আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
124 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম
ধরুন কোন ব্যক্তি মনে মনে এভাবে বলল যে "" আমি যদি অমুক কাজটা করি তাহলে আমার স্ত্রী.......হয়ে যাবে""(বৈবাহিক সম্পর্ক হারাম হয়ে যাবে?খেয়াল করুন উপরের কথাটা শুধু মনে মনেই ভাবা হয়েছে...

কিন্তু সে মুখে স্পষ্ট উচ্চারন করে বলল

"" আমি আর অমুক কাজটা( মনে মনে ভাবা কাজটা) করতে চাই না অথবা আমি আর অমুক কাজটা করব না""শুধু এতটুকুই বলা হয়, আর কিছু না বলে-তাহলে উক্ত ব্যাক্তি ওই কাজটা করলে কি বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো মনে মনে তালাক দিলে তালাক পতিত হয়না। 

তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি ওই কাজটা করলে বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবেনা।

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,

ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  


وفیہ أیضاً(۱۷۶/۱):عن أبی ھریرۃ رضی الله عنہ قال: قال ﷺ "إن الله تجاوز عن أمتی ماحدثت بہ أنفسھا مالم تعمل أو تتکلم" أخرجہ البخاری 


যার সারমর্ম হলো নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা উপেক্ষা করেন, যতক্ষন পর্যন্ত উক্ত কাজ না করবে বা মুখে কোনো কথা না বলবে,ততক্ষন পর্যন্ত কোনো বিধান জারী হয়না।


حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِأُمَّتِي عَمَّا لَمْ تَتَكَلَّمْ بِهِ، أَوْ تَعْمَلْ بِهِ، وَبِمَا حَدَّثَتْ بِهِ أَنْفُسَهَا 


আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ আমার উম্মাতের মনে যা উদয় হয় তা যতক্ষণ না সে মুখে বলে অথবা কার্যে পরিণত করে ততক্ষণ তা উপেক্ষা করেন।

(আবু দাউদ ২২০৯)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (20 points)
edited by
জাজাকাল্লাহ খাইরান 
শায়েখ একটা বিষয় জানতে চাচ্ছি যেহেতু আমি একজন প্রচন্ড সংশয়বাদী মানুষ,উত্তর না পেলে এই বিষয়টাই আমার মাথায় ঘুরতেই থাকবে,এমনিতেই এই ব্যপারে খুব কষ্টে আছি,তাই আল্লাহর জন্য  কমেন্টের উত্তরটা দিবেন প্লিজ

আমরা যে প্রশ্নগুলো করি সেগুলো কি আপনারা ইডিট করে কিছু এড করে দিতে পারেন?
মানে আপনারা আমাদের প্রশ্নে দরকারি কিছু যোগ করতে হলে সেই অপশন কি আপনাদের আছে?
প্রশ্ন বুজতে আপনারা কিছু যোগ করলেও আমাদের তাতে অবশ্য কোন আপত্তি নেই,,কিন্তু ভয় হচ্ছে আপনারা ছাড়া অন্য কেউ এ কাজ করল কিনা?

যেমন এই প্রশ্নের শিরোনামে বুজার সুবিধার জন্য কিছু যোগ করছিলেন কিনা জানাটা আমার একান্ত জরুরি.....আমি অবশ্য আবার ইডিট করে এরকম করে নিছি,,,
আমার মনে হচ্ছে আমি এখন যেমন আছে তেমন করেই শিরোনাম লিখছিলাম 
বাট উত্তর জানতে গিয়ে দেখলাম
"".........সংক্রান্ত একটা ব্যাপার পরিস্কার হতে চাই""
এই(....... সংক্রান্ত)অংশটুকু কি আপনারা এডড করে নিছিলেন?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...