আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
219 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার স্বামি আমাকে অনলাইনে দ্বিনি পড়াশোনা এর ব্যাপারে অপরাগ। তাকে না জানিয়ে আমি পড়াশোনা করতেছি। এতে কি আমি গোনাহগার হব?
উল্যেখ যে আমার স্বামির চেয়েছিল আমি চাকুরির পড়াশোনা করে, ভাল একটা সরকারি জব করি। কিন্তু আমি ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে ভাল ডিগ্রীর অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও চাকুরির পড়াশোনা তে অবহেলা করেছি, দ্বিনি জ্ঞান অর্জনের দিকে ঝুকে যাই। এখন আমি আমার শশুড় বাড়িতে যথাযোগ্য সম্মান পাই না। কারন আমার এত এত ডিগ্রি নিয়ে ঘরে বসে আছি। আর আমার পরিবার আর্থিকভাবে এতটা স্বচ্ছল না। আমার স্বামি একটা প্রাইভেট জব করে। তাই সে চাইছিল আমি সরকারি চাকুরী করি, যহেতু আমার রেজাল্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় ভাল ছিল।
আমি ভাল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে ভাল ডিগ্রী নিয়ে এখন অনলাইনে আলিম কোর্সে পড়াশোন করতেছি, সরকারি চাকরির পড়াশোনায় যে পরিমান ইফোর্ট দেওয়া উচিত ছিল দেই নি। যদি আমি একটা ভাল জব করতাম আমার স্বামির জন্য হয়ত উপকার হত।
দ্বিনের জ্ঞান আসার পর, আমার মনে হইছে সরকারি জব করতে গেলে আমি আমার পর্দা ঠিক ঠাক পালন করতে পারব না। তাই জব করতে চাইনি।  আর জব করলেও এমন জব করতে চাচ্ছিলাম যেখানে আমার পর্দাও হয় অঅর্থনৈতিক মুক্তি হয়।

কিন্তু আমি এখন অপারাবোধে ভুগতেছি, আমি আমার স্বামিকে ফিনানাসিয়ালি সাপোর্ট না দিয়ে,  যে অনলাইনে দ্বিনি পড়াশোনা তে ঝুকে গেসি, এতে আমি গুনাহগার কিনা? এছাড়া জব না থাকায় আমি প্রতিনিয়ত হেয় হচ্ছি, পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে। এতে আমি মানসিক সমস্যায় পড়েছি এবং এতটা কস্ট লাগছে যে ডাক্তার পর্যন্ত লাগে।
কিন্তু  আমার অনেক ইচ্ছা আমি দ্বিনি পড়াশোনা করি। অন্তত ফরজে আইন আমার জানা জরুরি। এখন আমাকে লুকিয়ে লুকিয়ে IOM এ পড়াশোনা করতে হচ্ছে আমি প্রচন্ড অপরাধ বোধে ভুগতেছি। স্বামীর অমতে পড়াশোনা করলে আমার কি গুনাহ হচ্ছে?

1 Answer

0 votes
by (716,760 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/3303 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
দ্বীনের পথে চলতে যতটুকু ইলমের প্রয়োজন,ততটুকু পরিমাণ ইলম অর্জন করা ফরজ।
ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেন,
مِنْ فَرَائِضِ الْإِسْلَامِ تَعَلُّمُهُ مَا يَحْتَاجُ إلَيْهِ الْعَبْدُ فِي إقَامَةِ دِينِهِ وَإِخْلَاصِ عَمَلِهِ لِلَّهِ تَعَالَى وَمُعَاشَرَةِ عِبَادِهِ. 
প্রত্যেক মুসলমানের উপর ইসলামের ফরয বিধানসমূহ থেকে একটি ফরয  হচ্ছে, দ্বীন প্রতিষ্টা তথা এখলাছের সাথে দ্বীনের উপর আমল করতে প্রয়োজনীয় সব জ্ঞানার্জন করা এবং মানুষের সাথে সদাচরণের জ্ঞান অর্জন করা(ফরয)।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1893

সুতরাং ফরয ইলম শিক্ষার ব্যাপারে কারো বিধিনিষেধকে মান্য করা যাবে না।রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহিসসালাম বলেছেন,
ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺇﻧﻤﺎ ﺍﻟﻄﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﻌﺮﻭﻑ
গোনাহের কাজে কারো অনুসরণ করা যাবে না,অনুসরণ একমাত্র নেককাজ সমূহেই করা যাবে।(সহীহ বুখারী-৭২৫৭,সহীহ মুসলিম-১৮৪০) বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1722

প্রয়োজের বেশী ইলম অর্জন করা নফল বা মুস্তাহাব।নফল ইবাদতে স্বামীর হক আদায়ে সমস্যা না হলে, এক্ষেত্রেও স্বামী বাধা দিতে পারবে না।বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/1707

স্বামীর সংসারে স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য কতটুকু সে সম্পর্কে জানুন-https://www.ifatwa.info/1780
সুতরাং 
ফরয ইলম শিক্ষায় বাধা প্রদান এবং নফল ইলম শিক্ষায় বিনা প্রয়োজনে বাধা প্রদান করলে স্বামী অবশ্যই গোনাহগার হবে।
ফরয ইলম সে যেকোনো উপায়ে শিখবে।এটা অত্যাবশ্যকীয়। এবং নফল ইলমকে স্বামীর হক আদায়ের পর সময় থাকলে শিখবে।এ ব্যাপারে রুখসত রয়েছে।
স্বামীর হক আদায়ের পর অবশিষ্ট সময়টুকুকে স্ত্রীর অবশ্যই তার নিজ ইচ্ছানুযায়ী ব্যবহার করতে পারবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি স্বামীর অমতে ফরযে আইন জ্ঞান IOM এ  পড়তে পারবেন। এতে আপনার কোনো গোনাহ হবে না। হ্যা, আপানি চাইলে পর্দা সম্মত কোনো চাকুরীও করতে পারবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...