وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
গুনাহের কাজ যেমন নিজে করা জায়েজ নেই,গুনাহের কাজে সহযোগিতা করাও জায়েজ নেই।
গুনাহের কাজে সহযোগিতা করা গুনাহ করারই নামান্তর।
বিধায় তাহা জায়েজ নেই।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢]
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا مِنْ دَاعٍ يَدْعُو إِلَى هُدًى إِلَّا كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِ مَنْ اتَّبَعَهُ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا وَمَا مِنْ دَاعٍ يَدْعُو إِلَى ضَلَالَةٍ إِلَّا كَانَ عَلَيْهِ مِثْلُ أَوْزَارِهِمْ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أَوْزَارِهِمْ شَيْئًا
মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট খবর পৌছিয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমাইয়াছেনঃ যেকোন আহবানকারী হিদায়াতের দিকে আহবান করিবে তবে তাহাকে তাহার অনুসরণকারীদের সমান পুণ্য দেওয়া হইবে। অনুসরণকারীদের পুণ্য হইতে বিন্দুমাত্র কম করা হইবে না। আর যেকোন আহবানকারী পথভ্রষ্টতার দিকে আহবান করিবে, তবে তাহার উপর অনুসরণকারীদের পাপসমূহের সমান পাপ বৰ্তাইবে। তাহাতে অনুসরণকারীদের পাপসমূহের এতটুকুও কম করা হইবে না।
(মুয়াত্তা মালিক ৪৯৬)
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যেহেতু তাকে বলেছেন যে ইনডাকশন ব্যবহার করা হলে বৈধ নয়, এক্ষেত্রে পাশাপাশি এটিও আপনি তাকে বলবেন যে ইনডাকশন ব্যবহারের দায় পুরোপুরি তোমার, আমার উপর এর কোনো দায় বর্তাবেনা।
এটি বলার পর আপনার কোনো গুনাহ হবেনা।
(০২)
কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার সত্ত্বেও যারা অনুমতি ছাড়া রান্না করে, তাদের রান্না করা খাবার খাওয়া যাবেনা।
আপনি যেহেতু প্রিন্সিপাল স্যারের অনুমতি নিয়ে এসেছেন রান্নার জন্য, এখন কেউ যদি আপনার চুলায় খাবার গরম করে নেয়, তাহলে আপনার গোনাহ হবেনা।
তবে বিষয়টি সম্পর্কে যদি প্রিন্সিপাল স্যার আপনাকে নিষেধ করে থাকেন, তাহলে আপনি কাউকে অনুমতি দিবেন না।
(০৩)
আপনি যেখানে হতে ওয়াতনে আসলিতে যাচ্ছেন, দূরত্ব পথ যদি ৭৮+ কিলোমিটার হয়, সেক্ষেত্রে আপনি যাতায়াত পথে যেহেতু কসর আদায় করতে পারবেন, তাই যাতায়াত পথের কোন নামাজ কাজা হলে সে নামাজের কাজা কসর হিসেবেই আদায় করতে হবে।
(০৪)
সদর এলাকা পার হওয়ার পর থেকেই কসর আদায় করতে পারবেন।
(০৫)
এক বছর পরেও যদি তার কাছে দৈনন্দিন প্রয়োজন অতিরিক্ত টাকা থাকে, তাহলে তাকে যাকাত দিতে হবে। এমতাবস্থায় তার উপর যাকাত ফরজ হবে। কেননা সে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক।
(০৬)
এক্ষেত্রে তার উপর যাকাত ফরজ হবেনা।
২ তারিখ থেকে নতুন যাকাত বছর গননা হবে।