আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
189 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (19 points)
edited by
Assalamu alaikum
1. Accha akjon immigration er jonno Canada te apply korechilo tar fried er sathe husband wife hisebe akta fake Kabin chilo . Means tara janto j tara biye korbe na just immigration purpose eta korechilo r kabin a meye ta signature kore nai, onno akjon korechilo j chilo akjon purush then tader r jawa hoinai . Pore meye tar sathe oi friend er kono cnct o nai akhn. Akhn meyeta jodi onno kothaw biye kore kono problem ache Ki ? Besh koek bochor Ager ghotona eta .oi chele friend er kono khoj o jane na meyeta. Tader kono jogajog nai.

2. Shaykh apnader theke masala niye ami kaffara diyechilam. 1 ta kaffara hiseb diyechilen 3600 taka. Ami duita diyechi 7200 taka. Kintu pore dekhlam islamic foundation er hisab beshi. Tahole ki amr kaffara adai hoeche? Naki amke abr dite hobe.ami etaw jante chai j taka diye naki hobe na adai. Ami gunah theke mukto hote chai tai janeben j abr dite hobe naki amr adai hoe gache.plz plz plz  Plz proper answer diben question guli onek joruri. Onek question er proper answer paina. Kintu eguli khub joruri.

3.  Osiot  ta Ki ? Eta Ki mrittur age korte hoi r eta kivabe korte hoi, ba ki ki thake osiot a?
4 . amr onek guli roza kaja roe gache, alhumdulillah ta adai kora suru korbo romadan er pore in shaa Allah. Kintu jodi adai korar agei ami Mara jai tkhn ki koronio?
5. Amr jibone j kaja salat ache ta amr pokkhe count kora possible noi, karon amn hoeche j akdin a hoitoh 1 waqt porechi baki guli porini .amn noi j ami akhn salat adai korchi er age jibone kokhono korini seta hole sohoj hoto adai kora. Kintu amn vabe ki kore count korbo? R se khetre ki koronio janaben plz ?

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-

বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]

ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।

,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,    

বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। আর শরয়ী এ শর্তাবলী পরিপূর্ণভাবে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পাওয়া যায়নি।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত বিবাহ হবেনা।   

فى الدر المختار- ( و ) شرط ( حضور ) شاهدين ( حرين ) أو حر وحرتين ( مكلفين سامعين قولهما معا ) (الدر المختار ، كتاب النكاح،-3/9)

অনুবাদ-বিবাহ সহীহ হওয়ার শর্ত হল শরীয়তের মুকাল্লাফ [যাদের উপর শরীয়তের বিধান আরোপিত হয়] এমন দুইজন আযাদ পুরুষ সাক্ষি বা একজন আযাদ পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষি হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল  বলার উভয় বক্তব্য স্বকর্ণে উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। {আদ দুররুল মুখতার-৩/৯, ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮}
,
★★প্রশ্নে উল্লেখিত বিবাহ যেহেতু ছহীহ হয়নি,তাই উক্ত মহিলা অন্যত্রে বিবাহ করতে পারবে।
কোনো সমস্যা নেই।
,
(০২)
যেহেতু এই বছর ইসলামীক ফাউন্ডেশন কর্তৃক ঘোষিত ছদকায়ে ফিতর এর সর্বনিম্ন পরিমান ৭০ টাকা।
তাই কাফফারা আসবে ৭০×৬০= ৪২০০ টাকা।
তাই আপনি অবশিষ্ট টাকা আদায় করলেই হয়ে যাবে।
,
জ্ঞাতব্য বিষয়ঃ
উলামায়ে কেরামদের মতানুসারে একাধিক রোযার কাফফারা একটি কাফফারা আদায় করলেই যথেষ্ট হবে।

তবে একাধিক কাফফারাও আদায় করা যাবে।
,
(০৩)
★অসিয়ত হলো কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর পরে কোনো কিছু করা বা হওয়ার নির্দেশনা প্রদান। আমানত পৌঁছে দেওয়া, সম্পদ দান করা, কন্যা বিয়ে দেওয়া, মৃতব্যক্তিকে গোসল দেওয়া, মৃতব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ বন্টন করা ইত্যাদি অসিয়তের অন্তর্ভুক্ত।

আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿كُتِبَ عَلَيۡكُمۡ إِذَا حَضَرَ أَحَدَكُمُ ٱلۡمَوۡتُ إِن تَرَكَ خَيۡرًا ٱلۡوَصِيَّةُ﴾ [البقرة: ١٨٠]

“তোমাদের উপর ফরয করা হয়েছে যে, যখন তোমাদের কারো মৃত্যু উপস্থিত হবে, যদি সে কোনো সম্পদ রেখে যায়, তবে তা অসিয়ত করবে।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৮০]

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«مَا حَقُّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ لَهُ شَيْءٌ يُوصِي فِيهِ، يَبِيتُ لَيْلَتَيْنِ إِلَّا وَوَصِيَّتُهُ مَكْتُوبَةٌ عِنْدَهُ».

