উত্তরঃ
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
চিকিৎসার নিয়তে কুরআনে আয়াত হরিনের চামড়াতে লিখে বা অন্য কোথাও নকশা করা সাধারণত সমাজে কুরআনের আদব ইহতেরামের খেলাফ মনে করেনা।
এইজন্য শরীয়তের বিধান মতে এ ধরনের আমল করার অনুমতি রয়েছে।
যেহেতু এটা শুধুমাত্র চিকিৎসার নিয়তে করা হয়, দ্বীনি কাজ হিসেবে করা হয়না,ইবাদত মনে করে করা হয়না।
তাই তাই যদিও এমন আমল কুরআন হাদিস থেকে অকাট্য ভাবে প্রমাণিত নয়,তারপরেও এটাকে বিদয়াত বলা যায়না।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৬/৩১০)
ইমাম বাইহাকী রহঃ কিতাবুত দাওয়াতে উল্লেখ করেনঃ
وأخرج البیہقي في الدعوات : عن ابن عباس مرفوعًا في المرأۃ یعسرہ علیہا، قال: یکتب في قرطاس ثم تستسقي۔(الإتقان ۵۳۰যার সারমর্ম হলো এক মহিলার রোগ নিরাময়ের জন্য ইবনে আব্বাস রাঃ এক পৃষ্ঠায় কিছু লিখে দিয়েছেন।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে এসেছেঃ
وفي المجتبیٰ: اختلف في الاستشفاء بالقرآن بأن یقرأ علی المریض أو الملدوغ الفاتحۃ أو یکتب في ورق ویعلق علیہ أو في طست ویغسل ویسقی … قال رضي اللّٰہ عنہ: وعلی الجواز عمل الناس الیوم وبہ وردت الآثار۔ (شامي، کتاب الحظر والإباحۃ / قبیل
فصل في النظر والمس ۶؍۳۶۴ کراچی، ۹؍۵۲۳ زکریا)
যার সারমর্ম হলো আয়াতে কুরআন দিয়ে চিকিৎসার নিয়তে তাবিজ বানানো জায়েয আছে।
,
★★তবে অনেক উলামায়ে কেরামগন খুব কঠোরভাবে এমন কাজ করা থেকে নিষেধ করেছেন।
তাদের এ মতটিও ছহিহ।
উত্তর লিখনে
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ IOM