ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
বীর্যর আছর যদি দূর হয়ে যায়, এবং বীর্যর আছর দূর হওয়ার পর আবার সমস্ত শরীরকে ধৌত করা হয়ে থাকে, তাহলে উক্ত কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে। এবং শরীরও পবিত্র হয়ে যাবে।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে উল্লেখ রয়েছে,
وإزالتها إن كانت مرئية بإزالة عينها وأثرها إن كانت شيئا يزول أثره ولا يعتبر فيه العدد. كذا في المحيط فلو زالت عينها بمرة اكتفى بها ولو لم تزل بثلاثة تغسل إلى أن تزول، كذا في السراجية.
দৃশ্যমান নাজাসত কে সম্ভব হলে তার আছর সহ দূর করলেই(কাপড় বা শরীর) পবিত্র হয়ে যাবে।এক্ষেত্রে দৌত করার সংখ্যা গ্রহণযোগ্য নয় (মুহিত)
যদি একবার দৌত করার দ্বারা নাজাসত দূর হয়ে যায় তাহলে সে দৌত্যকর্ম টিই তা পবিত্র হওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে।তবে যদি তিনবার দৌত করার দ্বারা নাজাসত দূর না হয় তাহলে সে পর্যন্তই দৌত করতে হবে যে পর্যন্ত না নাজাসত দূর হচ্ছে।
وإن كانت شيئا لا يزول أثره إلا بمشقة بأن يحتاج في إزالته إلى شيء آخر سوى الماء كالصابون لا يكلف بإزالته. هكذا في التبيين وكذا لا يكلف بالماء المغلي بالنار. هكذا في السراج الوهاج.
আর যদি নাজাসতের আছর এমন হয় যে,কষ্ট করা ব্যতীত তা দূর হবে না তথা এটা দূর করতে পানি ব্যতীত ভিন্ন জিনিষের মুখাপেক্ষী হতে হয়। যেমন সাবান ইত্যাদি।তাহলে এমতাবস্থায় আছর দূর করার হুকুম দেওয়া হবে না।(তাবয়ীনুল হাক্বাইক্ব)
(২)
প্রথমে আমাদেরকে একটি মূলনীতি বুঝতে হবে।
সেটা হল,
হারাম জিনিষের মৌলিকত্ব চলে যাবার পর তার বিধান কি?সে সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে.........
আর হারাম কোন বস্তু যেমন শুকর ইত্যাদির যদি এমনভাবে রিফাইন করা হয় যে, এসবের কোন মৌলিকত্ব বাকি না থাকে, তাহলেও উক্ত বস্তু ব্যবহার করা জায়েজ আছে। আর যদি সেসব হারাম বস্তুর মৌলিকত্ব বাকি থাকে, তাহলে উক্ত বস্তু যাতে মিশ্রিত করা হবে, তা ব্যবহার করা জায়েজ হবে না।{নিহায়াতুল মুহতাজ লির রামালি-৮/১২}
তাই এ হিসেবে যে কোনো ধরণের সাবান ব্যবহার বৈধ।হারাম সংমিশ্রণের পূর্ণ ঈয়াক্বিন-বিশ্বাস থাকলে অবশ্য সেটা হলাল হবে।যতই গায়ে হালাল লিখা থাকুক না কেন?বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/425