আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
98 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (7 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম
আমি একটা অনলাইন জব করছি কিছু দিন ধরে!কাজটাতে যুক্ত হতে কোন এড ফি দিতে হয় নাই!এখানে যুক্ত আমরা সবাই মেয়ে! কাজটি এমন যে আমরা মেয়েরা owner এর প্রোডাক্ট গুলো সেল করে দেই,,তারা একটা নির্দিষ্ট দাম দেয় এবং এটা থেকে আমাদের বাড়িয়ে সেল করতে বলে,,যে যেমন বাড়িয়ে সেল করবে ঐ বাড়তি অংশটাই তার কমিশন বা ইনকাম!এছাড়া আর কোন ইনকাম নেই এটাতে!আমরা নিজেদের পরিচিত জনদেরও এখানে এড করি যারা কিছু ইনকাম করে নিজের খরচ টা বহন করতে চায়!
আর আমাদের প্রোডাক্ট (বিশেষ করে মেয়েদের কসমেটিকস) এর বেপর্দা ছবি থাকে কিন্তু আমি তা ব্যবহার করি না,,শালীন ছবি দিয়ে করি,,যাকে এড করেছি সেও এই ব্যাপারে জানে আলহামদুলিল্লাহ! এখন
১)আমাদের কাজটি কি জায়েজ?এভাবে ইনকাম করা টাকা কি হালাল হচ্ছে?
২)আমাদের প্রোডাক্ট কিনে নিয়ে গিয়ে তা দিয়ে কেউ হারাম কাজ করলে আমাদের গুনাহ হবে কি?বা ইনকাম হারাম হয়ে যাবে কি?
৩)আমার ইনকাম যদি হারাম হয় তাহলে ঐ টাকা আমি সদাকাহ করবো কিভাবে? খুব কাছের কোন আত্মীয় কে এটা দিয়ে সাহায্য করা যাবে কি?যেমন খালা/চাচ/মামা/ফুফু এমন কেউ!
জাযাকাল্লহু খইরন

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

শরীয়তের বিধান হলো স্বত্ব বা হস্তগত হওয়ায় আগে কোনো পন্য বিক্রি না করা : কোনো পণ্য নিজে মালিক না হয়ে বা নিজের আয়ত্তে আসার আগে বিক্রি করা যাবে না। কারণ এভাবে বিক্রি করে ক্রেতাকে হস্তান্তর করা সম্ভব নয়। হস্তান্তর করতে না পারলে বিক্রির কোনো অর্থ হয় না।

 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ : أَمَّا الَّذِى نَهٰى عَنْهُ النَّبِىُّ ﷺ فَهُوَ الطَّعَامُ أَنْ يُبَاعَ حَتّٰى يُقْبَضَ. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ : وَلَا أَحْسِبُ كُلَّ شَيْءٍ إِلَّا مِثْلَه. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেননবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেনঃ কোনো খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করে তা হস্তগত হওয়ার আগে যেন বিক্রি না করে। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেনপ্রত্যেক জিনিসের এরূপ হুকুম বলেই মনে করি।

(সহীহ : বুখারী ২১৩৫মুসলিম ১৫২৫আবূ দাঊদ ৩৪৯৭তিরমিযী ১২৯১ইবনু মাজাহ ২২২৭আহমাদ ১৮৪৭,মিশকাত ২৮৪৬।)

 

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنِ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلاَ يَبِعْهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ " . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَأَحْسِبُ كُلَّ شَىْءٍ مِثْلَهُ 

ইবনু 'আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করবে সে তা আয়ত্বে নেয়ার পূর্বে বিক্রি করতে পারবে না। ইবনু 'আব্বাস (রাঃ) বলেনআমি মনে করি সকল বস্তুর বেলায় এ একই নিয়ম। (সহীহ মুসলিমহাদীস নং-৩৭২ ৮)

 

অপর এক হাদীসে এসেছে-

عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كُنَّا فِي زَمَانِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَبْتَاعُ الطَّعَامَ فَيَبْعَثُ عَلَيْنَا مَنْ يَأْمُرُنَا بِانْتِقَالِهِ مِنَ الْمَكَانِ الَّذِي ابْتَعْنَاهُ فِيهِ إِلَى مَكَانٍ سِوَاهُ قَبْلَ أَنْ نَبِيعَهُ .

ইবনু 'উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময় দ্রব্য ক্রয় করতাম। তখন তিনি এ মর্মে আদেশ দিয়ে আমাদের নিকট লোক পাঠাতেন যেএ মাল বিক্রি করার আগেই যেন ক্রয়ের জায়গা হতে অন্যত্র সরিয়ে রাখা হয়। (সহীহ মুসলিমহাদীস নং-৩৭৩৩)

 

 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

 

১. কোনো প্রোডাক্টের মালিক না হয়ে সেই প্রোডাক্ট অন্যের নিকট বিক্রি করা জায়েজ নেই। তবে হ্যাঁ যদি আপনি মালিকের পক্ষ থেকে উক্ত পন্য বিক্রয়ের উকিল হয়ে থাকেন,বা মালিক আপনাকে বিক্রয়ের অনুমতি দেয়,তাহলে আপনি উক্ত পন্য বিক্রয় করতে পারবেন এবং আপনার ইনকামও হালাল হবে।

২. আপনি যদি নিশ্চিত জানেন যে, এই ব্যক্তি পণ্যগুলো কিনে হারাম কাজে ব্যবহার করবে তাহলে তার নিকট পণ্য বিক্রয় করা জায়েজ নেই। তবে যদি কারোর ব্যাপারে  নিশ্চিত না জানেন তাহলে সে হারাম কাজে ব্যবহার করলে গুনাহ তার হবে, আপনার নয়।

৩. তারা যদি সদকাহ  খাওয়ার উপযুক্ত হয় তাহলে দেওয়া যাবে। বরং তাদেরকে দিলে আরো বেশী সওয়াব।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...