আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
360 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
আসসালামুআলাইকুম, আমার সামনে পরিবারের মানুষজন বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনকে নিয়ে, এমনকি সদস্যের অনুপস্থিতিতে অন্য সদস্যের দোষ ত্রুটি নিয়েও আলোচনা করে। আমার কাছে ব্যাপারটি নিন্দনীয় মনে হয় বলে আমি বাধা দেই, চুপ থাকতে অনুরোধ করি এবং গীবত করা গুনাহ,অপরাধ তাও স্মরণ করিয়ে দেই।
কিন্তু এতে তারা রেগে যান, রাগ করেন আমার উপর এবং অনেক সময় মনে কষ্টও পান। আমি এই বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে আফসোস করতে থাকি,কেননা আমি কারো মনে আঘাত দিতে চাই না। আমি ক্ষমা চাই। আমি এভাবে ক্ষমা চাইতে থাকবো কতদিন? নাকি তাদেরকে আর কিছুই বলবো না?

1 Answer

0 votes
by (719,680 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ  ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)

অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে,হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা।এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1982

সিলাহ রেহমি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1577

ইসলাম বিরোধী কাজে কারো অনুসরণ করা যাবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1722

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
গীবত করা কবিরা গোনাহ, কাউকে কবিরা গোনাহ করতে দেখলে সামর্থ্যানুযায়ী তাকে বাঁধা প্রদান করা একজন মুসলমানের দায়িত্ব ও কর্তব্য। সুতরাং আপনি বাঁধা প্রদান করে ভালো এবং সওয়াবের কাজ করছেন। আপনি হেকমত ও প্রজ্ঞার সাথে বাঁধা প্রদান করবেন। কাউকে কঠু কথা কখনো বলবেন না। এ কারণে যদি কেউ মনে কষ্ট পায়, তাহলে এজন্য গোনাহ আপনার উপর আপতিত হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...