বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)যে সকল ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণ বৈধ,সেকল ক্ষেত্রে উনার জন্য চিকিৎসা প্রদান জায়েয ও বৈধ।আর যে সকল ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণের অনুমোদন শরীয়তে নাই,সেসকল ক্ষেত্রে আপনার আম্মুর জন্য চিকিৎসা প্রদান জায়েয হবে না।এমন নাজায়েয কাজে সহযোগিতা করার দরুণ আপনার আম্মুর অবশ্যই গোনাহ হবে।যেহেতু তিনি প্রতিষ্টানে চাকুরী করেন,যেখানে হালাল হারামের কোনো তোয়াক্কা করা হবে না,তাই উনার জন্য এমন চাকুরী গ্রহণ না করাই শ্রেয়।
(২)যদি আপনার নিজস্ব কোনো টাকা পয়সা না থাকে, এবং আপনার আব্বুর বা ভাইয়ের হালাল কোনো ইনকাম না থাকে,তাহলে আপনি ভবিষ্যতে সদকাহ করার নিয়ত রেখে আপাতত হিসেব করে করে আপনার আম্মুর কাছ থেকে অতি প্রয়োজনিয় খরচ গ্রহণ করতে পারবেন।
(৩)আপনি ঐ সমস্ত দরবার থেকে যথাসম্ভব নিজেকে অনেক দূরে রাখবেন।
(৪)চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ 'আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়' রয়েছে,
" ﻃﺎﻋﺔ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﻴﻦ - ﻣﻤّﻦ ﺗﺠﺐ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ – ﻛﺎﻟﻮﺍﻟﺪﻳﻦ ، ﻭﺍﻟﺰّﻭﺝ ، ﻭﻭﻻﺓ ﺍﻷﻣﺮ : ﻓﺈﻥّ ﻭﺟﻮﺏ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ ﻣﻘﻴّﺪ ﺑﺄﻥ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ، ﺇﺫ ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻟﻤﺨﻠﻮﻕ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ " ﺍﻧﺘﻬﻰ
যাদের আদেশ-নিষেধ এর অনুসরণ শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব।যেমন-মাতাপিতা,স্বামী,সরকারী বিধিনিষেধ,এর অনুসরণ ওয়াজিব।
এ হুকুম ব্যাপক হারে প্রযোজ্য হবে না বরং ঐ সময়-ই প্রযোজ্য হবে যখন তা গুনাহের কাজ হবে না।কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(২৮/৩২৭) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1722
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার মাতাপিতা আপনার সাথে যতই মন্দ আচরণ করুক না কেন? আপনি সর্বদা তাদের সাথে ভালো ও উত্তম ব্যবহার করবেন।
(৬)হস্তমৈথুন ব্যতীত উত্তেজনা বশত বীর্যপাত হলেও গোসল করা ফরজ।জামায় লাগলে সেই জামাকে ধৌত করতে হবে।আর শুকিয়ে কাপড় থেকে উঠে গেলে, কাপড় এমনিতেই পবিত্র হয়ে যাবে,তখন আর ধৌত করতে হবে না।
(৭) যেহেতু আপনি লজ্জাস্থানকে পানি দ্বারা ধৌত করে নিয়েছেন, এবং তারপর টিস্যু ব্যবহার করেছেন, তাই এটাই বুঝা যাবে যে, আপনার টিস্যুতে প্রস্রাব লেগে ভিজেনি, সুতরাং গোপনাঙ্গে টিস্যু আটকে যাওয়ার দরুণ উক্ত টিস্যু নাপাক হবে না, এবং আপনার কাপড়ও নাপাক হবে না। এবং যেখানে ঐ টিস্যু লাগবে, সে জায়গাও নাপাক হবে না।
(৮) হাত পা ধৌত করতে হলে তিনবার ধৌত করা শর্ত নয়। বরং একেবারে যদি তাতে পানি পৌছে যায়, তাহলে আপনার ধৌত করার দায়িত্ব আদায় হয়ে যাবে।
(৯) গোসল করার পর যেই তোয়ালে দ্বারা পানিকে মুছা হয়ে থাকে, সেই তোয়ালে এদ্বারা নাপাক হয় না, তবে ধৌত করে ব্যবহার করাই উত্তম।
(১১) প্রসাব করার পর লজ্জাস্থান ধুয়ে যেই পায়জামা গায়ে থাকবে, সেই পায়জামা দ্বারা যদি কেউ লজ্জস্থান মুছে নেয়, তাহলে সেই পায়জামা দ্বারা নামায হবে।
(১২) যদি সন্দেহ হয় যে এক ফোটা প্রসাব বের হয়েছে।কিন্তু চেক করলে কোনো ভিজা চিহ্ন দেখা না যায়, তাহলে এদ্বারা পবিত্রতায় কোনো সমস্যা হবে না। বরং এটাকে নিছক ওয়াসওয়াসা ভাবা হবে।
(১৩) লজ্জস্থান তিনবার ধৌত করা শর্ত নয়, বরং পরিস্কার করাই শর্ত। যখন ইয়াকিন বিশ্বাস জন্মে যাবে যে, লজ্জস্থানে কিছু অবশিষ্ট নাই, তখন পবিত্রতা অর্জন হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে।
(১৪)অদৃশ্যমান নাজাসত কে তিনবার ধৌত করতে হয়, আর দৃশ্যমান নাজাসত সম্পর্কে যখন ধারণা জন্মিবে যে, আর নাজাসত বাকী নেই, তখন শরীর পবিত্র হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে, যেই কাপড় দ্বারা মুছা হবে, সেই কাপড়কে আবার ধৌত করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।
(১৫) ভালভাবে একবার ধৌত করে নিলেই হবে।
(১৬) ভিজা তোয়ালে শুকিয়ে নিলেই হবে।
(১৭) ১ বার ধৌত করলেই হবে।
(১৮) অদৃশ্যমান নাজাসত কাপড়ে লাগলে তিনবার ধৌত করতে হয়, এছাড়া অন্যকিছূতে লাগলে একবার ধৌত করলেই হবে। আর দৃশ্যমান নাজাসতকে দূর করে নিলেই পবিত্রতা অর্জন হয়ে যায়।
(১৯) ডিলেট কেন করবেন। এ প্রশ্নোত্তরগুলো আরো অনেকে পড়তে পারবে, এবং তারা নতুন কিছু জানতে পারবে। এতে সবারই উপকার হবে।