আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
496 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (9 points)

আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ,

দয়া করে আমার কথা গুলো সব পরে জানাবেন শয়রীয় মোতাবেক আমার করনীয় কি হবে? যদি আমার কোন কথা আপনার বুঝে না আসে আমাকে জানাবেন। আমি কমেন্টে আবার আমার কথা গুলো লিখে পাঠাব।

জাঝাকাল্লাহ খাইর।

 

১) বিয়ের পর থেকেই আমার স্বামীর সাথে ইসলামের হুকুম আহকাম নিয়ে দ্বন্ধ চলছে। মাঝে মিধ্যে মেনে নিলেও প্রায়ই মানেন না। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় সেক্স বিষয় নিয়ে, যেখানে উনি হারাম নাযায়েজ (পায়ু পথে সহবাস, একজন আরেক জনের লিংগ মুখে নিয়ে সহবাস) কাজ সম্পাদন করতে চান। এই গুলো আমি করতে দেইনা বলে উনি অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে। এই অবস্থায় আমার করনীয় কি?

২) তিনি আমার মোহরের টাকা সম্পুর্ণ দিয়ে দেন। আলহামদুলিল্লাহ।  কিন্তু এই টাকা আবার উনি ফেরত চেয়েছিলেন।  আমি দিতে অপরাগ জানিয়ে ছিলাম। দ্বিতীয় বার উনি আবার মোহরের টাকা চেয়েছেন ফ্লাট কিনবেন বলে এবং পরে আমাকে দিয়ে দিবেন এই কথা বলছেন। তো আমি ঝগড়া বাড়বে এই কারনে বলি টাকা আপনি নিয়েন, এখন ব্যাংকে জমা আছে, আপনার ফ্লাট কিনার ব্যবস্থা হলে তখন টাকা নিবেন। তখন তিনি আমাকে জানান আমি যদি এখন টাকা দিতে রাজি না হতাম তাহলে উনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন উনি আমাকে তালাক দিয়ে দিবেন। 

          ক) এখন এই অবস্থায় উনাকে কি আমার মোহরের টাকা দিয়ে দিব?

           খ) আর উনার কি শয়রীয়া মোতাবেক উচিত হচ্ছে আমাকে মোহরের টাকা দিয়ে আবার ফেরত চাওয়া?

৩) উনি প্রায় সময় যেকোন কাজের কারনে তালাক দেয়ার কথা বলেন। কিন্তু তালাকের কথা যখন বলেন তখন কোন হারাম বা নাজায়েজ কাজ করার কথা এই পর্যন্ত বলেন নাই। আলহামদুলিল্লাহ।।  কিন্তু উনার চিন্তায় তালাকের কথা থাকেই। এই অবথায় আমার করনীয় কি?

৪) বিয়ের পর থেকে উনার কথা হচ্ছে আমি আমার ইনকামের টাকা আমার বাবা মা কে কেন দেই, উনার ফ্যামিলিতে উনার বাবা মা কে দিচ্ছি না কেন? আমার বাবা মা কেন বিয়ের সময় উনাদের কিছু দেয়নি কেন? এখানে বলে নেই আমার মা উনাকে কিছু দিতে চেয়েছিল কিন্তু উনি তখন নিতে চায়নি, আর আমার বিয়ের পরে আব্বু অসুস্থ হয়ে প্রায় একবছর হসপিটালে ছিল, এই অবস্থাতেও আমার মা আমার ডেলিভারিতে ৪০ হাজার টাকা দিয়েছিল। কিন্তু তারপরও উনি এইসব কথা বলেন, এবং আরও বলেন আমার মাষ্টার্সের খরচের টাকা আমার বাবা মা র কাছ থেকে কেন নিচ্ছি না। এখন উনি আবার বলতেছেন উনাদের গ্রামের বাড়িতে উনার বাবা মার সাথে থাকতে। তখন আমি বলি আপনিও আমার সাথে থাকবেন, কারন আমার বিয়ে হয়েছে মাত্র দেড় বছর হয়েছে, আমি একেবারেই অনভিজ্ঞ এইসব ব্যাপারে, এমনকি আমার ৮ মাসের একটা বাচ্চাও আছে, এমতাবস্থায় আমার পক্ষে সম্ভব না গ্রামে গিয়ে থাকা, যদি উনারা যেখানে থাকেন সেটা শহর, তারপরও আমার পক্ষে সম্ভব না। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে উনি অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন, আর আমাকে বার বার তালাকের কথা বলেন, তো এমতাবস্থায় কিসের ভরসায় আমি উনার বাবা মার সাথে গ্রামে থাকব, যেখানে উনি ১৫ দিনে একবার গ্রামে যাবেন বলতেছে।  তাই আমি তার কথায় সম্মত হইনি। এই কারনে উনি আমাকে বলছেন, যেদিন উনার আব্বা আম্মা উনাকে বলবে উনি ভাল এবং যোগ্য মেয়ে বিয়ে করছে সেইদিন যাতে আমি আমাকে উনার স্ত্রী বলে নিজেকে পরিচয় দেই। এবং আমি যাতে আমার মত থাকি। বাচ্চার খরচ লাগলে উনাকে বলব উনি বাচ্চার খরচ দিবেন।এখানে  বলা নেয়া ভাল হবে যে এই মুহুর্তে আমি আমার মার বাসায় আছি। কারণ আমার বাচ্চা ছোট,আমি পার্ট টাইম লেকচারার জব করি একটা ইউনিভার্সিটিতে, এবং আমি অনভিজ্ঞ সংসার মেনেজ করা নিয়ে, শিখতেছি কিভাবে কি করতে হবে।  তা-ই আমি আম্মুর কাছে আছি। 

    ৷      ক) লাল বল্ড করা এই কথার জন্য কি উনার সাথে আমার তালাক হয়ে গেছে? যদি হয়ে যায় তাহলে আমার শয়রীয় মোতাবেক করণীয় কি?

