আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
145 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
১.অনেকে শারীরিক সমস্যায় পড়লে কবিরাজের নিকট মাথা ধোয়াতে যায়। ওই কবিরাজ কোন ডাক্তার বা এ জাতীয় কেউ নন। মানুষ সুস্থতা পাওয়ার আশায় এসব ফকিরের কাছে যেয়ে মাথা ধোয়ালে এবং ওষুধ এনে খেলে কি ইমানের কোন সমস্যা হবে??  আর কেউ এগুলো করছে তা দেখেও চুপ থাকা যাবে কিনা?

২.গিবত করতে দেখলে নাকি নাসিহা দিতে হয় কিন্তু আমার সামনে কেউ গিবত করলে আমি চুপ থাকি বা সরে যাই, তাদেরকে নসিহা দেইনা কারণ আমি ইলমশূন্য এবং গিবতের পরিনতি তাদের ভালোই জানা আছে, বরং কিছু বললে জ্ঞান দিচ্ছি ভেবে বলে ' গিবত করিনা, এমনিই বললাম "

তাই আমার সরে যাওয়া কি ঠিক আছে? তাদের নসিহা না করার কারণে কি আল্লাহর কাছে আমার জবাব দিতে হবে?

৩. আমি ৩+ মাসের গর্ভবতী। প্রথম দুটা রোযা রেখেছি পরে প্রেশার ৫০/৯০ হয়ে যেত। অনেক দূর্বল থাকার কারণে স্বামীর জন্য রান্নাও করতে পারছিলাম না। তাই পরের রোযা আর রাখিনি। ডাক্তার রাখতে নিষেধ করেছেন যদিও দ্বীনি ডাক্তার না, তাই জানতে চাচ্ছি আমার জন্য এ অবস্থায় রোযা রাখা জরুরি কিনা বা রোযা রাখছিনা দেখে হীনমন্যতায় ভোগা ঠিক হচ্ছে কিনা?

৪. একই রুমে পাশাপাশি দুইজন জোরে কোরান পড়া যাবে কিনা? কেউই কারোটা শুনছিনা কেবল পড়ে যাচ্ছি এতে আদবের খেলাফ হচ্ছে কিনা?

৫. জোরে সাউন্ড বক্সে /মাইকে ওয়াজ/তিলওয়াত/নাশিদ/ সাহরির জন্য ডাকা/ মক্তবে আসার জন্য ডাকা ইত্যাদি শুনলে আমার খুব বিরক্ত লাগে। যদিও এগুলো সবগুলো ভালো কাজ তবুও বিরক্ত হওয়া আমার আক্বিদা বিরোধি হচ্ছে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই।এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/226 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুতরাং আকিদা বিশুদ্ধ তথা শে'ফা দানকারী একমাত্র আল্লাহ তা'আলা এমন আকিদা বিশ্বাস রেখে কেউ কারো কাছ থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবে। সুতরাং মুত্তাকি পরহেযগার কারো কাছ থেকে মাথা ধৌত করানো নাজায়েয হবে না। তবে যাদের নামায রোযার দিকে কোনো লক্ষ্য নাই, তাদের কাছ থেকে মাথা ধৌত করানো কখনো জায়েয হবে না। এজন্য যে, এতকরে, লোকজনের আকিদা নষ্ট হওয়ার সমূহ আশংকা থাকবে। 

(২)
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ  ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)

অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে,হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা।এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা। বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/1982

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তাদেরকে বিরত রাখার চেষ্টা করবেন, যদি সম্ভব না হয়, তাহলে সেখান থেকে সরে পড়লে কোনো গোনাহ হবে না। 

(৩)
এ সময়ে রোযা না রাখার রুখসত রয়েছে। আপনি রোযা না রাখতেও পারবেন। 

(৪) একই রুমে পাশাপাশি দুইজন জোরে কোরান পড়া যদি শিক্ষার নিয়তে হয়, তাহলে অনুমোদিত রয়েছে। তবে এমনিতেই এভাবে পড়া কুরআন তেলায়াতের আদবের খেলাফ। 

(৫) কানে সাউন্ড সহ্য হয় না বলেই এমনটা হচ্ছে, তাই এজন্য ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...