আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
415 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম, নিজের কিছু জমানো টাকা আছে এবং ব্যবসায় কিছু বিনিয়োগ আছে। দুটো আলাদা হিসাবে নিসাব পূরণ হয়না, একসাথে হিসাব করলে নিসাবের কাছাকাছি হবে বা পূরণ হবে। ব্যবসা যেহেতু কয়েকজন মিলে করা এবং মালামাল স্টকে থাকে 'নির্ভুল' হিসাব করাটা বেশ জটিল। যদি নির্ভুল হিসাব করতে না পেরে আনুমানিক কিছু টাকা বেশি দিয়ে যাকাত পরিশোধ করি তাহলে সমস্যা হবে কি? যেমন: নির্ভুল হিসাব না পারায় যদি ১০০০ থেকে ১১০০ এর মাঝামাঝি হয় তাহলে ১২০০ টাকা যাকাত হিসেবে পরিশোধ করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (713,160 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সোনা, রূপা,টাকা,এবং ব্যবসায়িক মালে যাকাত আসে, যদি তা নেসাব পরিমাণ হয়।
স্বর্ণের নেসাবঃ৭.৫ ভড়ি।
রূপার নেসাবঃ৫২.৫ ভড়ি।
এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, কারো কাছে শুধুমাত্র স্বর্ণ বা শুধুমাত্র রূপা থাকলে সেটার নেসাব পূর্ণ হলেই যাকাত আসবে, অন্যথায় যাকাত আসবে না। তবে হ্যাঁ, যদি কারো নিকট স্বর্ণ এবং রূপা অথবা টাকা এভাবে থাকে যে, কোনোটিরই নেসাব পূর্ণ হয়নি, তাহলে এক্ষেত্রে রূপার নেসাবকেই মানদন্ড ধরে নেয়া হবে। 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/121

মালে নামীতে যাকাত আসে।
মালে নামী বলতে যে মাল শরীয়তের দৃষ্টিতে বাড়তে থাকে,সেগুলো সর্বমোট চার প্রকার,(১)সোনা(২)রুপা(৩)ব্যবসার মাল(৪)গবাদি পশু
এগোলো কে যেহেতু শরীয়ত বাড়ন্ত মাল বলে আখ্যা দিয়েছে,সুতরাং এগুলো বাড়ন্ত মাল।বাস্তবে সবগুলো বাড়ুক বা নাই বাড়ুক।

মালে গায়রে নামী বলতে যে মাল শরীয়তের দৃষ্টিতে বাড়ে না।উপরোক্ত মাল ব্যতীত সবগুলোই অবাড়ন্ত।যেমন-স্থাবর সম্পত্তি এবং নিজ প্রয়োজনে ক্ররিদকৃত গাড়ী আসবাবপত্র ইত্যাদি।
বিস্তারিত দেখতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1434

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
জমানো টাকা এবং ব্যবসার টাকা উভয়কে একসাথে হিসাব করতে হবে।যদি শরিকানা ব্যবসার দরুণ পূর্ণ হিসাব করা সম্ভব না হয়,তাহলে আপনি আন্দাজ করে আন্দাজ থেকে একটু বেশী যাকাত দিয়ে দিবেন।ইনশা আল্লাহ আপনার যাকাত আদায় হয়ে যাবে।হ্যা প্রথমে আপনার পূর্ণ হিসাব করার চেষ্টা করতে হবে।সম্ভব না হলে তখন আন্দাজ করে দেওয়ার বিধান আসবে।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
( لا يكلّف الله نفساً إلا وسعها )
আল্লাহ সামর্থ্যর বাহিরে কাউকে কোনো দায়িত্ব দেননা।সুতরাং স্বপ্নদোষের কারণে রোযা ফাসাদ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...