আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
563 views
in সালাত(Prayer) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম। শায়েখ আমার কিছু প্রশ্ন রয়েছে, জবাব পেলে উপকৃত হবো ইনশাআল্লাহ। প্রশ্নগুলো হলোঃ

১। আছরের ফরয সালাত জামাতে আদায় করার সময় ইমামকে ২য় রাকাতে পেয়েছি। তারপর ৪র্থ রাকাত এর শেষ বৈঠকে থাকার সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ইমামের শব্দ শুনতে পাইনি।
কেউ মুকাব্বির ও হননি। এমতাবস্থায় আমি সাধারণত ইমাম সাহেব তাশাহুদ, দুরুদ এবং দুয়া মাছুরা পড়তে যেটুকু সময় নেন, ততটুকু সময় চুপচাপ বসে থাকি এবং তারপর অবশিষ্ট
১ রাকাত পড়ার জন্য দাঁড়িয়ে যাই এবং এভাবে সালাত শেষ করি। আমার সালাত কি আদায় হয়েছে?

২। ৪ বা ৩ রাকাত বিশিষ্ট ফরয সালাত এবং ৩ রাকাত বিতর সালাত জামাতে আদায় করার সময় যদি ২য় বৈঠকে মুছল্লী যদি তাশাহুদ এর পর ভুলে দুরুদ এর কিছু অংশ পড়ে ফেলে তাহলে কি করণীয়? একা সালাত আদায়
করার সময় যেসব ভুলের জন্য সেজদায়ে সাহু দিতে হয়, জামাতে পড়ার ক্ষেত্রে সেসব ভুল করলে কি করতে হবে? জামাতে সালাত আদায় করার সময় মুছল্লীর যদি ২ বা তার চেয়ে বেশি ওয়াজিব ছুটে যায়, তাহলে কি করণীয়?

৩। ফরয সালাতে সূরার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ওয়াজিব। এখন কেও যদি প্রথম রাকাতে সুরা আছর এবং ২য় রাকাতে সুরা হুমাযাহ পড়ে তাহলে কি মাকরুহ হবে নাকি এভাবে
পড়া যাবে? কেননা সুরা আছর ছোট সুরা আর সুরা হুমাযাহ বড় সুরা। ফরয এবং অন্যান্য সালাতে কি প্রথমে বড় সুরা এবং পরের রাকাতে ছোট সুরা পড়তে হবে? নাকি সুরার ধারাবাহিকতা রক্ষা করাই যথেষ্ট হবে?

৪। কোনো মাহরাম মহিলাকে নিয়ে বাসায় জামাতে সালাত আদায় করার ক্ষেত্রে, মহিলাকে কি ইকামাত দিতে হবে? যদি গায়রে মাহরাম মহিলা জামাতে অংশগ্রহন করে,
তাহলে কি আলাদা রুমে পড়তে হবে নাকি ইমামের পিছনে একই রুমে পড়তে পারবে?

৫। রোযার নিয়ত করে ফেলার পর, সাহরির সময় আরো বাকি থাকা শর্তে কি আবার কিছু খেয়ে তারপর আবার নিয়ত করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (706,240 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আছরের ফরয সালাত জামাতে আদায় করার সময় ইমামকে ২য় রাকাতে পেয়েছি। তারপর ৪র্থ রাকাত এর শেষ বৈঠকে থাকার সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ইমামের শব্দ শুনতে পাইনি।
কেউ মুকাব্বির ও হননি। এমতাবস্থায় আমি সাধারণত ইমাম সাহেব তাশাহুদ, দুরুদ এবং দুয়া মাছুরা পড়তে যেটুকু সময় নেন, ততটুকু সময় চুপচাপ বসে থাকি এবং তারপর অবশিষ্ট
১ রাকাত পড়ার জন্য দাঁড়িয়ে যাই এবং এভাবে সালাত শেষ করি। 

