গর্ভাবস্থায় এবং সন্তান ভূমিষ্ঠের পর খেজুর খাওয়া সাস্থ্যকর।যেমনঃ-
হযরত ঈসা আঃ এর জন্মের পর হযরত মরিয়ম আঃ কে লক্ষ্য করে আল্লাহ তা'আলা  বলেন,
ﻭَﻫُﺰِّﻱ ﺇِﻟَﻴْﻚِ ﺑِﺠِﺬْﻉِ ﺍﻟﻨَّﺨْﻠَﺔِ ﺗُﺴَﺎﻗِﻂْ ﻋَﻠَﻴْﻚِ ﺭُﻃَﺒًﺎ ﺟَﻨِﻴًّﺎ
আর তুমি নিজের দিকে খেজুর গাছের কান্ডে নাড়া দাও, তা থেকে তোমার উপর সুপক্ক খেজুর পতিত হবে।(সূরা মরিয়ম-২৫)

বুজুর্গানে কেরাম বলেন,
গর্ভধারণের সময় কুরআন তেলাওয়াত সহ সকল প্রকার ইবাদত বেশী বেশী করে করলে সন্তান নেককার হয়। যতটুকু সম্ভব বেশী বেশী করে ফরয সহ নফল ইবাদত করলে, এবং নেককার/বুজুর্গানে কেরামদের অভয়বকে কল্পনায় রাখলে সন্তান নেককার হয়।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/337

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
গর্ভবর্তী মায়েদের জন্য বেশী বেশী কুরআন তিলাওয়াত সন্তান উত্তম চরিত্রে প্রভাব বিস্তার করে থাকে। 

★ গর্ভাবস্থায় প্রশ্নে উল্লেখিত আমল করা যাবে। তবে আমটির কোন দলিল কুরআন হাদীসে নেই।

তদুপরি আবশ্যকীয় মনে না করে ও দ্বীনের অংশ বলে মনে না করে, এমনিতেই কোন বুযুর্গানে দ্বীনের বলে দেওয়া আমল হিসেবে উক্ত আমল করা যেতে পারে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...