আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (16 points)
গতকাল একজন নাপাক অবস্থায় ছিলো।
ফরজ গোসল নয়। কাপড় নাপাক ছিলো,,তা এক দিরহামের উপর। অর্থাৎ মযি এক দিরহামের উপর বের হয়েছিলো। ওই সময় নামাজ এর সময় ছিলো। আত্নীয় এসে তাকে নামাজে নিয়ে যায়।
সে লজ্জার কারনে তার নাপাকি বিষয়ে বলতে পারে নাই। কিন্তু ওযু করে নামাজ পড়ে নিয়েছে ওই নাপাক কাপড় অবস্থায়।

এখন আমাকে জিজ্ঞেস করে সে খুব টেনশনে আছে,

নামাজ তো অবশ্যই দোহরাতে হবে। কিন্তু সে যে ইচ্ছাকৃতভাবে নাপাক কাপড় দিয়ে নামাজ পড়ে নিলো,,এতে আল্লাহর সাথে বেয়াদবী হয়েছে। তার ঈমান নিয়ে টেনশনে আছে। তার এই নাপাক কাপড়ে ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ আদায় করার কারনে ঈমান দোহরানো লাগবে কি অর্থাৎ ঈমান নষ্ট হবে কি??

সে আমার বন্ধু। সে যে এই পাপ করেছে,, সে এই পাপ করতে আসলে মন থেকে চাইছিলো না।

1 Answer

0 votes
by (685,600 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান মতে যদি নাপাকির পরিমান এক দিরহাম পরিমাণ হয়, তাহলে উক্ত কাপড়সহ নামায পড়া জায়েজ নয়। কিন্তু যদি এক দিরহাম থেকে কম হয়, তাহলে উক্ত কাপড়সহ নামায পড়া জায়েজ আছে।

صلى الله عليه و سلم قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم (سنن الدر قطنى، كتاب الصلاة، باب قدر النجاسة التي تبطل الصلاة، رقم الحديث-1)

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-এক দিরহাম পরিণাম রক্তের দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১০৭৮৩, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী, হাদীস নং-১৩২৩, আল জামেউল কাবীর, হাদীস নং-২৩৮}

فلما ذكره صاحب الأسرار عن علي وبن مسعود أنهما قدرا النجاسة بالدرهم وكفى بهما حجة في الاقتداء وروي عن عمر أيضا أنه قدره بظفره(عمدة القارى شرح صحيح البخارى، كتاب الوضوء،  باب غسل الدم، رقم الحديث-227،3/140

হযরত আলী রাঃ এবং ইবনে মাসউদ রাঃ [কাপড়] নাপাক হওয়ার পরিমাণ নির্দিষ্ট করেছেন এক দিরহাম। আর আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ নির্ধারণ করেছেন  নখ পরিমাণ। {উমদাতুল কারী-৩/১৪০, আদিল্লাতুল হানাফিয়্যাহ-১০১}
,
আরো জানুনঃ
,
প্রশ্নে উল্লেখিত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে। 
উক্ত অবস্থায় নামাজ পড়ার সময় যদি তার অন্তরে শরীয়তের বিধানের প্রতি তিরস্কার বা ঘৃনাভাব না আসে,তাহলে এক্ষেত্রে তার ঈমান চলে যায়নি।
,
তবে এটি কবিরা গুনাহ হয়েছে,মহান আল্লাহর কাছে খালেছ দিলে তওবা করতে হবে।    
,
বিস্তারিত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 156 views
...