আলেমের ফাতওয়া ও কসম

Question

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু,

১. এক ফাতওয়ায় বলেছেন যে, পশ্চিমা কিছু আলেম যারা গায়রে মুকাল্লিদ। তাই তাদের ফিকহ নেয়া যাবে না। আমার প্রশ্ন হল বাংলাদেশের "শাইখ আহমাদুল্লাহ, ড. মঞ্জুরে ইলাহী" তাদের ফিকহ নিতে সমস্যা আছে কি না? তারা বিভিন্ন বিষয় এর শরয়ী সমাধান দিয়ে থাকেন।

২. কোন ব্যক্তি কবিরা গুনাহ করে। সে প্রতিনিয়ত কবিরা গুনাহ করে ফেলে। সে জানে যে, আল্লাহর নামে কোন কিছু কসম করে ফেললে তা পূরণ করতে হয়। নতুবা কাফফারা আদায় করা দরকার। এখন, সে এই কসমের গুরুত্ব বিবেচনা করে সেই গুনাহ থেকে বাচতে কোন কসম করেনা।কারণ, সে গুনাহ হতে না বাচলে কসম ভংগ হবে। এই কসম না করলে কি গুনাহ হবে?
৩. শিরক না করলে কিন্তু কোন শিরকি বিষয় দেখলে বা শুনলে কি শিরক হয় না গুনাহ হবে?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

(১) আপনি বাংলাদেশের যে সব স্কলারদের কথা বলেছেন, তারা মাশাআল্লাহ অনেক বিজ্ঞ আলেম, তাদের আলোচনা অত্যান্ত সুন্দর। তবে তারা কোনো মাযহাবকে ফলো করেন কি না ? তা আমাদের জানা নেই। বরং আমাদের সাধারণ জানামতে  তারা মুজতাহিদের ভুমিকায় আলোচনা করে থাকেন( আমাদের জানা ভুলও হতে পারে)। তাদের ইজতেহাদ তাদের জন্য দলীল বা গ্রহণযোগ্য কিন্তু কোনো এক মাযহাবের মূলনীতির অনুসরণ ব্যতীত জনগণের ব্যাপারে তাদের ফাতাওয়া ফিকহের মূলনীতি অনুসারে অগ্রহণযোগ্য। তাই তাদের কাছ থেকে ফিকহ বা আকিদা গ্রহণ করা যাবে না। আমরা আবার বলছি যে, চার মাযহাবের উপর উলামাদের ইজমা হয়েছে। সুতরাং চার মাযহাবের যে কোনো একটিকে মানতে হবে। কিন্তু যেহেতু তারা কোনো মাযহাবকে ফলো করেন না, তাই তাদের কাছ থেকে কোনো মাসআলা নেয়া যাবে না। 

(২)প্রশ্নের বিবরণমতে কসম না করলে কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।

(৩) কোনো শিরক দেখলে বা শুনলে শিরিক হয় না।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/5575