আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
547 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (47 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে আমি খুবই অনুশোচনা বোধ করছি। আমি জানি কাউকে সহজে তাকফির করা ঠিক না। কাউকে যদি কাফির বলি কিন্তু সে যদি কাফির না হয় তাহলে নাকি আমি কাফির হয়ে যাবো। এখন কিছুদিন আগের ঘটনা নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত। একটা মাদ্রাসার ফতোয়া তে দেখেছি ছাত্রলীগ ও পুলিশদের কাফির ঘোষণা করা হয়েছে। পরে এটা অনেক ছড়িয়ে পড়ে। যার কারনে আমি ও কারো কারো কাছে শেয়ার করি। এখন আমিও তাদের কে কুফফার বলে ফেলসি। এখন আমার করণীয় কি? আমি কি কাফির হয়ে যাবো?

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
এখন আমরা তাকফীর বা কাউকে কাফের বলে ঘোষণা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো। তাকফীরের বিষয়টিও দুই ধরণের :

(১)তাকফীরে মুতলাক বা সাধারণভাবে তাকফীর : কারো নাম না নিয়ে শুধু কুফরের বিষয়টির ব্যাপারে বলা যে, এই কাজটি করলে, বা এই বিশ্বাস রাখলে অথবা এই বিষয়টি না মানলে মানুষ কাফের হয়ে যাবে।

(২)তাকফীরে মুআইয়ান বা সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে কাফের বলা : এটা বলতে হলে সেই ব্যক্তির মধ্যে কুফুরের বিষয়টি পাওয়া গেছে কি না সে ব্যাপারে অকাট্য দলীল-প্রমাণের সাহায্যে নিশ্চিত হতে হবে। শুধুমাত্র ধারণা বা অনুমানের ভিত্তিতে এ কাজ করা বৈধ নয়। যেমন কাদিয়ানি কাফের হওয়ার বিষয়টি সুনিশ্চিতভাবে প্রমাণিত।

আমরা অনেক সময় মনে করি শুধুমাত্র কালেমা পড়লেই বুঝি একজন মানুষ মুসলামান হয়ে যায়। এই ধারণা সত্য নয়। বরং, কোন ব্যক্তি মুসলমান হলো নাকি কাফের হলো এটা বুঝার জন্য উপরের আলোচনার সবটুকু মাথায় রাখা জরুরী। ফলে, এমন হতে পারে কোন ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর বিশ্বাসসহ ইসলামের সকল বিষয়ে বিশ্বাস রাখে, কিন্তু সুদকে হালাল মনে করে, সে কাফের হয়ে যাবে। এই জায়গাটিতে এসে কারো কারো ভেতরে একটা অন্ধ আবেগ কাজ করে। সে বলে : কী দরকার লোকজনকে খুঁটে খুঁটে ইসলাম থেকে বের করে দেওয়ার? নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো মানুষকে ইসলাম থেকে বের করে দেওয়ার জন্য আসেননি। এসেছেন কুফুর থেকে বাঁচাতে। মনে রাখি, ইসলাম থেকে বের করে দেওয়া যায় না। ব্যক্তি নিজে বের হয়ে যায়। এখানে বের করে দেওয়ার কোন অপশনই নেই। এখন কেউ যদি নিজে বের হয়ে যায়, এবং সে বের হয়ে গেছে বলে শরীয়ত স্বীকৃতি দেয়, তাহলে তাকে মুসলমান বলে জোর করে ধরে রাখার অধিকার কারো নেই। সিদ্ধান্তটা আসবে একাডেমিক বিবেচনা থেকে; আবেগ এখানে মূল্যহীন। অপরদিকে কেউ যদি প্রকৃতপক্ষে কাফের না হয়ে থাকে, তাহলে তাকে কাফের বলে ঘোষণা দেওয়া ভয়ানক অপরাধ। হাদীসে এসেছে, কোন মুসলমান যখন অপর মুসলমানকে কাফের বলে, আর প্রকৃতপক্ষে সে কাফের না হয়, তাহলে সেই কুফুরি এসে তার নিজের উপর পতিত হয়।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/5807

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
পুলিশ ছাত্রলীগকে ঢালাওভাবে কাফির বলা ঠিক হবে না।হ্যা তাদের কেউ যদি ইসলামের অকাট্য কোনো বিধানকে অস্বীকার করে,তাহলে সে অবশ্যই কাফির হিসেবে গণ্য হবে। তবে আপনি তাদের কাফির বলার কারণে আপনি নিজে কাফির হবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...