           খ) যদি তালাক না হয়ে থাকে তাহলেই বা আমার করণীয় কি হবে?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)আপনি বলেছেন যে,
"সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় স্বামী-স্ত্রী মিলন বিষয় নিয়ে, যেখানে উনি হারাম নাযায়েজ (পায়ু পথে সহবাস, একজন আরেক জনের লিংগ মুখে নিয়ে সহবাস) কাজ সম্পাদন করতে চান। এই গুলো আমি করতে দেইনা বলে উনি অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে।"

আপনি আপনার দ্বীন পালনের প্রতি যত্নবান থাকবেন।স্বামীকে হারাম কাজের সুযোগ কখনো দিবেন না।এজন্য যদি সে ভিন্ন কোনো মেয়ের সাথে কথা বলে, বলুক এবং বলতে থাকুক।গোনাহ তারই হবে।আল্লাহ আপনার জন্য জমিনকে প্রশস্ত করে দিবেন।

(২)মহরের টাকা আপনাকে দেয়ার পর আপনি মহরের সম্পূর্ণ মালিক হয়ে গিয়েছেন।এই টাকা একচ্ছত্র মালিক আপনিই।সুতরাং আপনার স্বামীর এ অধিকার নেই যে,সে আপনার কাছে টাকা খুজবে।যদি সে তালাকের ভয় দেখিয়ে টাকা নেয়,তাহলে এটা ডাকাতি ও ব্ল্যাকমেইল হবে।এজন্য দুনিয়া ও আখেরাতে তাকে কঠিন শাস্তির সম্মুখিন হতে হবে।

(৩)বিনা কারণে এভাবে তালাকের ভয় দেখানো নাজায়েয ও হারাম।এজন্য উনি শাস্তি পাবেন।আপনার জন্য করণীয় হল, আপনি ধর্য্য দরুণ।আল্লাহ কাছে ওর হেদায়তের দু'আ করুন।

(৪)আপনার ইনকামের মালিক আপনি।আপনি যাকে ইচ্ছা তাকে আপনার ইনকামের টাকা দিবেন।এতে কারো বিধিনিষেধ কে মান্য করা যাবে না।

আপনার শেষোক্ত প্রশ্ন দু’টি বুঝিনি। আমাকে কমেন্টে বুঝিয়ে বলবেন। 
ক) লাল বল্ড করা এই কথার জন্য কি উনার সাথে আমার তালাক হয়ে গেছে? যদি হয়ে যায় তাহলে আমার শয়রীয় মোতাবেক করণীয় কি?
খ) যদি তালাক না হয়ে থাকে তাহলেই বা আমার করণীয় কি হবে?


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (9 points)
reshown by
আমার স্বামী  বলতেছেন উনাদের গ্রামের বাড়িতে উনার বাবা মার সাথে থাকতে। তখন আমি বলি আপনিও আমার সাথে থাকবেন, কারন আমার বিয়ে হয়েছে মাত্র দেড় বছর হয়েছে, আমি একেবারেই অনভিজ্ঞ এইসব ব্যাপারে, এমনকি আমার ৮ মাসের একটা বাচ্চাও আছে, এমতাবস্থায় আমার পক্ষে সম্ভব না গ্রামে গিয়ে থাকা, যদিও উনারা যেখানে থাকেন সেটা শহর, তারপরও আমার পক্ষে সম্ভব না। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে উনি অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন, আর আমাকে বার বার তালাকের কথা বলেন, তো এমতাবস্থায় কিসের ভরসায় আমি উনার বাবা মার সাথে গ্রামে থাকব, যেখানে উনি ১৫ দিনে একবার গ্রামে যাবেন বলতেছে।  তাই আমি তার কথায় সম্মত হইনি। 
*****"এই কারনে উনি আমাকে বলছেন, যেদিন উনার আব্বা আম্মা উনাকে বলবে উনি ভাল এবং যোগ্য মেয়ে বিয়ে করছে সেইদিন যাতে আমি আমাকে উনার স্ত্রী বলে নিজেকে পরিচয় দেই। এবং আমি যাতে আমার মত থাকি। বাচ্চার খরচ লাগলে উনাকে বলব উনি বাচ্চার খরচ দিবেন।"""
এখানে  বলা নেয়া ভাল হবে যে এই মুহুর্তে আমি আমার মার বাসায় আছি। কারণ আমার বাচ্চা ছোট,আমি পার্ট টাইম লেকচারার জব করি একটা ইউনিভার্সিটিতে, এবং আমি অনভিজ্ঞ সংসার মেনেজ করা নিয়ে, শিখতেছি কিভাবে কি করতে হবে।  তা-ই আমি আম্মুর কাছে আছি। 
           ক) লাল কালার করা এই কথার জন্য কি উনার সাথে আমার তালাক হয়ে গেছে? যদি হয়ে যায় তাহলে আমার শয়রীয় মোতাবেক করণীয় কি?

           খ) যদি তালাক না হয়ে থাকে তাহলেই বা আমার করণীয় কি হবে?


আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...