“কোনো মুসলিম ব্যক্তির উচিত নয় যে, তার অসিয়তযোগ্য কিছু রয়েছে আর সে দু’রাত কাটাবে অথচ তার কাছে তার অসিয়ত লিখিত থাকবে না।”

সহীহ বুখারী, অসাইয়া, হাদীস নং ২৫৮৭; সহীহ মুসলিম, অসিয়ত, হাদীস নং ১৬২৭; তিরমিযী, জানায়েয, হাদীস নং ৯৭৪; নাসাঈ, অসাইয়া, হাদীস নং ৩৬১৬; আবু দাউদ, অসাইয়া, হাদীস নং ২৮৬২; ইবন মাজাহ, অসাইয়া, হাদীস নং ২৬৯৯; মুসনাদ আহমদ, ২/৮০; মুয়াত্তা মালিক, আকদিয়া, হাদীস নং ১৪৯২।

মোট সম্পদের এক তৃতীয়াংশের বেশি অসিয়ত করা জায়েয নেই। কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সা‘আদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে বলেছেন,

«أُوصِي بِمَالِي كُلِّهِ؟ قَالَ: «لاَ» ، قُلْتُ: فَالشَّطْرُ، قَالَ: «لاَ» ، قُلْتُ: الثُّلُثُ، قَالَ: «فَالثُّلُثُ، وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ».

“হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আমি কি আমার সমুদয় মালের অসিয়ত করে যাব? তিনি বললেন, না। আমি বললাম, তবে অর্ধেক? তিনি বললেন, না। আমি বললাম, তবে এক তৃতীয়াংশ। তিনি বললেন, আর এক তৃতীয়াংশও অনেক।”

সহীহ বুখারী, অসাইয়া, হাদীস নং ২৫৯১; সহীহ মুসলিম, অসিয়ত, হাদীস নং ১৬২৮; তিরমিযী, অসাইয়া, হাদীস নং ২১১৬; নাসাঈ, অসাইয়া, হাদীস নং ৩৬২৮; আবু দাউদ, অসাইয়া, হাদীস নং ২৮৬৪; মুসনাদ আহমদ, ১/১৬৮; মুয়াত্তা মালিক, আকদিয়া, হাদীস নং ১৪৯৫; দারেমী, অসাইয়া, হাদীস নং ৩১৯৬।

ওয়ারিশের জন্য অসিয়ত করা জায়েয নেই, এমনিভাবে ওয়ারিশ ছাড়া অন্যদের জন্য ওয়ারিশের অনুমতি ব্যতীত এক তৃতীয়াংশের বেশি অসিয়ত করাও জায়েয নেই।

(০৪)
তাহলে প্রতি রোযার জন্য ফিদিয়াহ আদায় করতে হবে।
এক্ষেত্রে মারা যাওয়ার আগে অছিয়ত করে যেতে হবে।

প্রতিটি ফিদিয়াহ হলো একটি করে ছদকায়ে ফিতর আদায় পরিমান। 
,
(০৫)
আপনি প্রবল ধারনার ভিত্তিতে বালেগা হওয়ার পর থেকে যত গুলো নামাজ আদায় করেননি, সেগুলো প্রতিদিন সুবিধা মোতাবেক সময়ে আদায় করুন। 
অল্প করে হলেও প্রতিদিন আদায়ের চেষ্টা করুন।
,
এক্ষেত্রে মারা যাওয়ার আগ দিয়ে যদি আপনার নামাজ বাকি আছে বলে প্রবল ধারনা হয়, তাহলে ফিদইয়াহ আদায়ের অছিয়ত করে যেতে হবে।
,
বিতর সহ প্রতি নামাজের জন্য একটি করে ফিদিয়াহ আদায় করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...