মুহতারাম আপনার নামায বিশুদ্ধ হয়েছে। 

(২)
েইমামের সাথে নামায পড়া অবস্থায় মুসল্লির কোনো ভূল হলে এমন ভূল যার কারণে একা নামাযে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়ে থাকে, ইমাম সাহেবের সাথে হওয়ার সময় সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না। 
(৩)
জবাবঃ-
নামাযে কেরাত সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- ৩৪৫।
প্রথম রা'কাতে সূরা ফিল তেলাওয়াতের পর,দ্বিতীয় রা'কাতে সূরা কুরাইশ তেলাওয়াত করতে হবে।ইচ্ছাকৃত এক সূরা মধ্যখানে ছেড়ে দিয়ে পরবর্তী সূরা তেলাওয়াত মাকরুহ।এবং প্রথম রা'কাতে যে সূরা তেলাওয়াত করা হয়েছে,দ্বিতীয় রা'কাতে এর পূর্বের সূরা তেলাওয়াত করা মাকরুহ।ফরয নফল সকল নামাযের ক্ষেত্রে বিধান সমান নয়।বরং ফরয নামাযের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ওয়াজিব।কিন্তু নফল নামাযের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ওয়াজিব নয়।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

প্রমাণ 
وَيُكْرَهُ الْفَصْلُ بِسُورَةٍ قَصِيرَةٍ وَأَنْ يَقْرَأَ مَنْكُوسًا إلَّا إذَا خَتَمَ فَيَقْرَأُ مِنْ الْبَقَرَةِ. وَفِي الْقُنْيَةِ قَرَأَ فِي الْأُولَى الْكَافِرُونَ وَفِي الثَّانِيَةِ – أَلَمْ تَرَ – أَوْ – تَبَّتْ – ثُمَّ ذَكَرَ يُتِمُّ وَقِيلَ يَقْطَعُ وَيَبْدَأُ،
وقال ابن عابدين الشامى رح: (قَوْلُهُ ثُمَّ ذَكَرَ يُتِمُّ) أَفَادَ أَنَّ التَّنْكِيسَ أَوْ الْفَصْلَ بِالْقَصِيرَةِ إنَّمَا يُكْرَهُ إذَا كَانَ عَنْ قَصْدٍ، فَلَوْ سَهْوًا فَلَا كَمَا فِي شَرْحِ الْمُنْيَةِ. (رد المحتار، كتاب الصلاة، باب صفة الصلاة، فروع يجب الاستماع القراءت مطلقا-2/269)
قَرَأَ فِي الْأُولَى – {قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ} [الناس: 1]- أَعَادَهَا فِي الثَّانِيَةِ إنْ لَمْ يَخْتِمْ نَهْرٌ لِأَنَّ التَّكْرَارَ أَهْوَنُ مِنْ الْقِرَاءَةِ مَنْكُوسًا بَزَّازِيَّةٌ، (رد المحتار، كتاب الصلاة، باب  صفة الصلاة-2/268)

(৪)
পুরুষই আকামত দিবে এবং নামায পড়াবে।  গায়রে মাহরাম মহিলা থাকলে মহিলার জন্য ওয়াজিব পর্দার সাথে নাময়ে দাড়ানো । একই রুমে পড়া যাবে, তবে গায়রে মাহরাম মহিলা পর্দা দিয়ে দাড়াবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/9571

(৫)
রোযার নিয়ত করে ফেলার পর, সাহরির সময় আরো বাকি থাকা শর্তে আবার কিছু খেয়ে তারপর আবার নিয়ত করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (7 points)
উস্তায, ৩ নম্বর টা বুঝতে পারিনি। কেও যদি প্রথম রাকাতে সুরা আছর এবং ২য় রাকাতে সুরা হুমাযাহ পড়ে তাহলে কি মাকরুহ হবে নাকি এভাবে
পড়া যাবে? কেননা সুরা আছর ছোট সুরা আর সুরা হুমাযাহ বড় সুরা। ফরয এবং অন্যান্য সালাতে কি প্রথমে বড় সুরা এবং পরের রাকাতে ছোট সুরা পড়তে হবে। এটার উত্তর কি হবে উস্তায।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...