আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
220 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (33 points)

আজ গোসলের আগে আমার মযি বের হওয়া শুরু হইছে। টিস্যু দিয়ে মুছে নিয়ে গোসল শেষ করে বের হলাম। তারপর  গোসল  শেষে,,লজ্জাস্থানসহ শরীর মুছে নিলাম টাওয়াল দিয়ে আর কোনো পানি নাই শরীরে।  কাপড় চোপড় শুকানো থেকে দিয়ে এসে আবার চেক করলাম  প্রায় ১০ মিনিট পরে দেখলাম আবার আমার লজ্জাস্থানে মযি লাগানো + কিছু কিছু বের হও হচ্ছে। আবার টিসু দিয়ে মুছে নিলাম। এরকম ২/৩ মিনিট বের হচ্ছিলো আর টিসু দিয়ে মুছে নিলাম। তারপরে জুম্মার নামাজে গিয়ে মাসজিদে গিয়ে ওযু করে নিলাম। ওযু করার আগে পেশাব এর স্থানে গিয়ে আবার চেক করে দেখলাম লজ্জাসস্থানে কিছু নাই। তারপর লজ্জাস্থান না ধুয়ে কাপড়ে যেখানে মযি লাগছে  তা না ধুয়ে ওযু করে নিলাম 

কিন্তু 

আমি আবার লজ্জাস্থান ধুই নাই + গোসল শেষে যে কাপড়ে মযি লাগছিলো কাপড়-টাও ধুই নাই। মোটকথা লজ্জাস্থান আর কাপড় ধুই নাই। এভাবে ওযু করে জুম্মার নামাজ পড়ে নেই।

কিন্তু মযি বের হলে শরীয়ত অনুযায়ী কি করতে হয়,আমাদের প্রিয় নবীজি (সা:) বলেছেন,,"মযি বের হলে লজ্জাস্থান এবং কাপড় যেখানে মযি লাগছে সেখানে ধুয়ে যেন ওযু করে নেয়"গোসল আর লাগগবে না।

এই হাদিস শারীফ জানা শুনার পরেও আমি লজ্জাস্থান এবংং কাপড় না ধুয়ে শুধু ওযু করে নামাজ পড়ে নেই। আমি রিপিট ধুই নাই,,কারন আমি গোসলের এবংং নাপাকির দিক থেকে একজন ওয়াসওয়াসা রোগী। 

১। আমার নামাজ কি আবার দোহরানো লাগবে?

২। যদি নামাজ না হয়,,তাইলে আমি তো হাদিস শারীফ জানা শুনা সত্তেও নাপাক কাপড় দিয়ে যে নামাজ পড়ে নিলাম,,এতে কি ঈমান ভংগ হবে বা ঈমান দোহরাতে হবে কি??

 

(বি:দ্র: মযি এক দিরহামের উপরে ছিলো)

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নাজাসত দুই প্রকার
(ক)নাজাসাতে গালিজাহ
(খ)নাজাসাতে খাফিফাহ

প্রথম প্রকারঃ
নাজাসতে গালিজাহ
যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে,
وَهِيَ نَوْعَانِ (الْأَوَّلُ) الْمُغَلَّظَةُ وَعُفِيَ مِنْهَا قَدْرُ الدِّرْهَمِ
নাজসতে গালিজাহ যা এক দিরহাম পরিমাণ হলে ক্ষমাযোগ্য।
(নাজাসতে গালিজাহ কি কি?)
সে সম্পর্কে বলা হয়,ভাবার্থঃ-ঐ সমস্ত জিনিষ যা মানুষের শরীর থেকে বের হয়ে ওজু গোসলকে ওয়াজিব করে দেয়।তা হল নাজাসতে গালিজাহ,যেমনঃ- পায়খানা,পেশাব,বীর্য, মযি(বীর্যের পূর্বে যা বাহির হয়),ওদি(প্রস্রাবের সময় যা বাহির হয়)ফুঁজ,বমি যখন তা মুখভড়ে হয়,(বাহরুর রায়েক)এবং আরো ও নাজাসতে গালিজাহ হল যথাক্রমে-হায়েয ও নেফাসের রক্ত,ছোট্ট বালক/বালিকার  প্রস্রাব তারা আহার করুক বা না করুক।মদ,প্রবাহিত রক্ত,মৃত জানোয়ারের গোসত,ঐ সমস্ত প্রাণীর প্রস্রাব ও গোবর যাদের গোস্ত ভক্ষণ হারাম।গরুর গোবর,কুকুরের বিষ্টা, মোরগ এবং হাস ও পানী হাসের বিষ্ঠা। 
হিংস প্রাণীর বিষ্টা,বিড়ালের বিষ্টা,ইদুরের বিষ্টা।বিড়াল এবং ইদুরের প্রস্রাব যদি কাপড়ে লাগে তবে কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরামগণ মনে করেন যে,যদি তা এক দিরহামের বেশী হয় তবে পবিত্র।আর কিছুসংখ্যক না করেন।সাপের বিষ্টা,ও প্রস্রাব।জোকের বিষ্টা।আঠালো ও টিকটিকির রক্ত যদি তা প্রবাহিত হয়। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/৪৬)

নাজাসতে গালিজাহ কাপড় বা শরীরে লাগলে, এক দিরহাম (তথা বর্তমান সময়ের পাঁচ টাকার সিকি)পরিমাণ বা তার চেয়ে কম হলে, উক্ত কাপড়ের সাথে নামায বিশুদ্ধ হবে।যদিও তা ধৌত করা জরুরী যদি সময়-সুযোগ থাকে। বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/118

ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে.............
الْمَذْيُ يَنْقُضُ الْوُضُوءَ وَكَذَا الْوَدْيُ وَالْمَنِيُّ إذَا خَرَجَ مِنْ غَيْرِ شَهْوَةٍ
মযি অজুকে ভেঙ্গে দেয় ঠিক তেমনিভাবে ওদী এবং ঐ মনি যা কামুত্তেজনা বতীত বাহির হয় তাও ওজুকে ভেঙ্গে দেয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া -১/১০)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1689

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 
আপনার প্রশ্ন পরিস্কার নয়? আপনি কি জানতে চান? কমেন্টে উল্লেখ করবেন। জাযাকল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (33 points)
আমি গতকাল জুম্মায় গোসল শেষেও মযি বের হইছে।
আমি লজ্জাস্থান টিস্যু দ্বারা মুছে নেই কিন্তু কাপড়ে যে মোযি লাগছে তা পানি দ্বারা পরিষ্কার করি নাই। এক দিরহাম এর উপর হবে।

এই অবস্থায়-ই আমি নামাজ পড়ার কারনে
প্রশ্ন-১: আমার জুম্মার নামাজ আবার দোহরাতে হবে কি?
প্রশ্ন-২: আর যদি আমার নামাজ না হয়,,তাহলে তো আমি মযি সম্পর্কে যেই হাদিস শারীফ আমি জানি আগে থেকে ওই হাদিস শারীফ জানার পরেও কাপড়ের যেখানে মযি লাগছে তা না ধুয়ে নামাজ পড়ে ফেলি।
মোটকথা, নাপাক কাপড়-এ ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ পড়ার কারনে আমার ঈমান দোহরানো লাগবে কি না? 

এই ছিলো জানার বিষয়

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...