(ক)
ব্যবসার নিয়তে কোনো কিছু ক্রয় করলে তা স্থাবর সম্পত্তি হোক যেমন জমি-জমা, ফ্ল্যাট কিংবা অস্থাবর যেমন মুদী সামগ্রী, কাপড়-চোপড়, অলংকার, নির্মাণ সামগ্রী, গাড়ি, ফার্নিচার, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী, হার্ডওয়ার সামগ্রী, বইপুস্তক ইত্যাদি, তা বাণিজ্য-দ্রব্য বলে গণ্য হবে এবং মূল্য নিসাব পরিমাণ হলে যাকাত দেওয়া ফরয হবে। -মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদীস ৭১০৩,৭১০৪
,
★সুতরাং আপনার উক্ত জমি তো ব্যবসার জন্য নয়,তাই তার উপর যাকাত ফরজ হবেনা।
,
(খ)
যদি তার সাথে নিজের মালিকানা রুপা বা অতিরিক্ত টাকা না থাকে,তাহলে যাকাত ফরজ হবেনা।
,
(গ)
শরীয়তের বিধান হলো যদি সোনা-রুপা, টাকা-পয়সা কিংবা বাণিজ্য-দ্রব্য- এগুলোর কোনোটি পৃথকভাবে নিসাব পরিমাণ না থাকে, কিন্তু এসবের একাধিক সামগ্রী এ পরিমাণ রয়েছে, যা একত্র করলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার সমমূল্য বা তার চেয়ে বেশি হয় তাহলে এক্ষেত্রে সকল সম্পদ হিসাব করে যাকাত দিতে হবে।-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদীস ৭০৬৬,৭০৮১; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ৬/৩৯৩
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সবগুলোর মূল্য হতে হিসেব করে শতকরা আড়াই পার্সেন্ট যাকাত দিতে হবে।
,
(ঘ)
জায়েজ আছে।
অগ্রীম দুই এক বছরের যাকাতের টাকা যাকাতের নিয়তের সাথে আদায় করলেও তা আদায় হবে। তবে আগামী বছর আসলে হিসেবে করে দেখতে হবে, কত টাকা যাকাত এসেছিল? আর কত অগ্রীম আদায় করা হয়েছে? যদি দেখা যায়, যাকাত বাবদ আরো টাকা দিতে হবে, তাহলে আরো যাকাত আদায় করতে হবে। আর যদি দেখা যায়, অতিরিক্ত আদায় করেছে, তাহলে তা পরবর্তী বছরের যাকাতের সাথে এ্যাড করে নিতে পারবে।
(وَلَوْ عَجَّلَ ذُو نِصَابٍ) زَكَاتَهُ (لِسِنِينَ أَوْ لِنُصُبٍ صَحَّ) لِوُجُودِ السَّبَبِ، (الدر المختار مع رد المحتار، كتاب الزكاة، مطلب استحلال المعصية القطعية كفر باب زكاة الغنم-2/293)
সারমর্মঃ
যদি দুএক বছরের অগ্রিম যাকাত আদায় করে,ছবাব পাওয়া যাওয়ার কারনে তাহা জায়েজ আছে।
,
(ঙ)
এখন যে দামে আপনি বিক্রি করতে পারবেন স্বর্ণকার বা অন্য কোনো গ্রাহকের কাছে,সেই দামই ধরতে পারবেন।
,
কিতাবুল আমওয়াল, আবু উবায়েদ কাসেম ইবনে সালস্নাম পৃ. ৫২১; বাদায়েউস সানায়ে ২/১১১; আদ্দুররুল মুখতার ২/২৮৬, ২/৩০৩; আলবাহরুর রায়েক ২/২২২, ২/২২৯; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/১৬৫)
,
(চ)
তাকে যাকাতের টাকা থেকে বেতন দেওয়া বৈধ হবেনা।
তবে সে ফকির মিসকিন হলে তাকে যাকাত হিসেবে টাকা দেওয়া যাবে।
,
যাকাত সংক্রান্ত আরো জানুনঃ